কাজী মোস্তফা রুমি, স্টাফ রিপোর্টার:আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূল আ’লীগকে ঢেলে সাজানো ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নাগরপুর উপজেলা আ’লীগের নির্দেশে সহবতপুর ইউনিয়ন আ’লীগের উদ‍্যোগে ১৯ই ফেব্রুয়ারি’২৩ রবিবার বিকেল ৪:০০ ঘটিকার সময় সহবতপুর দক্ষিণপাড়া সরকার বাড়িতে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উক্ত মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে আসন অলংকৃত করেন নাগরপুর-দেলদুয়ারের গণমানুষের নেতা, তৃণমূলের প্রাণের স্পন্দন, টাঙ্গাইল জেলা আ’লীগের অন্যতম প্রভাবশালী কর্মীবান্ধব জননেতা তারেক শামস্ খান হিমু।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাগরপুর উপজেলা আ’লীগের সম্মানিত সভাপতি, মেধাবী ব্যক্তিত্ব, সফল নেতৃত্ব আলহাজ্ব জাকিরুল ইসলাম উইলিয়াম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে আরোও উপস্থিত ছিলেন নাগরপুর উপজেলা আ’লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক, নাগরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বারবার নির্বাচিত সফল ও মানবতার চেয়ারম্যান মো: কুদরত আলী।

এছাড়া সহবতপুর ইউনিয়নের প্রত্যেকটি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ স্বতঃস্ফূর্তভাবে উপস্থিত ছিলেন।

সহবতপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সিনি: সহ-সভাপতি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ উজ্জ্বল সরকার এর সঞ্চালনায় আলোচনা পর্বে তৃণমূল নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন, স্থানীয় সাংসদ উপজেলা আ’লীগকে পাশ কাটিয়ে বিএনপি জামায়াতের সমর্থক দিয়ে বিভিন্ন নির্বাচনী কেন্দ্রের কেন্দ্র সুরক্ষা নামক অগঠনতান্ত্রিক অবৈধ কমিটি গঠন করেছেন, যা দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী। আমরা তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ এর তীব্র নিন্দা জানাই।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জননেতা তারেক শামস্ খান হিমু ভাষার মাসে ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন- এখানে ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ তাদের মনের কথাগুলো অত্যন্ত সুন্দর ও সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। আমি তাদের সাথে একমত পোষণ করে স্থানীয় সাংসদকে অনুরোধ করছি আপনি কেন্দ্রীয় আ’লীগের নির্দেশনা মোতাবেক উপজেলা আ’লীগের নেতৃত্বে দলকে শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে পরামর্শ প্রদান করুন এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরিবেশ সৃষ্টি করুন।

অন্যথায় দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য অত্যন্ত কঠিন পরিবেশের সৃষ্টি হবে, যার দায় এককভাবে আপনাকেই নিতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নাগরপুর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাকিরুল ইসলাম উইলিয়াম বলেন – আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কার জয়কে ধরে রাখতে হলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।

আমরা নাগরপুর উপজেলা আ’লীগ ঐক্যবদ্ধ রয়েছি। উপজেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দকে পাশ কাটিয়ে কেউ যদি তৃণমূলের নেতৃবৃন্দকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে আমরা তা মেনে নেব না এবং কঠিনভাবে তা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করব।

আসুন আমরা সকলে সম্মিলিতভাবে কাজ করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কার জয় সুনিশ্চিত করি।

এছাড়া বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নাগরপুর উপজেলা আ’লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক মো: কুদরত আলী বলেন- মাননীয় সাংসদ আপনি যেভাবে উপজেলা আ’লীগকে পাশ কাটিয়ে তৃণমূলের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে কেন্দ্র সুরক্ষা নামক অবৈধ কমিটি করেছেন, তা দলের গঠনতন্ত্র বিরোধী।

বর্তমান পরিস্থিতিতে আপনি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃণমূলের নেতৃবৃন্দদের মতামতের ভিত্তিতে আপনি মনোনয়ন পাচ্ছেন না, এটা সুনিশ্চিত হয়ে গেছে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাগরপুর দেলদুয়ারের সন্তান এবং তৃণমূলের নেতৃবৃন্দের সাথে যারা সার্বক্ষণিক সম্পৃক্ত রয়েছেন তাদের থেকেই নৌকা প্রতীকে মনোনয়নের দাবি উঠেছে।

আমরাও উপজেলা আ’লীগ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কার মনোনয়নের ক্ষেত্রে তৃণমূলের নেতৃবৃন্দদের মতামতের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করছি।

এছাড়া মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন নাগরপুর উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি বাবু গোপাল চন্দ্র সাহা, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নাজমুল হক তপন, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক বি.এম.এম জহুরুল আমিন,শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আব্দুল লতিফ মিয়া, প্রবীণ আ’লীগ নেতা মোঃ আবুল কাশেম প্রমূখ।

উক্ত মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন নাগরপুর উপজেলা আ’লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা আ’লীগের সদস্য মোঃ আব্দুল আলিম, মো: সামেজ মিয়া,শাহিদুল হক কিরন ও মো: ছানিয়ার হোসেন।

আরো উপস্থিত ছিলেন মামুদনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মোঃ জজ কামাল, সহবতপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সাবেক সভাপতি মোঃ নুরু সরকার, দপ্তিয়র ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি মো: আবুল হাশেম, জাতীয় শ্রমিক লীগ নাগরপুর উপজেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মোঃ বাদশা মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা আনিসুর রহমান নান্নু, নাগরপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, উদীয়মান তরুণ আ’লীগ নেতৃত্ব ভিপি আল-মামুন সহ উপজেলা আ’লীগ, সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।