মো.বেল্লাল হোসেন, দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি। পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় রবিবার সকাল ১১ টায় পরিষদের মূল সড়কে মরাখাল পুনঃ খনন ও অবৈধ বন্ধোবস্ত বাতিলের দাবিতে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন করে কৃষক ও সাধারণ জনগন।
জানা যায় উপজেলার সদর ইউনিয়ন ০১ নং ওয়ার্ড বেগম আরেফাতুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয় থেকে কালঠাকুর বাড়ি হয়ে রেবতী মন্ডল বাড়ি বড় খাল পর্যন্ত খনন এবং খাল অবৈধ বন্ধোবস্ত বাতিলের জন্য বানববন্ধন ভিক্ষোভ মিছিল করে এলাকার কৃষক ও সাধারণ জনগন। সরকারি কবরস্থান ও গাজীবাড়ি, হয়ে দক্ষিণে তিন কিলোমিটার কালাঠাকুর বাড়ি পর্যন্ত মরাখাল দখল করে কিছু অসাধু ভূমিদস্যু উপজেলা ভূমি অফিসের অসাৎ কর্মকর্তাদের যোগসাজসে একযুগ আগে বন্ধবস্ত নিয়ে পাকা, কাঁচা ঘরবাড়ি ও বাঁধ নির্মান করে এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি করে। এতে করে দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। জলাবদ্ধতায় কৃষি ও রবিশষ্য ফলনে ২হাজার একর জমি দীর্ঘদিন অনাবাদি হয়ে পরে আছে। কৃষক ও ভুক্তভোগী এলাকাবাসি বিভিন্ন সময় অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে খাল রক্ষায় বিভিন্ন সময় মানববন্ধন সহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি দিলেও কোন সমাধা পায়নি। ৭-৮ দিনের ভারি বর্ষনে উক্ত তিন কিলোমিটার এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয় এবং গৃহবন্দী হয় ৫হাজার পরিবার। জলাবদ্ধতার কারনে স্কুল, কলেজে ও মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা স্কুল, কলেজে ও মাদ্রাসায় আসতে প্রতিবন্ধকতার স্বীকার হয়। জলাবদ্ধতায় দীর্ঘদিন কৃষকরা ধানচাষে ও রবিশষ্য ফলনে ব্যাপক ক্ষতিরমুখে। মানববন্ধন শেষে উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ভিক্ষোব মিছিল করে কৃষক সহ জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা। বিক্ষোভ শেষে ইউপি সদস্য মোঃ সেলিম মোল্লা জনগনের দূর্বোগ লাগবে মরাখাল খনন, পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা ও অবৈধ বন্ধোবস্ত বাতিলের দাবিতে নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি আবেদন জমা দেন।
মানববন্ধনে ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সেলিম মোল্লা বলেন, উপজেলার ০১ নং ওয়ার্ড এ প্রায় ৫ হাজার লোকের বসবাস তার মধ্যে আছে ২ হাজার এরওবেশি কৃষক। জনৈক মতলেব মোল্লা, শাহআলম বেপারি, লতিফ ফকির, সোহরব ভান্ডারি, লাল মিয়া, নূর হোসেন সহ বহু লোক বেগম আরেফাতুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয় থেকে কালাঠাকুরের ব্রিজ পর্যন্ত তিন কিলোমিটার খাল একযুগ আগে দশমিনা ভুমি অফিসে কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজসে অবৈধ বন্ধবস্ত নিয়ে দখল করে পাকা ভবন ও ঘরবাড়ি এবং বাঁধদিয়ে মৎস্য চাষ করে কৃষি ফসল নষ্ট ও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করছে। উক্ত অবৈধ বন্ধোবস্ত বাতিল করে জলাবদ্ধতা নিরসনে দ্রæত সময়ের মধ্যে খাল খনন, খালের উপর বাঁধ ও অবৈধ ঘরবাড়ি অপসারনের দাবি জানানো হয়। তিনি আরো বলেন খাল খনন, অবৈধ বন্ধোবস্ত বাতিল না করলে পরবর্তিতে জনস্বার্থে কঠোর আন্দোলনের ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
কৃষক সহিদুল সরদার, নুরুলহ হক মহল্লাাদার, আলম গাজী, লালমিয়া, মনু মন্ডল, বশির হোসেন আজকের পত্রিকা প্রতিনিধিকে বলেন জন্ম থেকে দেখে আসছি বেগম আরেফাতুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয় থেকে কালাঠাকুর বাড়ি পর্যন্ত খালটি এলাকার রবিশষ্য ও ধানচাষে কৃষি উৎপাদনে একটি বিশেষ অন্তরায় ছিলো। দীর্ঘ ১০-১২ বছর ঐ খালটি মরেগেছে কিছু অসাধু ব্যক্তিরা অবৈধ বন্ধোবস্ত নিয়ে বাঁধ ও ঘরবাড়ি তৈরি করে দখল করে আসছে। এ কারনে তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। আমরা কোন কৃষি কাজ করতে পারিনা। এখোন বীজ করতে গেলে বীজতলা তলিয়ে যায়। আমাদের প্রায় ১ হাজার একর জমির কৃষি ফসল(ধান) পানিতে তলিয়ে আছে। আমরা এই অবৈধ দক্ষলদারদের অবৈধ বন্ধোবস্ত বাতিল সহ মরাখাল কাটার দাবি জানাই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) নাফিসা নাজ নীরা আমি পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মিটিং এ আছি। আবেদনের বিষয় অবহিত হয়েছি। জনস্বার্র্থে গুরুত্ব সহকারে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
খাল দখল করে অবৈধ বন্ধোবস্ত নিয়ে ঘরবাড়ি ও বাঁধ নির্মান কওে জলাবদ্ধতার বিষয় জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরী আমি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মিটিংএ আছি দশমিনা আসি তারপর বলতে পারবো।
পটুয়াখালী জেলাপ্রশাসক মো. নুর কুতুবুল আলম জানান, আমি বিষয়টি সম্পর্কে আপনার মাধ্যমে অবহিত হলাম। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।