দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: দশমিনা উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্রে খাল দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে এক সৌদি প্রবাসীর বিরুদ্ধে। এই ভবন নির্মাণের কারণে দশমিনা উপজেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ ওই খালে পণ্য পরিবহনের জন্য নৌযান চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়বে।
উপজেলা ভূমি অফিস থেকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে ভবন নির্মাণ স্থগিতের নোটিশ দিলেও রহস্যজনক কারণে ওই পাকা ভবনের নির্মাণ কাজ
অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, দশমিনা উপজেলা সদরের বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ নলখোলা নতুন সেতু সংলগ্ন খালের ভেতরে প্রায় ১০ ফুট দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করছেন উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী মো. ইমরান হোসেন।
কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা তার শ্যালক মো. আল আমীন জানান, তার দুলাভাই সৌদি যাওয়ার আগে ২০০৮ সাল থেকে ওই জমি উপজেলা ভূমি অফিস থেকে ডিসিআর (এক বছরের লিজ) এর মাধ্যমে প্রতিবছর খাজনা পরিশোধ করে ভোগ দখলে রয়েছেন।
জনগুরুত্বপূর্ণ খালের মধ্যে এবং দীর্ঘদিন বিদেশ থেকেও কীভাবে আপনার দুলাভাইয়ের নামে ডিসিআর পেলেন ও খাস জমিতে পাকা ভবন করার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, উপজেলা ভূমি অফিস ও ইউনিয়ন তহশিল অফিস পাকা ভবন করার অনুমতি দিয়েছেন।
এরকম খাল দখল করে একাধিক মালিক দোকান পাকা ভবন নির্মান করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বহমান আছে। এ ব্যপারে দশমিনা সদর ইউনিয়ন তহশিলদার মো. মনির হোসেন জানান, ডিসিআর এর শর্ত অনুযায়ী তাকে পুরাতন ঘর মেরামতের অনুমতি দেয়া হয়েছে। পাকা ভবন করার অনুমতি দেয়া হয়নি।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল কাইয়ুম জানান, খাল দখল করে পাকা ভবন করার কেনো সুযোগ নেই এবং গত বৃহস্পতিবার অভিযোগ পেয়ে দখলে থাকা খালের ১৫টি ঘর ৭ কার্যদিবসের মধ্যে সরিয়ে নেয়ার নোটিশ দেয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল আমিন জানান, খাল দখল করে পাকা ভবন নির্মাণকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।