মো.আককাস আলী,নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: নওগাঁয় পুলিশের সাথে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। ৩০ মার্চ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের কেডির মোড় এলাকায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হেফাজত ইসলোমের কর্মীদের নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুপুর ১২টার দিকে জেলা বিএনপির আহবায়ক হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টা করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এসময় উপস্থিত কিছু পুলিশ সদস্য তাদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়।
এক পর্যায়ে লাঠিচার্জ শুরু করলে বিএনপি নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ ঘটনার দুই-তিন মিনিট পরে বিএনপি নেতা-কর্মীরা আবারো জড়ো হয়ে দলীয় কার্যালয়ের পূর্ব দিক থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পুলিশের সাথে বিএনপি নেতা-কর্মীদের অন্তত ২০ মিনিট ধরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে ব্রিজের মোড়-কলেজ মোড় সড়ক ও কেডির মোড়-ব্রিজের মোড় সড়ক দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে নওগাঁ সদর থানা ও পুলিশ লাইনস থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা রাস্তা ছেড়ে দেন। এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির আহবায়ক হাফিজুর রহমান বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টা করি।
কিন্তু পুলিশ কোনো কারণ ছাড়াই বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ শুরু করে। বিএনপি নেতা-কর্মীরা কেডির মোড় এলাকা থেকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিলে সেখানে পুলিশ টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও গুলি ছোড়ে। এতে দলের অন্তত ৫০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত বিএনপি কর্মী মিলি আখতার ও ছাত্রনেতা আজিজুলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
বাকিদের নওগাঁ সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রকিবুল আক্তার বলেন, অনুমতি ছাড়াই বিএনপি নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করার চেষ্টা করেন। ব্যস্ততম সড়ক দিয়ে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে উপস্থিত সদস্যরা তাঁদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করেন।
এসময় বিএনপি কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশও টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। বিএনপি কর্মীদের হামলায় ছয়-সাতজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে এবং দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।