1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
বগুড়ার সোনাতলায় ড্রাগন চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন কৃষক - dailynewsbangla
শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:০৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
নিয়ামতপুরে সহকারী কমিশনারের বাসা লক্ষ্য করে গুলি ধামইরহাটে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বাবা মায়ের কবরের পাশে শায়িত: বগুড়া-৩ আসনের সাবেক এমপি মরহুম আব্দুল মোমিন তালুকদারের দাফন সম্পন্ন ভেড়ামারায় কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৫ সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বাংলাদেশ স্কাউটস, ভেড়ামারা উপজেলা ত্রৈ-বার্ষিক কাউন্সিল ২০২৫ দৌলতপুরে মোটর সাইকেলের নিয়ন্ত্রন হারিয়ে স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু দৌলতপুরে চাঁদা না পেয়ে ইন্টারনেট সংযোগ ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল কর্তন বগুড়ায় দুই ট্রাক ওভারটেকিং করতে গিয়ে হেলপার নিহত বগুড়ায় বন্ধুদের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত আওয়ামীগের আমলে ৩৮টি মামলা – চেয়ারম্যান সোনা মিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

বগুড়ার সোনাতলায় ড্রাগন চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন কৃষক

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৪

বগুড়ার সোনাতলায় ড্রাগন চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন কৃষক

(বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার সোনাতলায় পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল ড্রাগন চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে কৃষক ও উদ্যোক্তারা। এমনকি বন্ধুর অনুপ্রেরণায় শখের বসে ৭ বছর আগে ড্রাগন চাষ শুরু করে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়নের শিহিপুর সরকারবাড়ী এলাকার নাসিদুল হক মাসনবী এখন অন্যান্য কৃষকের কাছে অনুকরণীয়। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে  বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৩ হেক্টর জমিতে ড্রাগন চাষ হয়। তবে উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়নের বেশ কিছু কৃষক এই ড্রাগন চাষ শুরু করে প্রায় ৭-৮ বছর আগে। পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এই ফল চাষ করে বাড়তি অর্থ উপার্জন করছেন মাসনবীসহ সোনাতলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষক। বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দক্ষিণে জোড়গাছা ইউনিয়নের মধ্যদিঘলকান্দী হিন্দুপাড়া। ওই এলাকার প্রায় সাড়ে ৪ বিঘা জমিতে গত ২০১৭ সালে শখের বশে ড্রাগন চাষ শুরু করেন শিহিপুর সরকার বাড়ী এলাকার মৃত নজবুল হকের ছেলে নাসিদুল হক মাসনবী। তাদের পৈত্রিক প্রায় ৩শত বিঘা জমিতে বিভিন্ন ধরণের শাক সবজি ফল মূল, রবি ও অর্থকরী ফসল চাষ করা হলেও বাবা-মার কনিষ্ঠ ছেলে মাসনবী দেশে লেখাপড়া শেষ করে সুদূর লন্ডন থেকে উচ্চ ডিগ্রী নিয়ে দেশে ফিরে এসে ব্যবসার পাশাপাশি তাদের পৈত্রিক জমিতে ড্রাগন চাষ শুরু করেন। প্রথমে শখের বশে এই ফলের চাষ শুরু করলেও বর্তমানে তার জমির ড্রাগন ফল এখন দেশের বিভিন্ন জেলায় রপ্তানী করা হচ্ছে। তিনিও অর্থ উপার্জন করছেন। সারাবছরই এই বাগান থেকে ড্রাগন তুলতে ও বিক্রি করতে পারে। প্রতিটি ড্রাগন গাছে ৩০- ৩৫টি ফল আসে। ৪০-৪৫ দিন পরপর তার বাগান থেকে ২০ থেকে ৩০ মন ড্রাগন ফল আসে। প্রতি কেজি ড্রাগন পাইকারী মূল্যে ২শ’ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন। এ বিষয়ে নাসিদুল হক মাসনবী জানান বিভিন্ন ধরণের ফসল ফলানো আমাদের পারিবারিক ঐতিহ্য। আমাদের জমি থেকে শাক সবজির পাশাপাশি বিভিন্ন ফসল উৎপন্ন হয়। দীর্ঘ ৭ বছর আগে আমি শখের বশে ড্রাগন চাষ শুরু করি। বর্তমানে ড্রাগন চাষ করে পারিবারিক চাহিদা পূরণ করে বাণিজ্যিক ভাবে বিক্রি করে বাড়তি অর্থ উপার্জন করছি। প্রতি বছর প্রতি বিঘা জমির জন্য ১ লাখ টাকা খরচ করে আয় হয় ৩-৪ লাখ টাকা। তার ড্রাগনের জমিতে ৬ জন শ্রমিক সার্বক্ষনিক পরিচর্চায় ব্যস্ত থাকে। তার মত আরও একজন কৃষক দিগদাইড় এলাকার এনামুল হক। তিনি ও জানান  এটি একটি লাভজনক ফসল। এই ফসলে কোন ঝামেলা এবং উৎপাদন খরচ তেমন নেই। আমি আড়াই বিঘা জমিতে গত ৩/৪ বছর আগে থেকে ড্রাগন চাষ করে প্রতিবছর ১ থেকে দেড় লাখ টাকা আয় করি। অনুরুপ কথা বলেন একই এলাকার কৃষক সাইদুর রহমান। তিনি জানান নিজের জমিতে ড্রাগন চাষ করে পরিবারের সদস্যদের পুষ্টির অভাব দূর করে বাড়তি আয় করা সম্ভব। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সোহরাব হোসেন জানান এটি একটি উচ্চ পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফাইবার যুক্ত ফল। এই ফলটি শুধুমাত্র গ্রীষ্মকালীন সময়ে হয়। শীতকালে তেমনটি হয় না। এই ফলটি ফুল থেকে পাকা পর্যন্ত সময় লাগে ৪০-৪৫ দিন। লাভজনক হওয়ায় এলাকার কৃষকরা এই ফল চাষে ঝুকে পড়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ