1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
সৌদিতে আগুনে পুড়ে আত্রাই এর নিহত তিন পরিবারে চলছে শোকের মাতম - dailynewsbangla
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
মান্দায় আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় সমবায় সমিতির মালিককে পিটুনি বোয়ালমারিতে শিল কুড়াতে স্কুলের শিক্ষার্থীরা ব্যস্ত ঘোড়াঘাটে পুলিশের গাড়ি থামিয়ে ডাকাতির চেষ্টা গ্রেপ্তার ২ মিরপুর উপজেলার ১৩  নং  ধুবইল ইউনিয়ন শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন  বোয়ালমারীতে ধর্ষণ মামলার আসামী ১৯ দিন পর গ্রেপ্তার দৌলতপুরে পাটবোঝাই চলন্ত ট্রাকে আগুন বাগমারায় ধর্ষককে পালাতে সহযোগিতা করলেন ইউপি চেয়ারম্যান রাজশাহীতে ক্রয়কৃত সম্পত্তি থেকে বেদখলের চেষ্টা  বোয়ালমারীতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের লিখিত অভিযোগ ইউএনও বরাবর  দৌলতপুরে হিজড়া গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ২, অপহরণের অভিযোগ

সৌদিতে আগুনে পুড়ে আত্রাই এর নিহত তিন পরিবারে চলছে শোকের মাতম

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪

সৌদিতে আগুনে পুড়ে আত্রাই এর নিহত তিন পরিবারে চলছে শোকের মাতম

মোহাম্মদ আককাস আলী : সৌদি আরবের রিয়াদের মুসাসানাইয়া এলাকায় একটি সোফা তৈরির কারখানায় আগুনে পুড়ে চার বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার রয়েছেন তিনজন। বুধবার  সৌদির স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা নাগাদ আগুনের এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন নিহতদের স্বজনরা।
নিহতের খবর পাবার পর থেকে এই তিন জনের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। নিহতদের মধ্যে আত্রাই উপজেলার তেজনন্দি গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে ফারুক হোসেন (৪০), শিকারপুর গ্রামের সাহাদ আলীর ছেলে এনামুল হোসেন (২৫) ও দিঘা স্কুলপাড়া গ্রামের কবেজ আলীর ছেলে শুকবর রহমান (৪০)। ফারুকের ভাতিজা পিন্টু আলী জানান, চাচা ফারুক হোসেন গার্মেন্টসে কাজ করতেন। গত ৬ বছর আগে ধারদেনা করে সৌদি আরবে যান। কিন্তু যাবার পর থেকেই সেখানে নানা সমস্যার মধ্যে পড়ে যায়। প্রায় ৮মাস হচ্ছে স্থায়ী ভাবে সোফা তৈরির কারখানায় কাজে যোগদান করেছেন। এরই মধ্যে বুধবার রাত ১০টা নাগাদ মোবাইল ফোনে জানতে পারেন কারখানায় আগুনে ফারুক নিহত হয়েছেন।
উপজেলার দিঘা গ্রামের নিহত শুকবর আলীর জামাই বিদ্যুৎ হোসেন বলেন, তার শ্বশুর কৃষি শ্রমিক ছিলেন। গত আড়াই বছর আগে একমাত্র সম্বল ১১শতক জায়গা বিক্রি করে তার সাথে ধারদেনার টাকায় সৌদি আরবে যান। এখন পর্যন্ত ধারদেনার টাকা শোধ করতে পারেন নি।
শুকবরের দুই ছেলে এক মেয়ে। ছেলেদের মধ্যে বড় ছেলে শামিম হোসে প্রতিবন্ধী। তার মাথা গোঁজার একমাত্র বাড়ির তিনশতক জায়গা ছাড়া আর কোনো জমি নেই। কিভাবে শাশুড়ি, শ্যালকদের নিয়ে চলবেন তা নিয়ে ঘোর বিপাকে পড়েছেন। শ্বশুর শুকবর আলীই ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি।
শিকারপুর গ্রামের নিহত যুবক এনামুলের চাচা জাহিদুল ইসলাম জানান, এনামুল গার্মেন্টস শ্রমিক ছিলেন। অনেকটা সুখের আশায় ঘর বাঁধতে ধারদেনা করে সৌদি আরবে যান। সেখান থেকে কেবলমাত্র রোজগারের টাকায় ধারদেনা শোধ করে ইটের বাড়ি নির্মাণ করছেন।
বাড়ির কাজ শেষ হলে আগামী বছর নাগাদ দেশে এসে বিয়ে করার কথা ছিলো। কিন্তু সেটা তার ভাগ্যে সইল না। বুধবার রাত অনুমান সাড়ে ১০টা নাগাদ আগুনে পুরে মারা যাবার খবর আসে। তখন থেকেই একমাত্র ছেলেকে হারানোর শোকে বাবা-মা পাথর হয়ে গেছেন। দ্রুত মরদেহ দেশে আনতে সরকারের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন নিহতদের তিন পরিবার। আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্চিতা বিশ্বাস বলেন, সৌদিতে আগুনে পুড়ে তিনজনের নিহতের খবর পেয়েছি। তাদের পরিবারের খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে। এছাড়া নিহতদের মরদেহ দেশে ফেরাতে এবং সরকারি কোনো সুযোগ সুবিধা থাকলে তা সহায়তা করতে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ