ঢাকা ০৩:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
রাজশাহীর মোহনপুরে ওয়ার্ড কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে ফকিরপাড়া তরুণ সংঘ চ্যাম্পিয়ন বরেন্দ্র অঞ্চলে আমন ধানে ছত্রাক ও মাজরা পোকার আক্রমণে দিশেহারা কৃষকরা  লালপুরে চেয়ারম্যানের ছেলে সহ ইমো হ্যাক প্রতারক চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার ঘোড়াঘাটে ফুটপাত ও ড্রেন দখল প্রশাসনিক অবহেলায় বাড়ছে ভোগান্তি ভোটের শক্তিতেই পরিবর্তন, বন্দুকের ভয় নয় — প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম কুষ্টিয়ায় বিজিবির অভিযানে ১৮ লাখ টাকার  চোরাচালানী পণ্য জব্দ দৌলতপুরে জমি নিয়ে বিরোধে সৎভাইয়ের হাতে যুবক খুন, আহত ৩ মিরপুর মালিহাদে বিএনপি’র কর্মীসভা অনুষ্ঠিত জাতীয় পার্টি ব্যতীত নির্বাচন হবে না বাংলাদেশে — দৌলতপুরে আলোচনা সভায় শাহরিয়ার জামিল জুয়েল সম্মান, সংস্কৃতি ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ডাক দিলেন অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম

রাজশাহীতে ১যুগ পর ঐতিহ্যবাহী ‘ফুলশুর’ মেলা 

সবুজ ইসলাম,  রাজশাহী (পবা) প্রতিনিধিঃ রাজশাহীতে প্রায় ১যুগ পরে আয়োজিত হচ্ছে এতিহ্যবাহী ফুলশুর মেলা । প্রাচীন কালজয়ী বটগাছের নিচে এ মেলার আয়োজন করেছেন কয়েকজন তরুন যুবক। রাজশাহী জেলার পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভার বায়া বাজারে এ মেলা আয়োজিত হয়েছে।  বিকাল ৩টা থেকে শুরু হয়ে এই মেলা চলে রাত্রি ১০ টা পর্যন্ত। স্থানীয় লোকদের মাঝে তাই বইছে আনন্দের উদ্দীপনা । দুপুর পেরিয়ে বিকাল ঘনিয়ে আসতেই মেলায় দর্শনাথীদের ভিড় চোখে পড়ার মত। দর্শনাথীদের পদচারণায় মুখরিত হচ্ছে মেলা প্রাঙ্গন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় দেখা যায় মেলার বিক্রয় ষ্টলে বাহারি রকমের ছোটদের খেলনা থেকে শুরু করে মহিলাদের কসমেটিকস এর বাহারি কালেকশনে মুগ্ধ হচ্ছে আগত দর্শনাথীরা। মেলার প্রতিটি স্টল ঘুরে ঘুরে দেখছেন তারা।
মেলায় আরো রয়েছে ছোট বাচ্চাদের জন্য নাগরদোলা, ঘূরর্ণিচক, ভূতের বাড়ি, ইত্যাদি আয়োজন। মেলায় বাবার সাথে ঘুরতে এসেছে ৫বছর বয়সী জেরিন। জেরিনের কাছে মেলায় ঘুরতে আসার অনুভূতি জানতে চাওয়া হলে জেরিন বলে, আমি আজকে আব্বুর সাথে মেলায় ঘুরতে এসেছি। মেলায় এসে আমার অনেক ভালো লাগছে। আমি এখানে নাগরদোলায় চড়েছি, মেলায় ভূূতের বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করেছি। আমার অনেক ভালো লাগছে এই মেলা।
মেলায় আরো রয়েছে নানা পদের বাহারি মুখরোচক খাবার। মেলা স্টলের পাশেই এসব খাবারের দোকানে পসরা নিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা । গুড়ের ও চিনির জিলাপি, চটপটি ফুচকা, মুড়ি মুড়কি ইত্যাদি নানা পদের খাবারের সমারোহ আকৃষ্ট হচ্ছেন মেলায় আগতরা ।
মেলায় কয়েকজন দর্শনাথীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা মেলায় ঘুরে মজা পাচ্ছেন। এই মেলা এতদিন পরে আয়োজন করার জন্য তারা আয়োজনকারীদের কাছে বিশেষ কৃতঙ্গতা জানায়।
সবমিলিয়ে মেলার পরিবেশ এবং ব্যাবস্থাপনা নিয়ে সন্তুষ্ট জানালেও কেউ কেউ একটু অভিযোগ করে বলেন মেলার আশেপাশে বখাটে ছেলেদের আনাগোনা বেশি ।তারা রাস্তা পথে মেয়েদের উক্ত্যাক্ত করছে। এই বিষয় টা মেলা আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষের একটু নজর দেওয়া প্রয়োজন।
মেলা আয়োজন কমেটির সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমানের কাছে মেলা বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হলে মিজানুর রহমান  বলেন, এই ঐতিব্যাহী ফুলশুর মেলা আয়োজনের কথা হঠাৎ আমাদের মাথায় আসে। আমরা সিদ্ধান্ত নেই আমরা এই ফুলশুর মেলা আয়োজন করবো।আমরা নিদিষ্ট পরিকল্পনা হাতে নেই এবং সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করি । আলহামদুল্লিলাহ আমরা এখন পর্যন্ত এই মেলা সুষ্ট এবং সুন্দর ভাবে আয়োজন করতে পারছি। তবে আমাদের কাছে কিছু অভিযোগ আসছে আমরা অভিযোগ গুলো খতিয়ে দেখছি, মেলায় আমাদের যথেষ্ট সেচ্ছাসেবী আছে তারা কাজ করছে।
এই মেলা আয়োজনে আমাদের মূল লক্ষ হচ্ছে মানুষদের বিনোদন দেওয়া । আলহামদুল্লিাহ আমরা এই মেলা আয়োজন করে মানুষদের এত সাড়া পাবো তা কখনোই ভাবতে পারিনি। আমরা আগে ছোটবেলায় দেখতাম এখানে প্রায় প্রতি বছরই ফুলশুর মেলা হতো কিন্তু মেলা যে এভাবে হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যাবে তা আমরা কখনোই ভাবতেই পারিনি। তাই আমাদের নিজেদের উদ্দ্যেগে আমরা এই ঐতিহ্যবাহী ফুলশুর মেলা আয়োজন করেছি। এই মেলা আয়োজন করতে পেরে আমরা নিজেদের গর্বিত মনে করছি।
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাজশাহীর মোহনপুরে ওয়ার্ড কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে ফকিরপাড়া তরুণ সংঘ চ্যাম্পিয়ন

রাজশাহীতে ১যুগ পর ঐতিহ্যবাহী ‘ফুলশুর’ মেলা 

আপডেট টাইম : ০৩:৫৫:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জুন ২০২২
সবুজ ইসলাম,  রাজশাহী (পবা) প্রতিনিধিঃ রাজশাহীতে প্রায় ১যুগ পরে আয়োজিত হচ্ছে এতিহ্যবাহী ফুলশুর মেলা । প্রাচীন কালজয়ী বটগাছের নিচে এ মেলার আয়োজন করেছেন কয়েকজন তরুন যুবক। রাজশাহী জেলার পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভার বায়া বাজারে এ মেলা আয়োজিত হয়েছে।  বিকাল ৩টা থেকে শুরু হয়ে এই মেলা চলে রাত্রি ১০ টা পর্যন্ত। স্থানীয় লোকদের মাঝে তাই বইছে আনন্দের উদ্দীপনা । দুপুর পেরিয়ে বিকাল ঘনিয়ে আসতেই মেলায় দর্শনাথীদের ভিড় চোখে পড়ার মত। দর্শনাথীদের পদচারণায় মুখরিত হচ্ছে মেলা প্রাঙ্গন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় দেখা যায় মেলার বিক্রয় ষ্টলে বাহারি রকমের ছোটদের খেলনা থেকে শুরু করে মহিলাদের কসমেটিকস এর বাহারি কালেকশনে মুগ্ধ হচ্ছে আগত দর্শনাথীরা। মেলার প্রতিটি স্টল ঘুরে ঘুরে দেখছেন তারা।
মেলায় আরো রয়েছে ছোট বাচ্চাদের জন্য নাগরদোলা, ঘূরর্ণিচক, ভূতের বাড়ি, ইত্যাদি আয়োজন। মেলায় বাবার সাথে ঘুরতে এসেছে ৫বছর বয়সী জেরিন। জেরিনের কাছে মেলায় ঘুরতে আসার অনুভূতি জানতে চাওয়া হলে জেরিন বলে, আমি আজকে আব্বুর সাথে মেলায় ঘুরতে এসেছি। মেলায় এসে আমার অনেক ভালো লাগছে। আমি এখানে নাগরদোলায় চড়েছি, মেলায় ভূূতের বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করেছি। আমার অনেক ভালো লাগছে এই মেলা।
মেলায় আরো রয়েছে নানা পদের বাহারি মুখরোচক খাবার। মেলা স্টলের পাশেই এসব খাবারের দোকানে পসরা নিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা । গুড়ের ও চিনির জিলাপি, চটপটি ফুচকা, মুড়ি মুড়কি ইত্যাদি নানা পদের খাবারের সমারোহ আকৃষ্ট হচ্ছেন মেলায় আগতরা ।
মেলায় কয়েকজন দর্শনাথীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা মেলায় ঘুরে মজা পাচ্ছেন। এই মেলা এতদিন পরে আয়োজন করার জন্য তারা আয়োজনকারীদের কাছে বিশেষ কৃতঙ্গতা জানায়।
সবমিলিয়ে মেলার পরিবেশ এবং ব্যাবস্থাপনা নিয়ে সন্তুষ্ট জানালেও কেউ কেউ একটু অভিযোগ করে বলেন মেলার আশেপাশে বখাটে ছেলেদের আনাগোনা বেশি ।তারা রাস্তা পথে মেয়েদের উক্ত্যাক্ত করছে। এই বিষয় টা মেলা আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষের একটু নজর দেওয়া প্রয়োজন।
মেলা আয়োজন কমেটির সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমানের কাছে মেলা বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হলে মিজানুর রহমান  বলেন, এই ঐতিব্যাহী ফুলশুর মেলা আয়োজনের কথা হঠাৎ আমাদের মাথায় আসে। আমরা সিদ্ধান্ত নেই আমরা এই ফুলশুর মেলা আয়োজন করবো।আমরা নিদিষ্ট পরিকল্পনা হাতে নেই এবং সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করি । আলহামদুল্লিলাহ আমরা এখন পর্যন্ত এই মেলা সুষ্ট এবং সুন্দর ভাবে আয়োজন করতে পারছি। তবে আমাদের কাছে কিছু অভিযোগ আসছে আমরা অভিযোগ গুলো খতিয়ে দেখছি, মেলায় আমাদের যথেষ্ট সেচ্ছাসেবী আছে তারা কাজ করছে।
এই মেলা আয়োজনে আমাদের মূল লক্ষ হচ্ছে মানুষদের বিনোদন দেওয়া । আলহামদুল্লিাহ আমরা এই মেলা আয়োজন করে মানুষদের এত সাড়া পাবো তা কখনোই ভাবতে পারিনি। আমরা আগে ছোটবেলায় দেখতাম এখানে প্রায় প্রতি বছরই ফুলশুর মেলা হতো কিন্তু মেলা যে এভাবে হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যাবে তা আমরা কখনোই ভাবতেই পারিনি। তাই আমাদের নিজেদের উদ্দ্যেগে আমরা এই ঐতিহ্যবাহী ফুলশুর মেলা আয়োজন করেছি। এই মেলা আয়োজন করতে পেরে আমরা নিজেদের গর্বিত মনে করছি।