1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
এক কেজি বেগুনের দামে চার কেজি আলু! - dailynewsbangla
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৪:০৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
বগুড়া সান্তাহারে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার বগুড়ায় ঔষধ ব্যবসায়ীদের প্রতীকি ধর্মঘট পালন নওগাঁয় ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন  বগুড়া আদমদীঘিতে সড়ক দুর্ঘটনায় এক মোটরসাইকেল আরোহীদিন মৃত্যু   কৃষকদের সমাবেশ ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ দশমিনায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের গলায় ফাঁস দিয়ে আত্ম হত্যা ভিকটিম উদ্ধারপূর্বক মূল অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১২ বগুড়া আদমদীঘিতে প্রচন্ড তাপদাহে  বেড়েছে ঠান্ডা পানী গ্লুকোজ ও ডাবের দাম  বোয়ালমারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে একজনের মৃত্যু  বের হচ্ছে থলের বিড়াল, প্রকাশ হচ্ছে রুয়েট কর্মকর্তার নানা জালিয়াতি

এক কেজি বেগুনের দামে চার কেজি আলু!

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৭
ফাইল ছবি

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার হাট-বাজারে সব ধরনের শাক-সবজির দাম বাড়লেও আলুর দর পতন অব্যাহত রয়েছে। সেখানে এক কেজি বেগুণের দামে চার কেজি আলু (পুরাতন) মিলছে। বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায় এবং আলু (পুরাতন) বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা কেজি দরে।

এদিকে, ন্যায্য দাম না পাওয়ায় কৃষকরা হিমাগার থেকে আলু উত্তোলন করছেন না। কেউ কেউ সংসারের প্রয়োজনে হিমাগারে রাখা আলু পানির দরে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে আলুর দাম কমায় ক্রেতারা খুশি হলেও কৃষকরা দিশেহারা ও হতাশ হয়ে পড়েছেন।

আদমদীঘির কদমা গ্রামের আলু চাষি হজরত আলী, মুসা ফকির, রাশেদুল ইসলাম, সুরুজ মিয়া বলেন, ‘আলুর দাম কমে যাওয়ায় আমরা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছি। বর্তমানে যে দরে আলু বিক্রি হচ্ছে তাতে উৎপাদন খরচও উঠবে না।’

গত রবিবার সকালে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, রবি মৌসুমের (শীতকালীন) সব শাক-সবজি উঠেছে। সব শাক-সবজির দাম চড়া। প্রতিকেজি বেগুন ৬০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, ফুলকপি ৮০ টাকা, পালংশাক ১০০ টাকা, কচুর লতি ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা, দেশি পিঁয়াজ ৭০ টাকা ও ভারতীয় পিঁয়াজ ৫৫ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। শুধু আলু বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১৫ টাকা কেজি।

আদমদীঘির চাঁপাপুর এলাকার আতারউর রহমান মিলন মাস্টার বলেন, ‘দাম চড়া হওয়ায় চলতি মৌসুমে আমরা সবজি কিনতে হিমশিম খাচ্ছি। তাই দ্রুত এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের নজর দেওয়া প্রয়োজন।’

তিনি আরও বলেন, ‘সব সবজির দাম চড়া হলেও আলুর দাম অনেক কম। কারণ গতবছর পর্যাপ্ত পরিমান আলু উৎপাদন হয়। আবার বাজারে চলতি বছরের নতুন আলু আসা শুরু করেছে। তাই গত বছরের আলু বিক্রি না হওয়ায় এখন দাম কমেছে।’

কুণ্ডুগ্রামের হাফিজুর রহমান বলেন, ‘কৃষক পর্যায়ে সব সবজির দাম অনেক কম। কিন্তু হাত বদল হয়ে সবজি বাজারে আসতে আসতে দাম দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ হয়ে যাচ্ছে। ফলে আমাদের মতো সাধারণ মানুষজনকে সবজি কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।’

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়নে গত মৌসুমে পাঁচ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আলু চাষ করা হয়েছে। আলু উৎপাদন হয়েছে প্রায় এক লাখ ১০ হাজার মেট্রিকটন। এর মধ্যে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিকটন বিভিন্ন হিমাগারে সংরক্ষণ করেন। বাকি আলু খাবার জন্য দেশীয় পদ্ধতিতে নিজ নিজ বাড়িতে সংরক্ষণ করেছেন কৃষকরা।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ