1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
দৌলতপুর সীমান্তে বিজয়া দশমীকে ঘিরে দুই বাংলার মিলন মেলা - dailynewsbangla
শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ০২:০৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
ফলন ভালো হলেও দাম নিয়ে হতাশায় নওগাঁর কাঁচা মরিচ চাষীরা  ঘোড়াঘাটে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকটে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত মৎস্যজীবী হত্যার ৩ নম্বর আসামি  র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার রাজশাহীতে সেনা অভিযানে হত্যাসহ অসংখ্য মামলার আসামি জুলুসহ গ্রেপ্তার-৩ মান্দায় ইউএনও শাহ আলম ইউক্যালিপটাসের চারা নিধন করলেন প্রেমের টানে মেয়ের নানার বাড়িতে ছেলের অনশন, বিয়েতে অনীহা ছেলের পরিবারের রূপগঞ্জের পূর্বাচলে জবাইকৃত ৫টি ঘোড়া উদ্ধার, একজন আটক বোয়ালমারীতে মাদক কারবারি আটক ভেড়ামারায় পদ্মা নদীর ভাঙ্গন পরিদর্শন করলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মান্দায় মাদ্রাসা ভবন নির্মাণের সামগ্রী নিয়ে উধাও শ্রমিকেরা

দৌলতপুর সীমান্তে বিজয়া দশমীকে ঘিরে দুই বাংলার মিলন মেলা

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৫ অক্টোবর, ২০২২

মানজারুল ইসলাম খোকনঃ “ধর্ম যার যার উৎসব সবার“ বিজয়া দশমীকে ঘিরে নানা আয়োজন ভাগাভাগী করতে দুই বাংলার মানুষের উৎসব। এপারে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুরের ধর্মদহ সীমান্ত ও ওপারে নদীয়া জেলার করিমপুর থানার শীকারপুর সীমান্ত, দুই বাংলা শুধুমাত্র পদ্মার শাখা মাথাভাঙ্গা নদী দ্বারা বিভাজন।

প্রতি বছরেই হাজারও বাংলাদেশি উৎসুক জনতার ভিড় হয় এই মাথাভাঙ্গা নদীর পাড়ে। শুধু এই এলাকার মানুষের মধ্যে বিজয়া দশমীকে ঘিরে আনন্দ নই, ছুটেআসে আশপাশের জেলা থেকেও অনেক দর্শনার্থী। দুর দুরান্ত থেকে আশা সাধারন মানুষ গুলো আশে মুলতঃ ওপার বাংলার আত্মিয়-স্বজনদের সাথে কুশলবিনিময় করতে। একবছর পর পর তারা একে অপরকে দেখে মহা খুশি। প্রতি বছর এই দিনের অপেক্ষায় থাকে তারা। কবে আসবে সনাতন ধর্মাবলম্বিদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা।

পাশের জেলা পাবনা ইশ^র্দী থেকে জামাল উদ্দীন এসেছে ওপারের করিমপুর থানা এলাকার জয়নাল শেখ এর সাথে দেখা করতে। তারা আপন চাচাত ভাই, প্রতিবছর এখানে আসে দেখা করার জন্য ও মিষ্টি আদান প্রদান করতে।

বিলকিস খাতুন মেহেরপুর থেকে তার মামার সাথে দেখা করতে. প্রতি বছরের ন্যায় এবারও এসেছে মিষ্টি নিয়ে , নদীর এপার ওপার দাড়িয়ে হাত নাড়িয়ে কুশল বিনিময় করে। কিন্তু একটু সুযোগ পেলেই  মিষ্টি আদান প্রদান অপেক্ষায়।

ওদিকে জিরো পয়েন্টে এই দিনটিকে ঘিরে বি.এস.এফ ও বাংলাদেশ বর্ডারগার্ড জওয়ানদের তৎপরতা অনেক বেশি থাকে। কড়া নজরদারিতে রাখে দু-পারের সাধারন মানুষকে যেন কেউ নদী পেরিয়ে এপার-ওপার হতে না পারে। সামান্য সময়কে ঘিরে উৎসুক জনতা আনন্দে মেতে থাকে, যখন দেবী দুর্গাকে ঢাকের তালে তালে এই মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে নিয়ে আসে সনাতন ধর্মাবলম্বিদের সকল ভক্তরা বিসর্জনের জন্য। সন্ধ্যা পর্যন্ত সবাই অপেক্ষায় থাকে যতক্ষননা শেষ বিসর্জনের জন্য সনাতন ধর্মাবলম্বিদের দুর্গাপুজা বিসর্জন না হয়।

একাধিক পুজামন্ডপ থেকে আসে দলবেধে একের পর এক ঢাকের তালেতালে নাচা-নাচি করতে করতে। এ এলাকায় দেখা গেছে প্রায় ১৮-২০ প্রতিমা বিসর্জন করেছে সনাতন ধর্মাবলম্বির ভক্তরা। বেলা যতো পশ্চিমে গড়তে থাকে মাথাভাঙ্গা নদীর পাড় কানায় কানায় ভরতে থাকে উৎসুক জনতা। অপেক্ষায় থাকতে হয় কখন আসবে ঢাক ও নৃত্যের তালেতালে প্রতিমা বিসর্জন দিতে ভক্তরা। সন্ধ্যা লাগার আগেই এসে হাজির হয় মাথাভাঙ্গা নদীর পাড়ে প্রতিমা। শেষ বিদায় জানাতে মরিয়া হয়ে উঠে সনাতন ধর্মাবলম্বির ভক্তরা। সন্ধ্যায় মাথাভাঙ্গা নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শারদীয় দুর্গা উৎসবের ইতিটানে। ভক্ত ও দর্শনার্থিরা ফিরে আসে আপনালয়ে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ