1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
বীর নারী মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবির প্রয়াণ দিবস আজ : - dailynewsbangla
রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ০১:০১ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
বোয়ালমারীতে অসুস্থ গরু জবাই গরু ফেলে পালিয়ে গেলো কসাই ভেড়ামারায় মোটরসাইকেল রেসিংয়ে দুর্ঘটনা, দুই কিশোরের মৃত্যু ঘোড়াঘাটে ৭ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা ভাঙাচোরা সাঁকো ঠাকুরগাঁওয়ে যৌথ বাহিনীর অভিযানে মাদকসহ দুই যুবক আটক  লালপুরে চিকিৎসকের বাসায় চুরি ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট লক্ষীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সম্মেলনে উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা  বোয়ালমারীতে আড়ায় ঝুলিয়ে পিটুনি ১২জনকে আসামি করে থানায় মামলা  গ্রেপ্তার ৩ ভেড়ামারায় পুকুর থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার রাজশাহীতে বাকবিতণ্ডার জেরে মিস্ত্রিকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করল বিজিবি সদস্যরা

বীর নারী মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবির প্রয়াণ দিবস আজ :

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৩

বীর নারী মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবির প্রয়াণ দিবস আজ :

রাবেয়া সুলতানা  আজ পহেলা ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অকুতোভয় বীর সেনানী বীর প্রতীক তারামন বিবি এর প্রয়াণ দিবস। তিনি  বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর নারী মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে। ১৯৭৩ সালের সরকারি গেজেট অনুযায়ী তার বীরত্বভূষণ নম্বর ৩৯৪। গেজেটে নাম মোছাম্মৎ তারামন বেগম।
তারামন বিবি ১৯৫৭ সালে কুড়িগ্রাম জেলার চর রাজিবপুর উপজেলার শংকর মাধবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আবদুস সোহবান এবং মায়ের নাম কুলসুম বিবি। তারামন বিবি ১১ নং সেক্টরে নিজ গ্রাম কুড়িগ্রাম জেলার শংকর মাধবপুরে ছিলেন। তখন ১১ নং সেক্টরের নেতৃত্বে ছিলেন সেক্টর কমান্ডার আবু তাহের। মুহিব হাবিলদার নামে এক মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবিকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করেন। যিনি তারামনের গ্রামের পাশের একটি ক্যাম্পের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি তারামনকে ক্যাম্পে রান্নাবান্নার জন্য নিয়ে আসেন। তখন তারামনের বয়স ছিলো মাত্র ১৩ কিংবা ১৪ বছর। কিন্তু পরবর্তিতে তারামনের সাহস ও শক্তির পরিচয় পেয়ে মুহিব হাবিলদার তাকে অস্ত্র চালনা শেখান। পরবর্তীতে সহকর্মীদের কাছ থেকে অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ নিয়ে তাদের সাথে অনেক যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭৩ সালে তৎকালীন সরকার মুক্তিযুদ্ধে তারামন বিবিকে তার সাহসীকতা ও বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য “বীর প্রতীক” উপাধিতে ভূষিত করেন। কিন্তু ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত তাকে খুঁজে বের করা সম্ভব হয়নি। ১৯৯৫ সালে ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষক বিমল কান্তি দে প্রথম তার সন্ধান পান। এ কাজে বিমল কান্তিকে সহায়তা করেন কুড়িগ্রামের রাজীবপুর কলেজের অধ্যাপক আবদুস সবুর ফারুকী।
এরপর নারীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা কয়েকটি সংগঠন তাকে ঢাকায় নিয়ে আসে। সেই সময় তাকে নিয়ে পত্রিকায় প্রচুর লেখালেখি হয়। অবশেষে ১৯৯৫ সালের ১৯শে ডিসেম্বর তৎকালীন সরকার এক অনাড়ম্বর পরিবেশে আনুষ্ঠানিকভাবে তারামন বিবিকে বীরত্বের পুরস্কার তার হাতে তুলে দেন। তারামন বিবিকে নিয়ে আনিসুল হকের লেখা ‘বীর প্রতীকের খোঁজে’ নামক একটি বই রয়েছে। আনিসুল হক রচিত ‘করিমন বেওয়া’ নামক একটি বাংলা নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র ছিলেন তারামন বিবি। তারামন বিবির স্বামীর নাম আবদুল মজিদ। এই দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ২০১৮ সালে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। তারামন বিবি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থায় ভুগছিলেন।
১লা ডিসেম্বর ২০১৮ সালে তিনি নিজ বাসায় মৃত্যুবরণ করেন। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে রাজিবপুর উপজেলার কাচারীপাড়া তালতলা কবরস্থানে সমাধিস্থ করা হয়।
আজ তার মৃত্যুবার্ষিকী। আজকের এইদিনে তাঁকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ