নজরুল ইসলাম বিশেষ প্রতিনিধি: যশোর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত থাকা অবস্থায় কনস্টেবল ইলিয়াস দুই কেজি গাঁজা ও ১৫ হাজার টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে আরিফ নামে এক আসামীকে ছেড়ে দিয়েও বহাল তবিয়তে চাকরি করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী সহ অনেক ব্যক্তি।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার পুলেরহাট এলাকা থেকে দুই কেজি গাঁজা সহ আরিফ নামে এক আসামিকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে আটক করে কনস্টেবল ইলিয়াস।সূত্র জানায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর জিআরপি পুলিশ ফাঁড়ি যশোরে কর্মরত থাকা অবস্থায় কনস্টেবল ইলিয়াস পুলিশের সোর্স নামে পরিচিত সোহেল এবং শ্রাবণীকে পুলেরহাট বাজার থেকে রাজগঞ্জ সড়কের অদূরে দুইটি মোটরসাইকেল নিয়ে যশোরের চৌগাছা উপজেলার মাসিলা বিজিবি ক্যাম্প বর্ডার এলাকায় গেলে বিজিবি তাদেরকে বাধা প্রদান করে ও তাদের মটরসাইকেল সহ সকলের দেহ তল্লাশি করে। তখন কনস্টেবল ইলিয়াস যশোর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে চাকরি করে জানালে বিজেপি সদস্যরা তাদেরকে ছেড়ে দেয়।
পরে সদর উপজেলার পুলেরহাট এলাকায় আসিয়া দুই কেজি গাঁজা সহ বেনাপোল থানা এলাকার রঘুনাথপুর গ্রামের মজনু হোসেনের ছেলে আরিফকে কনস্টেবল ইলিয়াসের কাছে থাকা হ্যান্ডকাফ হাতে পরিয়ে দেয় ও নারী সোর্স শ্রাবণীর বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে আসামি আরিফের কাছে থাকা দুই কেজি গাঁজা রেখে দেয় ও মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। আসামি আরিফ ৫০ হাজার টাকা দিতে অ স্বীকৃতি জানাইলে কনস্টেবল ইলিয়াস আরিফকে মারপিট করে তখন আরিফ উপায় না পেয়ে ১৫ হাজার টাকা দিতে রাজি হয়। বিষয়টি আরিফ তার স্ত্রীকে জানালে তার স্ত্রী বেনাপোল থানা এলাকার সর্বংহুদা বাজারে নেহাল মেডিকেল সেন্টারের বিকাশ লেনদেনের দোকান থেকে যশোর রেলওয়ে স্টেশনের পাশে বিকাশ লেনদেনের দোকান যার বিকাশ নাম্বার ০১৭৮১৩০৩১৩৯ তে কনস্টেবল ইলিয়াসকে ১৫ হাজার টাকা পাঠাই। আসামি আরিফের স্ত্রী ১৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ পাঠানোর পর কনস্টেবল ইলিয়াস আসামী আরিফকে ছেড়ে দেয়।
এই সংবাদ খুলনা জোনের পুলিশ সুপার (এসপি) নিকুলিন চাকমা জানার পর তাৎক্ষণিকভাবে কনস্টেবল ইলিয়াসকে খুলনা পুলিশ লাইনে বদলি করেন।
অভিযোগ রয়েছে এমন একটা ঘটনার পরেও দায়সারা তদন্ত ছাড়া আজ অবধি কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নাই।এ বিষয়ে শ্রাবণীর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, ঘটনা সত্য, কিন্তু আমার বাড়িতে কোনো কিছু ঘটেনি যা রাস্তায় ঘটেছে। ডিআই স্যার আমাকে ডেকেছিল আমি সেখানে যা বলার বলেছি। কথা বলতে বলতে তিনি ব্যস্ত আছেন বিকালে কথা হবে বলে ফোন কেটে দেন।এ ব্যাপারে কনস্টেবল ইলিয়াস এর নিকট জানতে চাইলে তিনি ঘটনা সত্য না বলে জানান কনস্টেবল ইলিয়াস।
এ ব্যাপারে যশোর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানাই তাৎক্ষণিক খুলনা রেলওয়ে পুলিশ সুপারকে জানালে পুলিশ সুপার কনস্টেবল ইলিয়াসকে পুলিশ লাইনে বদলি করেন এবং তিনি প্রতিবেদন দাখিল করেন।এব্যাপারে জানতে চাইলেখুলনা রেলওয়েপুলিশ সুপার(এসপি) নিকুলিন চাকমা এ প্রতিবেদককে বলেন কনস্টেবল ইলিয়াস কে খুলনা পুলিশ লাইনে বদলি করা হয়েছে, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে, তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক 



















