ডাক্তারদের কাছে ঔষুধ কোম্পানিগুলো জিম্মি:বন্ধ হচ্ছেনা নকল ওষুধ তৈরির প্রবণতা
মোহাম্মদ আককাস আলী :ডাক্তারদের কাছে ঔষুধ কোম্পানিগুলো জিম্মি হওয়ায় বন্ধ হচ্ছেনা নকল ওষুধ তৈরির প্রবণতা। ডাক্তারদের চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে ওইসব নিম্নমানের ঔষুধগুলো ফার্মাসি গুলোতে ছড়াছড়ি।
দেশজুড়েই অবাধে বিক্রি হচ্ছে নকল ও ভেজাল ওষুধ। নানা উদ্যোগেও তা বন্ধ হচ্ছে না।
মূল কোম্পানির ওষুধের মতো হুবহু লেবেলে নকল ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। আর এসব ওষুধ কিনে প্রতারিত হচ্ছে ক্রেতারা। দেশে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে নকল ওষুধ তৈরির রমরমা ব্যবসা। নকল বা ভেজাল ওষুধে বাজার সয়লাব হয়ে যাওয়ার বিষয়টি বহুল আলোচিত। দিন দিন এসব ভেজাল ওষুধ তৈরির প্রবণতা বেড়েই চলেছে। এক শ্রেণির অসৎ ও মুনাফালোভী ব্যবসায়ী বাজারে বিক্রয় করছেন বিভিন্ন ধরনের নকল, ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ।
ক্যানসারসহ বিভিন্ন জটিল রোগের নকল ওষুধ ক্রয় করে মানুষ কীভাবে প্রতারিত হচ্ছে, তা বারবার গণমাধ্যমে এসেছে। বাংলাদেশে ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত ক্ষতিকর প্যারাসিটামল সিরাপ খেয়ে কয়েক হাজার শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। এর সংখ্যা প্রায় দুই হাজারেরও বেশি বলা হয়েছে সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের হিসাবে। বাংলাদেশে নকল ও ভেজাল ওষুধ কি পরিমাণে তৈরি হয় তার সঠিক কোনো তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। নকল ও ভেজাল ওষুধ তৈরি ও বাজারজাত করার কাজে অনেক ছোট কোম্পানিও জড়িত আছে-এমন তথ্য পাওয়া যায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে।
ওষুধের মান নিয়ে তাই প্রতিনিয়ত বিভ্রান্ত ও প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। ভেজাল, নকল ও নিম্নমানের ওষুধ সেবন করে রোগীরা আরো জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। অনেক সময় এসব ওষুধ সেবনে রোগী মারাও যাচ্ছে।
তথ্য রয়েছে, এ চক্রকে সহযোগিতা করছে অতি মুনাফালোভী কতিপয় ফার্মেসি মালিক ও কতিপয় ডাক্তার । ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালালেও ভেজাল ওষুধের দৌরাত্ম্য কোনভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছে না। এক সূত্র থেকে জানা গেছে, ওষুধ প্রশাসনের অসাধু চক্র রহস্যজনক কারণে বাজার থেকে নকল ওষুধ জব্দ করার কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না গত কয়েক মাস ধরে। এমনকি নিষিদ্ধ কোম্পানীগুলোর ওষুধ তৈরী ও বাজারজাত করার সুযোগ দিচ্ছে।