রাজশাহী ব্যুরোঃ রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় ৪ র্থ শ্রেনীর এক শিশুকে বিয়ে করেও ক্ষান্ত হননি মুগাইপাড়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজ আল আসাদ ওরফে হাফিজ মাষ্টার। এছাড়াও ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে সাংবাদিকের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি, চাকরির নামে টাকা আত্নসাৎ, জোর পূর্বক জমি জবরদখল সহ নানা অপকর্মের তথ্য মিলেছে।
সূত্রমতে জানাযায়, উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড মির্জাপুর গ্রামের মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে হাফিজ মাষ্টারের বিরুদ্ধে একাধিক বিবাহ সহ উঠতি বয়সের কোমলমতি মেয়েদের প্রতি দৃষ্টিছেদ রয়েছে। যার উল্লেখযোগ্য একটি ঘটনা তুলে ধরা হলোঃ মির্জাপুর ( বিরহী) গ্রামের জমসেদ ( ছদ্মনাম) এর বিবাহ বিচ্ছেদের পর খু্ব কষ্ট করে তার একমাত্র কন্যা মিতু ( ছদ্মনাম) কে বড় করে এবং মুগাইপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করে।
জমসেদের অভাবের এই সংসারে কু-নজর পরে হাফিজ মাষ্টারের। জমসেদকে অর্থনৈতিক সহযোগিতার নামে তার সেই ছোট্টো শিশু মিতুর দিকে কুদৃষ্টি দেয় হাফিজ। অবশেষে ২০১২ সালে প্রলোভন দেখিয়ে ৪র্থ শ্রেনীতে পড়ুয়া ১০ বছরের মিতু কে বিয়ে করে হাফিজ মাষ্টার। ৬ টি বছর হাফিজের অত্যাচার সহ্য করে তার সঙ্গে সময় কাটায় মিতু। অবশেষে মিতু একই গ্রামের মৃত আকবরের ছেলে আফাজ আলী (১৭) এর হাত ধরে পালিয়ে যায় এবং তারা সুখে সংসার বাঁধে।
আফাজের পক্ষের মিতুর একটি মেয়ে সন্তানও হয়েছে। (বর্তমান সন্তানের বয়স ২ বছর)। কিন্তু এই চরিত্রহীন হাফিজ মাষ্টার নাছড়বান্দা। মুঠোফোনে আবারও মিতুকে উত্যাক্ত করতে থাকে এবং কুপ্রস্তাব দেয়। অবশেষে মিতুর সংসার জীবনে কালো ছায়া নেমে আসে। বর্তমানে তা ভাঙ্গতে বসেছে মিতুর সংসার। মিতুর বয়স বর্তমানে ১৯ বছর। “উল্লেখ, হাফিজ মাষ্টারের মেয়ে ও মিতু একই শ্রেনীতে পড়তো”।
হাফিজ মাষ্টার ও মিতুর অনৈতিক ও অশালিন বর্তমান কথা বার্তার কল রেকর্ড মিডিয়া কর্মীর হাতে রয়েছে। এবিষয়ে মিতুর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এই হাফিজ মাষ্টার আমার জীবনটা নষ্ট করেছে। আমাকে ছোট বেলায় বিয়ে করেছে, যখন আমি কিছুই বুঝতাম না। আমাকে খুব কষ্ট দিয়েছে হাফিজ নামের ঐ নরপশু।
আমি আমার স্বামি সংসার নিয়ে খুব সুখেই ছিলাম। কিন্তু হাফিজ আমার নাম্বার সংগ্রহ করে খুব বিরক্ত করে এবং অনৈতিক প্রস্তাব দেয়। আবার মাঝে মাঝে হুমকিও দেয়। আমি হাফিজ মাষ্টারের শাস্তি চাই এবং আমার বর্তমান স্বামী সংসার নিয়ে বাঁচতে চাই।
এছাড়াও হাফিজ মাষ্টারের বিরুদ্ধে হাজারো অভিযোগ এলাকাবাসির। হাফিজ মাষ্টারের নিজ প্রতিষ্ঠান, মাগাইপাড়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের ভবন নির্মান কাজে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য হাফিজ মাষ্টার নিজেই গোপনে ফাঁস করেন, এবং এলাকাবাসীকে বাঁধা দিতে বলে। ঠিকাদারের নিকট চাঁদা নেওয়ার দ্বায়িত্ব নেন হাফিজ মাষ্টার। এতে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্থানীয় জনগন কাজে বাধা দেয়।
ঘটনাটি গত ২০২১ সালের রমযান মাসের মাঝামাঝি ঘটে। পরে স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহে যায় স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক। হাফিজ মাষ্টার সাংবাদিক সহ স্থানীয়দের ম্যানেজ করার নামে উক্ত ঠিকাদারের নিকট টাকার দাবী করেন।
যার স্বিকারুক্তি মুলত ফোন রেকর্ড মিডিয়া কর্মীর নিকট সংরক্ষিত রয়েছে। ঠিক একইভাবে তার নিজ গ্রামের রহিম উদ্দিনের ছেলে আঃ বারির বিরুদ্ধে নিউজ হলে সেখানেও তিনি সাংবাদিককে ম্যানেজ করার জন্য টাকা দাবী করেন এবং ৫০০০ টাকা নেন।
এই বেপরোয়া হাফিজ মাষ্টার অলৌকিক ক্ষমতায় বহাল তবিওতে মুগাইপাড়া বাজারে নিজ চেম্বারে প্রতিদিন প্রকাশ্যে ১৫-২০ জন নিয়ে বিএনপি’র এজেন্ডা বাস্তবায়নে মিটিং করে চলেছে। এ যেন দেখার কেউ নাই।
এ বিষয় হাফিজ মাষ্টেরর মুঠোফোনে বার বার ফোন করেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি। তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বিঃদ্রঃ ত্রাণের টিন চুরি, চাকরি দেওয়ার নামে টাকা আত্নসাৎ, এমপিও করার নামে প্রতারণা সহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে এই অলৌকিক ক্ষমতাধর হাফিজ মাষ্টারের বিরুদ্ধে। যা আগামী পর্বে তুলে ধরা হবে।