নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরের শার্শা উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলার লক্ষনপুর ইউনিয়নের নৌকার কর্মিদের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী শামছুর রহমানের তিন কর্মীকে কুপিয়ে জখম করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) রাত ১টার দিকে ইউনিয়নের কলোনীপাড়া (মান্দারতলা) এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। আহতরা হলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী শাহীন কাদির (২৭), তোতা মিয়া (৪৩), ওমর ফারুক (৩৩)। এদের মধ্যে ওমর ফারুকের অবস্থা আশংকাজনক। এদের দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে ও রামদা দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করা হয়।
স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শামছুর রহমানের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, আমার পিতার প্রচারণা শেষে বাড়িতে ফেরার সময় নৌকার সমর্থক সাবেক চেয়ারম্যান কামাল ভূইয়া এর নেতৃত্বে, চিহিৃত মাদক মামলার আসামী জব্বার আলী, শামীম হোসেন (৩৮), প্রবল আলী (৩৪), নিশান আহমেদ (৩২), বিপুল হোসেন (৩৯), জামিল হোসেন (৩৮), শিপন আলী (৩২), লতিফ হোসেন (৪৫), খোকন হোসেন (৩৫) তাদের কুপিয়ে আহত করে।
তাদের চিৎকারে আশে পাশের লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা মোটর সাইকেলে পালিয়ে যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শামছুর রহমান জানান, আমাকে নানা ভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য। সম্প্রতি সাবেক চেয়ারম্যান কামাল ভূইয়া নৌকার প্রার্থীর পক্ষে যোগ দিয়ে আমার কর্মিদের উপর হামলা চালাচ্ছে।
ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য সমর্থকদের হুমকি দিয়ে চলেছে। এছাড়াও ১ নং ওয়ার্ড দুর্গাপুর বাহাদুরপুর প্রাইমারি স্কুল, ২ নং রামচন্দপুর ওয়ার্ড রহিমপুর মাদ্রাসা, ৩ নং ওয়ার্ড শিকারপুর প্রাইমারি স্কুল, ৮ নং বহিলাপোতা প্রাইমারি স্কুল ও ৪ নং লক্ষনপুর প্রাইমারি স্কুল ভোট কেন্দ্র দখল করে নৌকার সিল মারার পরিকল্পনা করেছেন বলে জানান তিনি। প্রশাসনের কাছে তিনি নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণের আবেদন করেছেন।
এ বিষয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ারা খাতুন বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মিরা উত্তেজিত হয়ে নানা কথাবার্তায় বলায় এ ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি। একত্রে বসে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলা হবে।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম খান জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন। মামলার পর আসামী আটকে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।