1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
যথাযোগ্য মর্যাদায় দৌলতপুরে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ৭৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন। - dailynewsbangla
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

যথাযোগ্য মর্যাদায় দৌলতপুরে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ৭৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন।

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন, ২০২২

 

নিউজ বাংলা ডেস্কঃ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও আবুল হাশেমের নেতৃত্বাধীন তৎকালীন বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের একাংশের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার টিকাটুলীর কেএম দাস লেন রোডের রোজ গার্ডেন প্যালেসে ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ প্রতিষ্ঠিত হয়, যার সভাপতি ছিলেন টাঙ্গাইলের মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং সাধারণ সম্পাদক টাঙ্গাইলের শামসুল হক। পরবর্তীকালে, ১৯৫৫ সালে মওলানা ভাসানীর উদ্যোগে ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চা এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংগঠনটির নাম থেকে পরে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়; নাম রাখা হয়: ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ’।

আওয়ামী লীগের জন্মসূত্রের সঙ্গে ঢাকা ১৫০ নম্বর মোগলটুলিস্থ পূর্ববঙ্গ কর্মী শিবিরের উদ্যোগের সম্পর্ক অনস্বীকার্য। ২৩ জুনের সম্মেলনের আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন শওকত আলী। তার উদ্যোগে ১৫০ নং মোগলটুলিস্থ শওকত আলীর বাসভবন এবং কর্মী শিবির অফিসকে ঘিরে বেশ কয়েক মাসের প্রস্তুতিমূলক তৎপরতার পর ২৩ জুনের কর্মী সম্মেলনে দলের ঘোষণা দেয়া হয়। শওকত আলীর অনুরোধে কলকাতা থেকে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী একটি মামলা পরিচালনার কাজে ঢাকায় এলে তিনি শওকত আলীকে মুসলিম লীগ ছেড়ে ভিন্ন একটি রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে তোলার পরামর্শ দেন। শওকত আলী এ পরামর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে পূর্ববঙ্গ কর্মী শিবিরের নেতৃবৃন্দকে নতুন সংগঠন গড়ে তুলতে উদ্বুদ্ধ করেন। এসময় কর্মী শিবিরের প্রধান নেতা ছিলেন শামসুল হক। কামরুদ্দীন আহমদ, মো. তোয়াহা, অলি আহাদ, তাজউদ্দীন আহমদ, আতাউর রহমান খান, আবদুল আউয়াল, মুহম্মদ আলমাস, শামসুজ্জোহা প্রমুখ প্রথম দিকে এবং পরবর্তীতে শেখ মুজিবুর রহমান কর্মী শিবির কেন্দ্রিক রাজনৈতিক কর্মতৎপরতায় বিশেষভাবে যুক্ত ছিলেন। মুসলিম লীগের আবুল হাশিম-সোহরাওয়ার্দী গ্রুপ নেতৃবৃন্দ মুসলিম লীগের অন্যায় কাজগুলোর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার লক্ষ্যেই এখানে কর্মী শিবির গড়ে তুলেছিলেন। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ১৯৪৯ সালে আসামের ধুবড়ী জেলখানা থেকে ছাড়া পেয়ে ঢাকা এলে তার সঙ্গে শওকত আলীর আলোচনা হয়। শওকত আলী মওলানাকে পূর্ববঙ্গ কর্মী শিবিরকেন্দ্রিক রাজনৈতিক তৎপরতার কথা জানান। এসময় মওলানা ভাসানী আলী আমজাদ খানের বাসায় অবস্থান করছিলেন। শওকত আলীর সঙ্গে তার প্রাথমিক আলোচনা সেখানেই হয়।

এই আলোচনার সূত্র ধরে নতুন দল গঠনের জন্য একটি সাংগঠনিক কমিটি গঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন শওকত আলী। সেজন্যে ১৫০ নম্বর মোগলটুলিতে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। মওলানা ভাসানী সেই বৈঠকে যোগদান করেন। এসময় খোন্দকার আবদুল হামিদের সঙ্গে পরামর্শ করে শওকত আলীর উদ্যোগে ও প্রচেষ্টায় মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে সভাপতি, ইয়ার মুহম্মদ খানকে সম্পাদক এবং খন্দকার মুশতাক আহমদকে দপ্তর সম্পাদক করে অন্যদেরসহ একটি সাংগঠনিক কমিটি গঠিত হয়।

উপর্যুক্ত সাংগঠনিক কমিটি ১৯৪৯ সালের ২৩ ও ২৪ জুন রোজ গার্ডেনে নতুন দল গঠনের লক্ষ্যকে সামনে রেখে এক সম্মেলন আহ্বান করে। রোজ গার্ডেনে ২৩ জুনের বিকেল ৩টায় সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনে উপস্থিত নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন শামসুল হক, শওকত আলী, আনোয়ারা খাতুন, ফজলুল কাদের চৌধুরী, আবদুল জব্বার খদ্দর, খন্দকার মোশতাক আহমেদ, আতাউর রহমান খান, মওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ, আলী আমজাদ খান, শামসুদ্দীন আহমদ (কুষ্টিয়া), ইয়ার মুহম্মদ খান, মওলানা শামসুল হক, মওলানা এয়াকুব শরীফ, আবদুর রশিদ প্রমুখ।

প্রতিষ্ঠাকালীন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সভাপতি হন টাঙ্গাইলের মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, সহ-সভাপতি হন আতাউর রহমান খান, শাখাওয়াত হোসেন ও আলী আহমদ। টাঙ্গাইলের শামসুল হক সাধারণ সম্পাদক। শেখ মুজিবুর রহমান, খন্দকার মোশতাক আহমদ ও এ কে রফিকুল হোসেনকে (খায়ের মিয়া) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কোষাধ্যক্ষ হন ইয়ার মোহাম্মদ খান। এসময় শেখ মুজিব কারাগারে অন্তরীণ ছিলেন। অন্যদিকে, পুরো পাকিস্তানের ক্ষেত্রে সংগঠনটির নাম রাখা হয় নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ। এর সভাপতি হন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।

২৪ জুন বিকেলে নবগঠিত আওয়ামী মুসলিম লীগ মওলানা ভাসানীর সভাপতিত্বে ঢাকার আরমানিটোলা ময়দানে প্রকাশ্যে জনসভা করে। সভায় আনুমানিক প্রায় চার হাজার লোক উপস্থিত হয়।

১৯৫২ সালে শেখ মুজিবুর রহমান সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। পরের বছর ঢাকার ‘মুকুল’ প্রেক্ষাগৃহে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সম্মেলনে তাকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত ১৩ বছর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন শেখ মুজিব। উল্লেখ্য যে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ ছিলো তৎকালীন পাকিস্তানে প্রথম বিরোধী দল।

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দলটি প্রাদেশিক স্বায়ত্ত্বশাসনের ওপর বিশেষ গুরুত্বসহ ৪২ দফা কর্মসূচি গ্রহণ করে। শুরুর দিকে দলটির প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে ছিল রাষ্ট্রভাষা হিসাবে বাংলার স্বীকৃতি, এক ব্যক্তির এক ভোট, গণতন্ত্র, সংবিধান প্রণয়ন, সংসদীয় পদ্ধতির সরকার, আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন এবং তৎকালীন পাকিস্তানের দু’অঞ্চলের মধ্যে বৈষম্য দূরীকরণ।

শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে মুসলিম লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য অন্যান্য দলকে সঙ্গে নিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠন করতে আওয়ামী মুসলিম লীগ মুখ্য ভূমিকা পালন করে। ১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর দলটি কৃষক শ্রমিক পার্টি, পাকিস্তান গণতন্ত্রী দল ও নেজামে ইসলামের সঙ্গে মিলে যুক্তফ্রন্ট গঠন করে।

১৯৫৪ সালের মার্চের আট থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে ২৩৭টি মুসলিম আসনের মধ্যে যুক্তফ্রন্ট ২২৩টি আসন পায়। এরমধ্যে ১৪৩টি পেয়েছিল আওয়ামী মুসলিম লীগ।

২৪ বছরের পাকিস্তান শাসনামলে আওয়ামী মুসলিম লীগ আতাউর রহমান খানের নেতৃত্বে দু’বছর প্রদেশে ক্ষমতাসীন ছিল এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে কেন্দ্রে ১৩ মাস কোয়ালিশন সরকারের অংশীদার ছিল।

১৯৫৫ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত দলের তৃতীয় সম্মেলনে দলের নাম থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়; নতুন নাম রাখা হয়: ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ’।

ঐতিহাসিক ২৩ জুন আজ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, আর এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের সকল নেতা-কর্মী এবং সর্বস্তরের সকলকে অফুরন্ত শুভেচ্ছা জানানো হয় দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ হতে।

দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ এক বার্তায় গণমাধ্যমকে জানান ‘১৯৪৯ সালের ২৩শে জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করে, তাই এই দিন আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন।

১৯৬৯ এর গণঅভ্যুথান, ১৯৭০ এর নির্বাচন, ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৮৭-১৯৯০ এ স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, ১৯৯৬ এ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন ও ২০০৬ সালের ১/১১ এর পর বাংলাদেশ যখন সর্বদিক দিয়ে ধ্বংস হতে বসেছিল, তখন আবারও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে ও দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পায়।

তাই এই দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করার লক্ষ্যে দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে দৌলতপুর উপজেলা কার্যালয়ের সামনে জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় রাত সাড়ে ৮ টার সময় আল্লারদর্গা নুরুজ্জামান মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে আসন অলংকৃত করেন কুষ্টিয়া দৌলতপুরের গণমানুষের নেতা, সাবেক সংসদ
সদস্য উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি জননেতা রেজাউল হক চৌধুরী।

উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হোগল বাড়িয়া ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান লস্কর।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন হোগলবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সেলিম চৌধুরী,মোতাছিম বিল্লাহ,এ কে এম ফজলুল হক,শহিদুল হালসানা, আক্তার হোসেন,জাহেরুল ইসলাম,শহিদুল ইসলাম,দেওয়ান হাফিজুর রহমান প্রমুখ,

উক্ত অনুষ্ঠানে দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের বিভিন্ন ওয়ার্ড, ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ সহ সকল সহযোগী সংগঠন -ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, আওয়ামী মৎস্যজীবীলীগ সহ সকল ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভায় বক্তারা বিভিন্ন জ্ঞানগর্ভ মূলক আলোচনা করেন এবং সকলেই একই সুরে বলেন আগামী দিনে গণতন্ত্রের মানস কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সু-স্বাস্থ্য কামনা করে আজকের এই অনুষ্ঠানে সকলকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মিলিয়ে আগামী দিনে কাজ করার প্রতিজ্ঞা করতে হবে।

আলোচনা সভা শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

দোয়া মাহফিল শেষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর ৭৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কেটে সকলকে সাথে নিয়ে দৌলতপুর উপজেলার স্মরণকালের ইতিহাসে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে
দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ আজকের এই অনুষ্ঠানকে সাফল্যমন্ডিত করার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ