ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক , আপলোডের সময় : শনিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৩ , আজকের সময় : শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪

মরার উপর খাড়ার ঘা ভেড়ামারায় বিড়ি শিল্প ধ্বংসের মুখে

মরার উপর খাড়ার ঘা ভেড়ামারায় বিড়ি শিল্প ধ্বংসের মুখে

হেলাল মজুমদার কুষ্টিয়া কুষ্টিয়ার ভেড়া মারাই বিড়ি শিল্প ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে হরতাল, অবরোধ, ও বিড়ি শিল্পের প্রতিটি মালের দাম বৃদ্ধিতে। সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের, মোকারিমপুর ইউনিয়নের ও জুনিয়াদহ ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থিত বিড়ি ফ্যাক্টরি। এই তিনটি ইউনিয়নে সরকারিভাবে নিবন্ধনকৃত বিভিন্ন নামের বিড়ি ফ্যাক্টরি আছে। এর মধ্যে অনেক বিড়ি ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে গেছে। তার কারণ হচ্ছে বিড়ি তৈরির সেট পাতি, পেপার, তামাক,শ্রমিকদের হাজিরা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এখন এই প্রতিযোগিতার মার্কেটে টিকতে না পেরে ছোট ছোট অনেক বিডি ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে গেছে। এরপর শুরু হয়েছে দেশের রাজনৈতিক দলের হরতাল অবরোধ। কারণ এই হরতাল অবরোধে রাস্তায় বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে দুর্বৃত্তরা। সেই কারণে মার্কেটে বিড়ি দিতে পারছে না বলে অনেক বিড়ি ফ্যাক্টরি বন্ধ করে রেখেছে মালিকপক্ষ। এতে করে হাজার হাজার নারী-পুরুষ শ্রমিকরা আজ অসহায় দিন যাপন করছে। একজন বিড়ি মালিক জাকির হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি এই প্রতিবেদক কে জানান, আমরা আজ সবচাইতে বিপদে পড়েছি, আমাদের মরার ওপর খাড়ার ঘা পড়েছে।আমরা বিডি ঠিকমতো উৎপাদন করতে পারছিনা বিড়ি তৈরীর সমস্ত জিনিসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে এরপর শুরু হয়েছে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর ডাকা হরতাল অবরোধ জ্বালাও পোড়াও আমরা এই অবরোধে কারণে বিড়ি মার্কেটে দিতে পারছিনা। রাস্তায় বিড়ির গাড়ি উঠলে যদি দুষ্কৃতীরা হরতালের নামে পুড়িয়ে দেয় এই ভয়ে মার্কেটে বিড়ির গাড়ি পাঠাতে পারছি না। বা অবরোধের কারণে বাস চলাচল বন্ধ থাকার জন্য মার্কেটে বিড়ি পাঠাতে পারছি না। এদিকে আমরা শ্রমিকদের ঠিকমতো বেতন দিতে পারছি না বলে তারা ফ্যাক্টরিতে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। আরেক বিড়ি মালিক জানায়, আমরা বিভিন্ন বেসরকারি এন জি ও থেকে লোন করে বিড়ির ব্যবসা করছি। যেভাবে বিড়ি তৈরির জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে তারপরে কাস্টমসের চাপ প্রতিমাসে রেভিনিউ বাড়ানোর তাগিদ তো রয়েছে। তারপরে দেশের রাজনৈতিক দল গুলোর ডাকা হরতাল অবরোধের কারণে বিড়ি আমরা মার্কেটে পাঠাতে পারছি না। এর পরে এন জি ও দের প্রতি সপ্তাহে কিস্তির টাকা জোগাড় করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন ইতিমধ্যে অনেক বিডি ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দিয়েছে। আগামীতে যদি এমন হরতাল অবরোধ রাজনৈতিক দলগুলো দিতে থাকলে বাধ্য হয়ে বিড়ি ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দিতে হবে। কারণ শ্রমিকদের ঠিকমত মজুরী না দিতে পারলে তারা কাজ করবে না। আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি এই বিড়ি শিল্পকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচান। কয়েকজন বিডি শ্রমিক রা জানান,আমরা খুব কষ্টের মধ্যে দিন যাপন করছি হরতাল অবরোধের কারণে মালিকরা বিড়ি মার্কেটে পাঠাতে পারছে না বিক্রয় করতে পারছে না বলে আমাদের বেতন দিচ্ছে না। আজ আমরা ঠিকমতো আমাদের বাবা মা স্ত্রী সন্তানদের মুখে ঠিক মতো ভাত তুলে দিতে পারছি না