ঢাকা ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
কাপ্তাই হ্রদের কচুরিপানা এবার সম্পদে: ভাসমান কৃষিতে স্বাবলম্বী হচ্ছেন স্থানীয় নারীরা কালীগঞ্জ উপজেলা ও কালীগঞ্জ পৌরসভা শ্রমিক দলের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার আশু রোগ’মুক্তি কামনায় আলোচনা সভা  ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বেনাপোলসহ দেশের ১২ স্থলবন্দর দিয়ে একবছরে ভারত ভ্রমণ সাড়ে ১৮ লাখ পাসপোর্ট যাত্রী ঘোড়াঘাটে ইউএনও রফিকুল ইসলামের বিদায়, যোগদান করলেন নতুন ইউএনও রুবানা তানজিন চুয়াডাঙ্গায় মাঠ থেকে উদ্ধার এক যুবককে গলা কেটে লাশ ভেড়ামারা সাতবাড়ীয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল মিল্ক ফিডিং কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন যশোরে স্বর্ণের বারসহ আটক ইমরান তৌফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ভেড়ামারা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষকদের সঙ্গে  মতবিনিময় ও দোয়া অনুষ্ঠিত  ভেড়ামারায় গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করলেন ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী

ধর্ষণের অভিযোগে ইউপি সদস্য প্রার্থী এখন কারাগারে

তাপস কর,ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ঈশ্বরগঞ্জে ধর্ষনের অভিযোগে ইউপি সদস‍্য প্রার্থী এখন কারাগারে। স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সদস্য প্রার্থীর বিরুদ্ধে। বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তাকে ধর্ষক শফিকুল ইসলাম শফিক নামের এই ব্যক্তি ধর্ষণ করতেন বলে জানা গেছে। ছাত্রীর মায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

উপজেলার সোহাগী ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের ভালুকবেড় গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম শফিক (৩৫)। তিনি আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ওয়ার্ডটিতে ইউপি সদস্য প্রার্থী হতে এলাকায় প্রচার চালাচ্ছেন। পেশায় কৃষক শফিকুল ব্যানার-ফেস্টুন টানিয়ে নিজের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় শফিকুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, শফিকুলের বাড়ির কাছেই ধর্ষণের শিকার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর বাড়ি। স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেন। মেয়েটির বাবা ঢাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালান। মা সন্তানদের নিয়ে থাকেন গ্রামের বাড়িতে। বিয়ের প্রলোভনে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ছয় মাস ধরে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে আসছেন শফিকুল। নিজের স্ত্রী-সন্তান থাকলেও এই কিশোরীকে ফুঁসলিয়ে নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। গত ২০ জানুয়ারি মধ্যরাতে মেয়েটিকে ঘরে না পাওয়ায় পরিবারের লোকজন খোঁজ শুরু করেন।

মোবাইল ফোনে মিসকলের সূত্র ধরে মেয়েটিকে শফিকুলের ঘরে পাওয়া যায়। এর পরই বেরিয়ে আসে ধর্ষণের বিষয়টি। সেখান থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে বুধবার থানায় ধর্ষণ মামলা করেন মেয়েটি মা। রাতেই এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শফিকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ হেফাজতে থাকা শফিকুল ইসলামের দাবি, ‘ছয় মাস ধরে মেয়েটির সঙ্গে তার সম্পর্ক। মেয়েটি ঘরে আসায় শারীরিক সম্পর্ক করতেন। জোর করে কিছু করেননি।’ কিশোরীর মা বলেন, তার মেয়েটিকে নানা প্রলোভনে ধর্ষণ করছিলেন শফিকুল। ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি আবদুল কাদের মিয়া বলেন, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বিষয়টি এলাকায় ব‍্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

কাপ্তাই হ্রদের কচুরিপানা এবার সম্পদে: ভাসমান কৃষিতে স্বাবলম্বী হচ্ছেন স্থানীয় নারীরা

ধর্ষণের অভিযোগে ইউপি সদস্য প্রার্থী এখন কারাগারে

আপডেট টাইম : ০৫:৩০:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১

তাপস কর,ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ঈশ্বরগঞ্জে ধর্ষনের অভিযোগে ইউপি সদস‍্য প্রার্থী এখন কারাগারে। স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সদস্য প্রার্থীর বিরুদ্ধে। বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তাকে ধর্ষক শফিকুল ইসলাম শফিক নামের এই ব্যক্তি ধর্ষণ করতেন বলে জানা গেছে। ছাত্রীর মায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

উপজেলার সোহাগী ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের ভালুকবেড় গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম শফিক (৩৫)। তিনি আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ওয়ার্ডটিতে ইউপি সদস্য প্রার্থী হতে এলাকায় প্রচার চালাচ্ছেন। পেশায় কৃষক শফিকুল ব্যানার-ফেস্টুন টানিয়ে নিজের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় শফিকুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, শফিকুলের বাড়ির কাছেই ধর্ষণের শিকার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর বাড়ি। স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেন। মেয়েটির বাবা ঢাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালান। মা সন্তানদের নিয়ে থাকেন গ্রামের বাড়িতে। বিয়ের প্রলোভনে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ছয় মাস ধরে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে আসছেন শফিকুল। নিজের স্ত্রী-সন্তান থাকলেও এই কিশোরীকে ফুঁসলিয়ে নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। গত ২০ জানুয়ারি মধ্যরাতে মেয়েটিকে ঘরে না পাওয়ায় পরিবারের লোকজন খোঁজ শুরু করেন।

মোবাইল ফোনে মিসকলের সূত্র ধরে মেয়েটিকে শফিকুলের ঘরে পাওয়া যায়। এর পরই বেরিয়ে আসে ধর্ষণের বিষয়টি। সেখান থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে বুধবার থানায় ধর্ষণ মামলা করেন মেয়েটি মা। রাতেই এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শফিকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ হেফাজতে থাকা শফিকুল ইসলামের দাবি, ‘ছয় মাস ধরে মেয়েটির সঙ্গে তার সম্পর্ক। মেয়েটি ঘরে আসায় শারীরিক সম্পর্ক করতেন। জোর করে কিছু করেননি।’ কিশোরীর মা বলেন, তার মেয়েটিকে নানা প্রলোভনে ধর্ষণ করছিলেন শফিকুল। ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি আবদুল কাদের মিয়া বলেন, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বিষয়টি এলাকায় ব‍্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।