ঢাকা ০৯:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান:  অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন হোসেনাবাদ টেকনিক্যালে একাদশ শ্রেণিতে সবাই অকৃতকার্য বোয়ালমারীতে সদ্য ঘোষিত বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ, টায়ারে আগুন বোয়ালমারীতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, স্বর্ণলঙ্কারসহ কোটি টাকার মালামাল লুট  দৌলতপুরে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ ২০ বছর পর রায়: খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের দুইজনকে হত্যায় ৪ জনের যাবজ্জীবন পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত  প্রশিক্ষণ কোর্স এর উদ্বোধন করলেন এসপি সাফিউল সারোয়ার দিনাজপুরের কৃতি সন্তান রোকমুনুর জামান রনি আবারও বেসিস সহায়ক কমিটিতে নির্বাচিত পদ্মার চরে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৩, গুলিবিদ্ধ ২ যাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে তার পক্ষে কাজ করতে হবে, তারেক রহমান

পটুয়াখালীতে এক সাঁকোতে দুই উপজেলার মানুষের পারাপার

মোঃবেল্লাল হোসেন,দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীতে সেতু না হওয়ায় দশমিনা-গলাচিপা উপজেলার পাঁচ গ্রামের প্রায় ২৫
হাজার মানুষের একসাঁকোতে পারাপার। দশমিনা উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের চাঁদপুরা- গলাচিপা উপজেলার গুয়াবাঁশবাড়িয়া খালে উপর সাঁকোটি নিমার্ণ করে স্থানীয়রা।

বর্ষায় নৌকা আর শুস্ক মৌসুমে এ বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার ওই
এলাকার মানুষ। অপরদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতু না হওয়ায় ওইসব এলাকায় রাস্তাসহ অন্য কোন উন্নয়নও তেমন হয়নি। অবঃ শিক্ষক সাহেদ আলী খাঁন মোহন(৭০)সহওই এলাকার হাজারো মানুষের দাবি এ খালের উপরে একটি পাকা সেতু নির্মানের।

রবিবার সকালে সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের চাঁদপুরা-গুয়া বাঁশবাড়িয়া গ্রামের খালে উঁচু নিচু বাঁশের সাঁকো দিয়ে-সালেহা বিবি (৬৫) ও ডায়রিয়া আক্রান্ত মুছা (১০) পারাপার হচ্ছেন। তারা চিকিৎসা নিতে দশমিনা হাসপাতালে যাবেন বলে জানান । বাঁশের সাঁকোটি উত্তর- দক্ষিনে প্রায় ৫শ থেকে ৬শফুট লম্বা।

খালের উত্তর অংশে গলাচিপা উপজেলার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের
গুয়াবাঁশবাড়িয়া ,গিলাবাড়িয়াসহ দুইটি গ্রামের ও দশমিনা উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের চাঁদপুরা, মধুপুরা, পশ্চিম আলীপুরাসহ তিনটি গ্রামের মানুষ নিরুপায় হয়ে মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো দিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার হতে হয়।

খালের উত্তর পাশের জাফর হোসেন, জামাল মিয়া ও শাহ আলম গলাচিপা উপজেলার বকুল বাড়িয়া ইউনিয়নের গুয়া বাঁশবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা তারা। তারা জানান, চাঁদপুরা-গুয়া বাঁশবাড়িয়া খালে সেতু না থাকায় তাদের গ্রামে পাকা সড়ক হয়নি। ছেলে মেয়েদের স্কুুল-কলেজে যাতায়াত, ফসল পরিবহনসহ উপজেলা সদরে যেতে হয় দূর্ভোগে।

ভরা বর্ষায় খেয়ার নৌকায় ও শুকনোয় মৌসুমে বাঁশের সাঁকো পার হতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আলীপুরার ¯øুইজ বাজারের বাসিন্দা হাবিব বলেন, এই ইউনিয়ন এলাকাটি কৃষি প্রধান ইউনিয়ন। গ্রামের মানুষ, তাদের খেতের ফসল পারাপার এবং জেলা-উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ সেতুটির অভাবে।

তা ছাড়া দুই উপজেলার পাঁচ গ্রামের মানুষ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিতে আনতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সেতু না থাকায় মানুষের দুর্ভোগের সীমা নেই।আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার বাদশা ফয়সাল বলেন, এ খালে সেতু নির্মান খুব তারাতারিই কাজ শুরু করা হবে।

এলজিডির উপজেলা প্রকৌশলী মো. মকবুল আহমেদ জানান, বিষয়টি শুনেছি আগামী উন্নয়ন সমন্বয় সভায় উপস্থাপন করা হবে। যাতে ওই
খালে সেতু নির্মান করা হয়।

Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান:  অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন

পটুয়াখালীতে এক সাঁকোতে দুই উপজেলার মানুষের পারাপার

আপডেট টাইম : ০৯:৩৮:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মে ২০২১

মোঃবেল্লাল হোসেন,দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীতে সেতু না হওয়ায় দশমিনা-গলাচিপা উপজেলার পাঁচ গ্রামের প্রায় ২৫
হাজার মানুষের একসাঁকোতে পারাপার। দশমিনা উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের চাঁদপুরা- গলাচিপা উপজেলার গুয়াবাঁশবাড়িয়া খালে উপর সাঁকোটি নিমার্ণ করে স্থানীয়রা।

বর্ষায় নৌকা আর শুস্ক মৌসুমে এ বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার ওই
এলাকার মানুষ। অপরদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতু না হওয়ায় ওইসব এলাকায় রাস্তাসহ অন্য কোন উন্নয়নও তেমন হয়নি। অবঃ শিক্ষক সাহেদ আলী খাঁন মোহন(৭০)সহওই এলাকার হাজারো মানুষের দাবি এ খালের উপরে একটি পাকা সেতু নির্মানের।

রবিবার সকালে সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের চাঁদপুরা-গুয়া বাঁশবাড়িয়া গ্রামের খালে উঁচু নিচু বাঁশের সাঁকো দিয়ে-সালেহা বিবি (৬৫) ও ডায়রিয়া আক্রান্ত মুছা (১০) পারাপার হচ্ছেন। তারা চিকিৎসা নিতে দশমিনা হাসপাতালে যাবেন বলে জানান । বাঁশের সাঁকোটি উত্তর- দক্ষিনে প্রায় ৫শ থেকে ৬শফুট লম্বা।

খালের উত্তর অংশে গলাচিপা উপজেলার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের
গুয়াবাঁশবাড়িয়া ,গিলাবাড়িয়াসহ দুইটি গ্রামের ও দশমিনা উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের চাঁদপুরা, মধুপুরা, পশ্চিম আলীপুরাসহ তিনটি গ্রামের মানুষ নিরুপায় হয়ে মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো দিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার হতে হয়।

খালের উত্তর পাশের জাফর হোসেন, জামাল মিয়া ও শাহ আলম গলাচিপা উপজেলার বকুল বাড়িয়া ইউনিয়নের গুয়া বাঁশবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা তারা। তারা জানান, চাঁদপুরা-গুয়া বাঁশবাড়িয়া খালে সেতু না থাকায় তাদের গ্রামে পাকা সড়ক হয়নি। ছেলে মেয়েদের স্কুুল-কলেজে যাতায়াত, ফসল পরিবহনসহ উপজেলা সদরে যেতে হয় দূর্ভোগে।

ভরা বর্ষায় খেয়ার নৌকায় ও শুকনোয় মৌসুমে বাঁশের সাঁকো পার হতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আলীপুরার ¯øুইজ বাজারের বাসিন্দা হাবিব বলেন, এই ইউনিয়ন এলাকাটি কৃষি প্রধান ইউনিয়ন। গ্রামের মানুষ, তাদের খেতের ফসল পারাপার এবং জেলা-উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ সেতুটির অভাবে।

তা ছাড়া দুই উপজেলার পাঁচ গ্রামের মানুষ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিতে আনতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সেতু না থাকায় মানুষের দুর্ভোগের সীমা নেই।আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার বাদশা ফয়সাল বলেন, এ খালে সেতু নির্মান খুব তারাতারিই কাজ শুরু করা হবে।

এলজিডির উপজেলা প্রকৌশলী মো. মকবুল আহমেদ জানান, বিষয়টি শুনেছি আগামী উন্নয়ন সমন্বয় সভায় উপস্থাপন করা হবে। যাতে ওই
খালে সেতু নির্মান করা হয়।