রাজশাহী ব্যুরোঃ এশিয়ান গেমসে্ পদকজয়ী কিংবদন্তি বক্সার মোশাররফ হোসেনের পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সম্মানিত মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।
বক্সার মোশাররফ হোসেনের অসহায়ত্বের কথা জানতে পেরে রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় রাজশাহী মহানগরীর তালাইমারি এলাকায় তাঁর বাসায় ছুটে যান সিটি মেয়র। এ সময় বক্সার মোশাররফ হোসেনের শারীরিক অবস্থার সার্বিক খোঁজখবর নেন এবং তাঁকে নগদ এক লাখ টাকা অর্থ সহায়তা প্রদান করেন। এছাড়াও মোশাররফ হোসেনের বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রতি মাসে তাকে ভাতা প্রদানের আশ্বাস দেন মেয়র ।
উল্লেখ্য ১৯৮৬ সালে এশিয়ান গেমস্ বক্সিংয়ে ৮১ কেজি হেভিওয়েটে ব্যক্তিগত ইভেন্টে বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র ব্রোঞ্চ পদক জিতেন মোশাররফ হোসেন। ১৯৮১ সাল থেকে টানা ১০ বছর ছিলেন জাতীয় চ্যাম্পিয়ন। দেশের অন্যতম সেরা এই ক্রীড়াবিদ পক্ষাঘাগ্রস্ত হয়ে নিজ বাসাতেই চিকিৎসাধীন।
রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় মহানগরীর তালাইমারি এলাকায় বক্সার মোশাররফ হোসেনের বাড়িতে যান রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। মেয়র মহোদয়কে দেখেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন ভাই ছাড়া আমার খোঁজখবর কেউ নেয়নি। মেয়র মহোদয় খোঁজ নিতে আমার বাড়িতে এসেছেন, এটি আমার জন্য অত্যান্ত আনন্দের। এরআগেও মেয়র মহোদয় শহীদ কামারুজ্জামান ও জাহানারা জামান ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দুইবার সহযোগিতা দিয়েছেন। মেয়র আমার পাশে আছেন এতেই আমি অনেক আনন্দিত।
এ সময় রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, কিংবদন্তি বক্সার মোশাররফ হোসেন শুধু রাজশাহী নয়, পুরো বাংলাদেশের গর্ব। তিনি এশিয়ান গেমস্ পদক জিতেছেন, ১০ বার জাতীয় পর্যায়ে চাম্পিয়ন হয়েছেন। তিনি তাঁর ক্রীড়া নৈপণ্য বাংলাদেশের জন্য কাজে লাগিয়েছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় এখন শারীরিকভাবে অসুস্থ।
মেয়র আরো বলেন, মোশাররফ হোসেনের বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স বিধি অনুযায়ী মওকুফ করা হবে। জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে মাসিক ভাতার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো। এছাড়া আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রতি মাসে ভাতা প্রদান করা হবে। দেশের অন্যতম এই সেরা ক্রীড়াবিদের প্রয়োজনে সব সময় পাশে আছি, আগামীতেও থাকবো।
এ সময় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ২৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তরিকুল আলম পল্টু সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।