বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে অপহরণ, ধর্ষণ মামলার দুই আসামি ও দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে স্থানীয় থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত তিন আসামিকে মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে ফরিদপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অপরদিকে ধর্ষণের ভিকটিমকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর পাঠানো হয়েছে। জানা যায়, উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের দরিরামদিয়া গ্রাম এলাকার ৯ম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীকে (১৫) অপহরণ করে ধর্ষনের মামলার ২ নং আসামি উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের দরিরামদিয়া গ্রামের দেলোয়ার মোল্যা (৪০), ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে (১৪) অপহরণের মামলায় সালথা উপজেলার বারখাদিয়া গ্রামের জাহিদ হোসেনের ছেলে মো. মহিউদ্দিন রাব্বী (১৮) এবং ০২ বছরের সাজা প্রাপ্ত আসামি বোয়ালমারী উপজেলার মোবারকদিয়া গ্রামের পাচু খার ছেলে মো. আলমগীর খাঁকে গ্রেপ্তার করে বোয়ালমারী থানা পুলিশ। সোমবার রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। নবম শ্রেণির ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে দরিরামদিয়া গ্রামের দেলোয়ার মোল্যার ছেলে ইয়াসিন মোল্যা (২০) সহযোগীদের নিয়ে ২৪ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪টার দিকে মুজুরদিয়া মাদরাসার আগে ফাঁকা জায়গা থেকে মাইক্রোবাস যোগে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর পিতা; ইয়াসিন মোল্যা, পিতা দেলোয়ার মোল্যা ও দাদা রশিদ মোল্যাসহ অজ্ঞাত আরও দুইজনের নাম উল্লেখ করে বিজ্ঞ আদালতে অপহরণ ও গণধর্ষণের অভিযোগ দিলে আদালতের নির্দেশে ১৩ অক্টোবর বোয়ালমারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/২০০৩) এর ৭/৯(১)/৩০ ধারায় মামলাটি নথিভূক্ত করা হয়। মামলা নং ১০। অপরদিকে গুনবহা ইউনিয়নের চন্দনী এলাকা থেকে ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে গত ৮ অক্টোবর ইজিবাইকে করে অপহরণ করার অভিযোগে সোমবার (১৬ অক্টোবর) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/২০০৩) এর ৭/৩০ ধারায় মামলা করেন ছাত্রীর পিতা। মামলা নং ১৩। এ মামলায় সালথা উপজেলার বারখাদিয়া গ্রামের মো. মহিউদ্দিন রাব্বী এবং বোয়ালমারী উপজেলার উমরনগর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের দুই ছেলে কামাল হোসেন ও সুমনকে আসামি করা হয়। বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার ২ নং আসামি দেলোয়ার মোল্যা (৪০), অপহরণ মামলার আসামি মো. মহিউদ্দিন রাব্বী (১৮) এবং ০২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. আলমগীর খাঁকে সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদের মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে চালান করা হয়েছে। অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার ভিকটিমকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।