সাবেক মেম্বারের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীর জমি জবর-দখল করে ঘর তোলার অভিযোগ
দশমিনা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মোফাজ্জেল হক নামে এক ব্যবসায়ীর জমি দখল করে রাতের আধাঁরে ঘর নির্মানের অভিযোগ উঠেছে সাবেক ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে। পাশাপাশি তাঁরা ওই জমিতে বনজ ও ফলজ গাছ কেঁটে লুট করেছেন। এসময় অবরুদ্ধ করে রাখা হয় তার পরিবারের লোকজনকে।
(২৫) আগস্ট শুক্রবার উপজেলার বেতাগী সানকিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মোজাম্মেল হকের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার গভীর রাতে বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের ০২ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মানিক বিশ্বাস ৪০ থেকে ৪৫ জন ভাড়াটিয়া লোক নিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মোফাজ্জেল হকের ৭ শতাংশ জমি দখল করে সেখানে টিনের ঘর তোলেন । এ সময়ে তাদের রোপিত বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেঁটে নিয়ে যায়। তারা বিষয়টি ৯৯৯ কে জানালে দশমিনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘর নির্মান কাজ বন্ধ করে দিয়ে তাদের উভয়ের কাগজপত্র নিয়ে থানায় হাজির হতে বলেন।
মোফাজ্জেল হক বলেন, আমার দাদার ক্রয় সূত্রে এই জমি আমারা ৫০-৬০বছর ভোগ দখলে আছি । এই জমি নিয়ে নির্বাহী আদালতের আমাদের দখল রায় আছে এবং জেলা জজ আদালতে মামলা করি ওই মামলার নোটিশ পেয়ে মানিক বিশ^াস শুক্রবার গভীর রাতে এলাকায় ত্রাস সৃস্টি করে, আমাদের অবরুদ্ধ করে আমাদে ভোগ দখলি জমিতে ঘর নির্মান করে। আমরা ৯৯৯ ফোন করলে দশমিনা থানা পুলিশ আমাদের উদ্ধার করে এবং ঘর নির্মান কাজ বন্ধ করে।
তবে সাবেক ইউপি সদস্য মানিক বিশ্বাস সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ক্রয়সূত্রে ওই জমির মালিক। দুই হাজার উনিশ সালে বায়না করি এবং দুই হাজার তেইশ সালে কবলা মূলে সাব রেজিস্ট্রি করি। আমি আমার কবলাকৃত দখলীয় জমিতে ঘর নির্মান করেছি। মোফাজ্জেল হক লোকজন নিযয়ে আমাকে বাঁধা দিয়ে থানা পুলিশে অভিযোগ করে ঘর নির্মানে বাঁধা দিয়েছেন। ওই ব্যবসায়ী তার জমি দখলে আছেন দখলে থেকে উল্টো আমাকে হয়রানি করছেন।
এ বিষয়ে দশমিনা থানার উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) আবির গোলদার বলেন, ৯৯৯ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে প্রাথমিক ভাবে ঘরের কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়। ওই জমি যে অবস্থায় আছে, সে অবস্থায় থাকবে। মালিকানার বিষয়টি আদালত নির্ধারণ করবেন