নুরুল হক রুনু, মদন (নেত্রকোণা): নেত্রকোণার মদনে স্বামী যৌতুকের টাকা না পাওয়া স্ত্রী পলি আক্তারের (২২) গলা কেটে হ্যাত চেষ্টার অভিযোগ এনে মদন থানায় বুধবার একটি লিখিত দায়ের করেছে ভূক্তভোগী বাবা।
অভিযোগে জানা যায়, মদন পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের পূর্ব জাহাঙ্গীরপুর গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে রাসেল মিয়া (২৭) এক বছর পূর্বে বাড়িভাদেরা গ্রামের রশিদ মিয়ার মেয়ে পলি আক্তারকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কোর্টের মাধ্যমে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কিছু দিন যেতে না যেতেই স্বামী রাসেল ও তার মা-বাবা গৃহবধু পলিকে যৌতুকের টাকা জন্য প্রতিনিয়ত চাপ দিয়ে আসছিল।
পলি আক্তার দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায়, তার বাবা-মা এর পক্ষে যৌতুকের টাকা দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। এনিয়ে প্রতিনিয়তই স্বামী সহ শ্বশুর শ্বাশুরির নির্যাতন গৃহবধুর উপর বেড়েই চলছিল। ২৭শে এপ্রিল মঙ্গলবার রাতে স্বামী রাসেল যৌতুকের টাকা জন্য স্ত্রীর সাথে ঝগড়া শুরু করলে গৃহবধু পলি আক্তার সাফ জানিয়ে দেয় যে, যৌতুকের টাকা দেয়া তার বাবা-মায়ে পক্ষে সম্ভনা।
এতে স্বামী ক্ষিপ্ত হয়ে বাবা-মায়ে সহযোগিতায় দা দিয়ে পলিকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টার সময় তার ডাক চিৎকারে প্রতিবেশি লোকজন এসে উদ্ধার করে মদন হাসপাতালে ভর্তি করে।
ভুক্তভোগী পলি আক্তার জানান, এক বছর আগে পূর্ব জাহাঙ্গীরপুর গ্রামের করিমের ছেলে রাসেল আমাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কোর্টের মাধ্যমে বিবাহ করে। এরপর থেকে আমাকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দেয়ার জন্য প্রায়ই মারপিট ও মানুষীক নির্যাতন চালিয়ে আসছে।
মঙ্গলবার রাতে আমাকে আবারো টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। আমি অপারগতা প্রকাশ করায় এক পর্যায়ে আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে গলায় দা দিয়ে আঘাত করে। এ ব্যাপারে আমার বাবা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমি এর ন্যায়বিচার চাই।
মদন থানার ওসি তদন্ত উজ্জ্বল কান্তি সরকার জানান, যৌতুকের জন্য পলি আক্তার নামের এক নারীর বাবা রশিদ মিয়া বুধবার ২৮ এপ্রিল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।আহত নারী হাসপাতালে ভর্তি আছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।