মোঃবেল্লাল হোসেন
দশমিনা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি ঃ পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় একমাত্র মহিলা কলেজ ডাঃডলি আকবর মহিলা কলেজ। গত ৬ জুলাই মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী এমপিও ঘোষনার পর কলেজের কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীদের মাঝে ঈদের আনন্দ বহমান।
জানাযায়, ডাঃ আলী আকবর ও তার সহধর্মিণী ডাঃ সামছুরন্নহার খান ডলির নিরলস প্রচেষ্ঠায় উপজেলার নারী শিক্ষাকে বেগবান করার জন্য ২০০৯ ইং সনে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয় দশমিনা উপজেলার প্রান কন্দ্রে। কলেজটির শিক্ষার মান উন্নয়নে আবকাঠামো নির্মান করে নারী শিক্ষার্থী পাঠদানে শিক্ষার্থী যোগানে গ্রাম,পাড়া, মহল্লায় এবং চরাঞ্চলে ছুটে চলে। গঠনমূলক পাঠদানে নিয়োগ দেয়া হয় শিক্ষক শিক্ষিকা । শিক্ষামন্ত্রনালয়ের পাঠ দানের অনুমতি পাবার পর শুরু হয় শিক্ষা কর্যক্রম। বোর্ড পরীক্ষায় শিক্ষর্থীরা অংশগ্রহন করে বছরে পর বছর ভালো রেজাল্ট করে দশমিনা উপজেলার নারী শিক্ষার প্রসারে পায় ব্যাপক সারা। কলেজ কতৃপক্ষ শিক্ষানীতি অনুসারে ২০১৫ সনে মানবিক, বিঞ্জান ও কমার্সে নিয়োগ দেন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারী। শিক্ষামন্ত্রনালয় এমপিও নীতিমালা অনুসারে গত বছর নতুন এমপিও প্রদানে শর্তসাপেক্ষে আবেদন আহবান করেন। ঐ আবদেনে ডাঃডলি আকবর মহিলা কলেজ এমপিও নীতি মালা অনুসারে আবেদন করে। গত ৬ জুলাই মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী নতুন ২৭১৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ঘোষনা দিলে ঐ এমপিও লিষ্টে ডাঃ ডলি আকব মহিলা কলেজের নাম প্রকাশ পায়। এমপিও ঘোষনার পর বিকেল ৫ টায় এমপিওর লিষ্ট প্রকাশ করলে ডাঃ ডলি আকবর মহিলা কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীগন আনন্দে কান্না করেন।
ডাঃডলি আকবর মহিলা কলেজের (বাংলা) প্রভাষক মোঃসায়েম বলেন, জীবনের একটি লক্ষ্য থাকে । এ কলেজে দীর্ঘদিন শ্রম দিয়েছি কোন সরকারি ভাতা পাইনি সন্তান,পরিবার ও পরিজন নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটিয়েছি তা বলে কাউকে বোজাতে পারবোনা। ঈদ বা কোন উৎসব এলে সন্তানদের ভালো কিছু কিনে দিতে পারিনি। আজ আল্লাহ মুখের দিকে তাকিয়েছে। সানে ঈদ-উল-আজাহা এর চেয়ে কলেজ এমপিও হয়েছে এটাই আমার কাছে বড় আনন্দ। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।
মোঃআবদুর রহিম(অর্থনীতি) বলেন, দীর্ঘদিন পর প্রকৃত লক্ষে আজ পৌছাতে পারলাম। চাকুরি আছে বেতন নাই এমন সন্তান সংসারের বোজা হয় তা দীর্ঘদিন এই গ্লানী বয়েছি। আজ কলেজ এমপিও হয়েছে সন্তান ,পরিবার পরিজন নিয়ে সামাজিক ভাবে বাচঁতে পারবো।
কলেজ পরিচালনা পর্ষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডাঃ আলী আবর বলেন, আমি কোন ধনাঢ্য বা সম্পদশালী ব্যক্তি নই । আমার আয়ের সবটুকু দিয়ে এ কলেজটি করেছিলাম নারী শিক্ষাকে দশমিনায় প্রতিষ্ঠিত করা জন্য । আজ মনে কোন দুঃখনেই । সরকার কলেজটি এমপিও প্রদান করেছেন । এ কলেজে বেকার শিক্ষিত ছেলে- মেয়েদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে । শিক্ষক-শিক্ষিকাদের শ্রম ও মেধা দিয়ে দশমিনা উপজেলার এক মাত্র মহিলা কলেজ থেকে শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে জায়গা করে নিবে এটাই প্রত্যশা। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,শিক্ষামন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সকলের প্রতি কৃতঞ্জতা প্রকাশ করছি ।
স্থানীয় সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যাই পারে তা আবার বাংলাদেশের জনগনসহ বিশ্বকে বুজিয়ে দিলেন। রেজিষ্টারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয় করন, পদ্মাসেতু নির্মান , ২৭১৬ টি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এমপিও করন, মহামারি করোনা মকোবেলা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ ও সুচিন্তিত মতামতের চিন্তাধারা। আমি অত্যন্ত আনন্দিত দশমিনা উপজেলায় এক মাত্র মহিলা কলেজ এমপিও হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন মাননীয়র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষামন্ত্রী কাছে আমি কৃতঞ্জতা প্রকাশ করছি আমার নির্বাচনী এলাকা দশমিনা ও গলাচিপায় ৬ টি স্কুল ,কলেজ, মাদ্রাসা এমপিও ভুক্ত করার জন্য । আমি অভিনন্দন জানাই ডাঃডলি আকবর মহিলা কলেজের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে। এমপিওর মাধ্যমে দশমিনা উপজেলায় নারী শিক্ষার মান আরো বৃদ্ধি পাবে এই প্রত্যশা আমার।