1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
রাজশাহী কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন দপ্তরের অফিস কর্তা যখন পরিদর্শক - dailynewsbangla
রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ০৫:২৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
পরিচ্ছন্নতার নামে বোয়ালমারী সরকারি কলেজের গাছের বড় বড় ডাল কর্তন দৌলতপুরে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ’ কর্মসূচিতে ভার্চুয়াল শপথ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত জুলাই ‘জুলাই পুনর্জাগরণ’ সমাজ গঠনে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা বরেন্দ্র অঞ্চলে পুরুষ-নারী শ্রমিক একই কাজ করলেও বেতনের বৈষম্য  বোয়ালমারীতে এক গৃহবধূর শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা, গ্রেপ্তার ১ মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি” আলফাডাঙ্গায় গ্রামের বাড়িতে রাইসার দাফন সম্পন্ন লক্ষীপুর চররুহিতা ইউনিয়ন বিএনপি’র কাউন্সিল সভাপতি প্রার্থী নূর হোসেন চৌধুরী আরজু আমাদের  সন্তানদের সামাজিক ও পারিবারিক সুশাসনের খুবই প্রয়োজন – ডিসি তৌফিকুর রহমান দৌলতপুরে জমি নিয়ে বিরোধ: ভাইয়ের হামলায় বোন ও ভাগ্নে গুরুতর আহত, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন রূপগঞ্জে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

রাজশাহী কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন দপ্তরের অফিস কর্তা যখন পরিদর্শক

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৮ মার্চ, ২০২১

রাজশাহী কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন দপ্তরের অফিস কর্তা যখন পরিদর্শক।


মাজহারুল ইসলাম চপল, ব্যুরো চীফঃ অভিযোগ আর অনিয়ম মধ্য দিয়ে চলছে রাজশাহী কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর।দপ্তরটির প্রধান উপমহাপরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ভুইয়া নিজেই নিয়মকে অনিয়মে পরিনত করেছে। এতে হয়ে উঠেছে দূর্নীতির আখড়া।

অভিযোগ উঠেছে দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শকদের তাদের দ্বায়িত্বরত এলাকায় পরিদর্শন করতে দিচ্ছেননা তিনি। পরিদর্শকের পরিবর্তে তিনি নিজেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স নবায়নসহ নতুন লাইসেন্স তৈরীর জন্য চিঠি করছেন অথচ কাজগুলি ছিল পরিদর্শকদের।

পরিদর্শকদের এলাকা পরিদর্শন কাজ স্থগিত রাখায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান গুলো দপ্তরের কর্যক্রম যেন ঝিমিয়ে পড়েছে।এর ফলে কারখানা ও প্রতিষ্ঠান গুলোতে বৃদ্ধি পেয়েছে শিশুশ্রম। সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও বন্ধ থাকছে না কোন প্রতিষ্ঠান। এক কথায় এই দপ্তর অবস্থা এখন হ-য-ব-র-ল এর মত।

একাধিক অভিযোগে জানা গেছে নওগাঁ জেলা শহরে গত নভেম্বর -২০২০ সালের পর থেকে সাপ্তাহিক বন্ধের দিনেও অনেক প্রতিষ্ঠান খোলা থাকছে, স্বভাবতই আইন মান্যকারী প্রতিষ্ঠানগুলো আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। উপ-মহাপরিদর্শক নিজেই পরিদর্শকের ভূমিকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছেন। পরিদর্শকের ভূমিকায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠানে গিয়ে মালিকদের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলছেন বলেও অভিযোগ কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান মালিকদের। আবার দামে দরে না মিললেই হয়রানি শিকার হচ্ছেন প্রতিষ্ঠান ও কল কারখানা মালিকরা।

নাম প্রকাশে অনৈচ্ছুক চাঁপাইনবাবগঞ্জের একাধিক প্রতিষ্ঠান মালিক বলেন, ২০১৯ সালে রাজশাহী অঞ্চলের দ্বায়িতভার গ্রহন করেন উপ-মহাপরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ভুইয়া। তিনি দপ্তরটিতে যোগদানের পর থেকে তার দপ্তরের উচ্চমান সহকারী খায়রুজ্জামানকে সঙ্গে নিয়ে নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। ইতিমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মে তদন্ত হয়েছে, তদন্তে দ্বায়িত প্রাপ্তদের ম্যানেজ করে স্ব-স্থানে বহালতবিয়তে আছেন তারা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের রাইসমিলের এক কলকারখানার মালিক জানান, নামে মাত্র ত্রুটি ধরে দীর্ঘদিন যাবৎ লাইসেন্স নবায়নে হয়রানি করছে ডিআইজি ও পরিদর্শক। অফিসে ডেকে পাঠিয়ে মাসিক চুক্তি ও মোটা অংকের অর্থ দাবি করাও হয় উচ্চমান সহকারী খায়রুজ্জামানের মাধ্যমে। সেই চুক্তি অনুযায়ী টাকা না দেওয়ায় তাদের একের পর এক হয়রানি করা হচ্ছে।

তথ্যানুসন্ধানে প্রতিটি কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠানের মালিকদের নিকট থেকে মাসিক মাসোহারা নেওয়ায়র অভিযোগ উঠে আসে। পরিদর্শক তারেক, নাসরিন আক্তার, ইমরানসহ অনেকেই জড়িয়ে পড়েছেন এই মাসিক মাসোহারায় আদায়ে। দীর্ঘদিন একই দপ্তরে থাকার সুবাদে তারা কোন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা বা মামলা না দিয়ে শুধুমাত্র মাসিক মাসোহারা বিনিময়ে প্রতিষ্ঠান মালিকদের সুবিধা দিয়ে আসছেন।

উল্লেখ্য, এর আগেও উপ-মহাপরিদর্শক ও উচ্চমান সহকারীর বিরুদ্ধে রাতে অফিস করা থেকে শুরু করে ভূয়া বিল ভাউচার তৈরীর অভিযোগে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় একাধিক সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। দপ্তরটি বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয় থেকে কয়েকবার অনিয়মের তদন্ত দিয়েছিল। কিন্তু তদন্তকে প্রভাবিত করে স্বস্থানে বহালতবিয়তে আছেন তিনি।

অনিয়ম আর দূর্নীতি নিয়ে কথা বলতে দপ্তরটি প্রধান উপ-মহাপরিদর্শক মাহাফুজুর রহমান ভূইয়াকে ফোন (০১৫৫৪৩৪৭৭৯৩) দিলে তিনি উক্ত ঘটনা সত্য নয় বলে জানান। তিনি স্বীকার করেন যে, তিনি কলকারখানা পরিদর্শন করেন ও সকলকে অফিসে ডেকে পাঠান। তবে অনৈতিক সুবিধার নেওয়ার কথা অস্বিকার করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ