দশমিনা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি
পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় চর আজমাইন ও চর ফাতেমা দখল নিয়ে বিএনপির দু’ই গ্রæপে সংঘর্ষে আহত এক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের চর ফাতেমা ও চর আজমাইন নিয়ে কার্ড হোল্ডাদের মধ্যে বিরোধ চলোমান। এ চর দখলনিয়ে গত কয়েক মাস বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন যুবদল ও উপজেলা কৃষক দলের মধ্যে দফায় দফায় দওয়া ও পাল্ট দাওয়া বহমান। প্রকৃত কার্ড হোল্ডাদের নিয়ে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি কাজী হাসান সহ সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মাস দুই আগে চর ফাতেমায় এলাকায় বেড়ি দেয়। উক্ত বেড়ির মধ্যে গত বুধবার রাতে উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব কাওসার আলম রিকচ সহ সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ নিজেদের জমি দাবি করে ঘর তোলে এবং সাইদুল নামের এক চাষিকে জমি বুজিয়ে দেয়। উক্ত বেড়ির মধ্যে ঘর তোলায় বাশঁবাড়িয়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি কাজী হাসান সহ ২০ -২৫ জন ওই ঘর ও ট্রাকটর ভাংচুর, তরমুজের বীজ লুট একং চাষি সাইদুল কে মারধর করে নিয়ে আসে। পরে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম শানু এর ঘর থেকে উদ্ধার করে দশমিনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে স্বস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ রাহুল বিন হালিম এর চিকিৎসাধীন আছে।
আহত চাষি সাইদুল আজকের পত্রিকা প্রতিনিধিকে জানান, আমি দীর্ঘ দিন জমি চাষ করি। কোন সময় কোন সমস্যা হয়নি। গত শুক্রবার সকালে কাজী হাসান, ছিদ্দিক, ঝুবরাজ, আনু সহ ২০-২৫ জন চরে আমার বাসা ও ট্রাকটর ভাংচুর করে নদীতে বাসিয়ে দেয়। প্রায় ২ লক্ষ টাকার তরমুজের চারা ও বীজ লুট কর্ েআমাকে বেদম মারধর করে পাতাবনে নিয়ে যায় জবাই করার জন্য পরে দশমিনা শাহআলম শানুর বাঁশবাড়িয়া বাসায় নিয়ে আসে। আমি কিভাবে কি ভাবে হাসপাতালে আসছি জানিনা।
উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব কাওসার আলম রিকচ খান জানান, আমি চর আজমাইনে দীর্ঘদিন জমি ভোগ দখলে আছি। যুবদরের সভাপতি কাজী হাসান আমার জমি অবৈধ ভাবে দখল করে বেড়ি দেয়। আমার জমিতে পূর্ব থেকে ঘর তুলে চাষি দিয়ে জমি চাষাবাদ করাই। গত শুক্রবার আমার চাষিকে কাজী হাসান নজরুল, ঝুবরাজ, আনু, ছিদ্দিক সহ ২০-২৫ জন মারধর করে জবাই কারার জন্য পাতা বনে নিয়ে যায় এবং তরমুজের বীজ, চাড়া নিয়ে যায়, ট্রাকটর ও ঘর ভাংচুর করে নদীতে ভাসিয়ে দেয়। এই খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে চাষিকে না পেয়ে আমি দশমিনা থানায় জানাই। বিকেলে উপজেরা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এর বাসা থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি। আমার চাষি আসুস্থ,সুস্থ হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
বাঁশাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এনায়েত করিম শনিবার সকাল ১১ টায় বাঁবাড়িয়াস্থ বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে সাংবাদ সন্মেলনের মাধ্যমে জানান, চরের বিষয় আমি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকে আগেই অবগত করেছি। তিনি ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক ইয়াছিন বিষয়টি সমাধা করে দিয়েছে। উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব আমার কাছে আসছে আমি বলছি তোমার কার্ড নিয়ে আসো দেখি জমি চর আজমাইনে না চর ফাতেমায় কিন্তু তিনি আসেনি। না এসে রাতের আধারে আরেকজনের বেড়িবাঁধা জমিতে জোর করে ঘর তোলে চাষিকে জমি বুজিয়ে দেয়। তার চাষিকে মারধর করা হয়নি। উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের কাছে উভয় লোক জন গিয়াছে। তিনি ব্যস্ত থাকায় পরে দেখবে বলেছেন। তিনি আরো বলেন কার্ড যার জমি তার। কোন জুলুম বা দখলবাজি চলবেনা। দখল বা জুলুমবাজি করলে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের চাষিরা ছেড়ে দেবেনা। আমরা চাই প্রকৃত কার্ড হোল্ডার জমি ভোগ করবে।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জানান আমি এ বিষয় জানিনা। আমাকে বিএনপির কয়েকজন নেতৃবৃন্দ বিষযটি জানিয়েছে আমার বাড়িতে একটি অনুষ্ঠান থাকায় বলছি পরে বিষটি দেখবো । কোন চাষিকে আমার বাসায় আনা হয়নি।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোহাম্মাদ আবদুল আলিম জানান, গত কাল বিকেলে কাওসার খান আমাকে জানিয়েছেন। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।