ঢাকা ০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
কুষ্টিয়ায় শীতার্ত দুঃস্থদের মাঝে বিজিবির কম্বল বিতরণ যশোরে ‘ডেভিল হান্ট ফেজ ২’অভিযানে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের আরও ৫ নেতাকর্মী আটক  যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে বার্মিজ চাকুসহ যুবক আটক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে যে যুদ্ধ শুরু হয়ে ছিলো, ১৬ ডিসেম্বর তার চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে ছিলাম….ফজলুল হক মিলন যশোরে মহান বিজয় দিবসে বর্ণাঢ্য আয়োজনে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত নওগাঁয় বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সম্মানে সংবর্ধনা যশোরের ছাত্রনেতার হাত ধরে ৩০ টি পরিবার পানিবন্দি থেকে মুক্তি পেল। লালপুরে জামায়াতের বিজয় র‍্যালি- স্বাধীনতার সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি কাভার্ড ভ্যানের চাপায় প্রাণ গেল মোটরসাইকেল আরোহী ওসি ও এএসআইয়ের যশোরে স্বাস্থ্য স্যানিটেশন ও আবাসন প্রকল্পের নামে ৪ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

যশোরে স্বাস্থ্য স্যানিটেশন ও আবাসন প্রকল্পের নামে ৪ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

যশোরে স্বাস্থ্য স্যানিটেশন ও আবাসন প্রকল্পের নামে ৪ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

যশোরে স্বাস্থ্য স্যানিটেশন ও আবাসন প্রকল্পের নামে ৪ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন


নজরুল ইসলাম বিশেষ প্রতিনিধি: যশোর জেলা কৃষি শ্রমিক ইউনিয়ন ও মানবসেবা ট্রেডার্স লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য স্যানিটেশন ও আবাসন প্রকল্পের নামে ৪ কোটি টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। নামমাত্র জামানতের বিনিময়ে দুই কক্ষবিশিষ্ট ঘর, বাথরুম, পানির ট্যাংকি ও সাবমারসিবল পাম্প স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় পাঁচ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে এ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে।

ভুক্তভোগীরা সোমবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী ফাতেমা খাতুন। তিনি জানান, মনিরামপুর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের মুরাদ হোসেন ও স্বরূপদাহ গ্রামের শফিকুজ্জামান ২০২৪ সালের নভেম্বরে মাসে মণিরামপুর, অভয়নগরসহ ৮ উপজেলায় যশোর জেলা কৃষি শ্রমিক ইউনিয়ন ও মানবসেবা ট্রেডার্স লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান খোলেন। এরপর তাদের ২৫জনকে মাঠ কর্মী হিসেবে নিয়োগ দেন।

বিদেশী সহয়াতায় নামমাত্র মূল্যে বাড়ি, বাথরুম, সাবমারসিবল ও সোলার লাইট স্থাপনের জন্য সদস্য সংগ্রহের দায়িত্ব দেন। তারা গ্রামে গ্রামে ঘুরে পাঁচ হাজার গ্রাহক সংগ্রহ করেন। যাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় প্রায় ৪ কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করে প্রতিষ্ঠানে জমা দেয়া হয়। এক বছর অতিবাহিত হলেও কোন গ্রাহককে ঘর, বাথরুম, সাবমারসিবল ও সোলার লাইট কিছুই স্থাপন করে দেওয়া হয়নি।

গত দুই মাস আগে মুরাদ ও শফিকুজ্জামান আত্মগোপনে চলে যান। এখন গ্রাহকরা তাদের টাকা ফেরত পেতে তাদের উপরে চাপ সৃষ্টি করছে।তিনি আরও জানান, মুরাদ ও শফিকুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা উল্টো প্রতারণার মামলা ও ক্ষয়ক্ষতির হুমকি ধামকি দিচ্ছে।এ অবস্থায় মাঠকর্মী হিসেবে থাকা তারা ২৫ জন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ওই দুই প্রতারকের বিরুদ্ধে থানায়, সেনাবাহিনী ক্যাম্পসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার মেলেনি। এমতাবস্থায় সংবাদ সম্মেলনে ওই দুই প্রতারকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ সহ ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা উদ্ধারে প্রশাসনের সহায়তা কামনা করা হয়।সংবাদ সম্মেলনে প্রতারণা শিকার মাঠকর্মী সালমা খাতুন, বেবি খাতুন, তিথি ইয়িসমিন, লিশা বেগম, মিনা খাতুন উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

কুষ্টিয়ায় শীতার্ত দুঃস্থদের মাঝে বিজিবির কম্বল বিতরণ

যশোরে স্বাস্থ্য স্যানিটেশন ও আবাসন প্রকল্পের নামে ৪ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট টাইম : ০২:২৫:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫

যশোরে স্বাস্থ্য স্যানিটেশন ও আবাসন প্রকল্পের নামে ৪ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন


নজরুল ইসলাম বিশেষ প্রতিনিধি: যশোর জেলা কৃষি শ্রমিক ইউনিয়ন ও মানবসেবা ট্রেডার্স লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য স্যানিটেশন ও আবাসন প্রকল্পের নামে ৪ কোটি টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। নামমাত্র জামানতের বিনিময়ে দুই কক্ষবিশিষ্ট ঘর, বাথরুম, পানির ট্যাংকি ও সাবমারসিবল পাম্প স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় পাঁচ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে এ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে।

ভুক্তভোগীরা সোমবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী ফাতেমা খাতুন। তিনি জানান, মনিরামপুর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের মুরাদ হোসেন ও স্বরূপদাহ গ্রামের শফিকুজ্জামান ২০২৪ সালের নভেম্বরে মাসে মণিরামপুর, অভয়নগরসহ ৮ উপজেলায় যশোর জেলা কৃষি শ্রমিক ইউনিয়ন ও মানবসেবা ট্রেডার্স লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান খোলেন। এরপর তাদের ২৫জনকে মাঠ কর্মী হিসেবে নিয়োগ দেন।

বিদেশী সহয়াতায় নামমাত্র মূল্যে বাড়ি, বাথরুম, সাবমারসিবল ও সোলার লাইট স্থাপনের জন্য সদস্য সংগ্রহের দায়িত্ব দেন। তারা গ্রামে গ্রামে ঘুরে পাঁচ হাজার গ্রাহক সংগ্রহ করেন। যাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় প্রায় ৪ কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করে প্রতিষ্ঠানে জমা দেয়া হয়। এক বছর অতিবাহিত হলেও কোন গ্রাহককে ঘর, বাথরুম, সাবমারসিবল ও সোলার লাইট কিছুই স্থাপন করে দেওয়া হয়নি।

গত দুই মাস আগে মুরাদ ও শফিকুজ্জামান আত্মগোপনে চলে যান। এখন গ্রাহকরা তাদের টাকা ফেরত পেতে তাদের উপরে চাপ সৃষ্টি করছে।তিনি আরও জানান, মুরাদ ও শফিকুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা উল্টো প্রতারণার মামলা ও ক্ষয়ক্ষতির হুমকি ধামকি দিচ্ছে।এ অবস্থায় মাঠকর্মী হিসেবে থাকা তারা ২৫ জন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ওই দুই প্রতারকের বিরুদ্ধে থানায়, সেনাবাহিনী ক্যাম্পসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার মেলেনি। এমতাবস্থায় সংবাদ সম্মেলনে ওই দুই প্রতারকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ সহ ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা উদ্ধারে প্রশাসনের সহায়তা কামনা করা হয়।সংবাদ সম্মেলনে প্রতারণা শিকার মাঠকর্মী সালমা খাতুন, বেবি খাতুন, তিথি ইয়িসমিন, লিশা বেগম, মিনা খাতুন উপস্থিত ছিলেন।