হিরণ পাটোয়ারী বিশেষ প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজমূল হুদা পটলের মনোনয়নপত্র আপিলে বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সোমবার সকালে নির্বাচন কমিশনে আপিলের শুনানিতে পটলের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। এ খবর এলাকায় পৌঁছালে উপজেলায় সাধারণ ভোটার ও সমর্থকদের মাঝে আনন্দের জোয়ার বইছে।
এর আগে রোববার একই আসনের স্বতন্ত্র অপর প্রার্থী ফিরোজ আল মামুন এর মনোনয়নপত্র আপিলে বৈধ ঘোষনা
করা হয়।
উল্লেখ্য গত ৪ ডিসেম্বর সকালে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে ১% সমর্থকের কাগজ পত্রে ত্রুটির কারণ দেখিয়ে নাজমূল হুদা পটল বিশ্বাসের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এহেতেসাম।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়ন বাতিল করে দেওয়ার পর নিয়মানুযায়ী নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন নাজমূল হুদা পটল। সেই আপিলেই তাঁর মনোনয়নকে বৈধ ঘোষণা দিল নির্বাচন কমিশন।
সোমবার (১১ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে আপিল শুনানির কার্যক্রম শুরু হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা আপিল শুনানি কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন।
গত ৩০ নভেম্বর দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এবং সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ওবাইদুল্লাহ ।কুষ্টিয়া-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজমূল হুদা পটল মনোনয়নপত্র জমা দেন।
গত তিন দশক ধরে কুষ্টিয়া-১ আসনে নিরলসভাবে নানামুখী উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের আমৃত্য সভাপতি ও সাবেক সাংসদ প্রয়াত আফাজ উদ্দিন আহমেদ। তার মৃত্যুর পর এই আসনে প্রথমবারের মত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়ন তুলেছিলেন সাবেক সাংসদ
প্রয়াত আফাজ উদ্দিন আহমেদের বড় ছেলে নাজমূল হুদা পটল দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোটের মাঠে লড়বেন। দৌলতপুর উপজেলায় পটল নানা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এলাকার উন্নয়নে মানুষের সেবায় নিজেকে নিবেদন করেছেন তরুণ এ রাজনীতিক।
নাজমূল হুদা পটল বলেন, ‘মহান আল্লাহ সহায় থাকলে অবশ্যই সাধারণ মানুষের ভালোবাসা এবং আমি বিপুল ভোটের মধ্য দিয়ে বিজয়ী হতে পারব। কুষ্টিয়া-১ আসনের সর্বসাধারণ আমার কষ্টের প্রতিদান দেবেন ও বাবার হারানো আসন ফিরে পাব বলেই আমি বিশ্বাস করি।