রাজশাহী ব্যুরো: এতদিন তিনি (শেখ হাসিনা) ছিলেন ঘসেটি বেগম, এখন মীর জাফরের পরিচয় দিয়ে দল ও দলের কর্মীদের বিপদে ফেলে গেলেন! তিনি কিছুদিন আগেও সবাইকে নিজ এলাকা ও ঢাকা ছাড়তে নিষেধ করেছিলেন। অথচ সবার আগে তিনিই দলকে বিপদে ফেলে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেন! এমন বক্তব্য দিয়ে মাঠ কাঁপালেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ত্রান ও পুনর্বাসন সহসম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন। শনিবার (২৪ আগষ্ট) বিকালে মোহনপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনকালে তিনি জনগণের উদ্দেশ্য এসব কথা বলেন। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গত ১৬ বছরের বলতে না পারা কথা গুলো তুলে ধরেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কর্মীরা। এসময় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ত্রান ও পুনর্বাসন সহসম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মাসুদ রানার সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মাসুদুর রহমান লিটন। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ্যাড: শফিকুল হক মিলন বলেন, গত ৫ আগষ্ট আমরা দ্বিতীয় স্বাধিনতা অর্জন করেছি। আপনার অনেকে লাঞ্চিত হয়েছেন, বঞ্চিত হয়েছেন, অনেকে নিপিড়ণের শিকার হয়েছেন। এখন আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর পালা। যারা আপনাদের উপর অত্যাচার করেছে তাদের উপর মামলা করতে পারবেন না? তবে আপনারা কেউ মিথ্যা মামলা করবেন না। তাহলে তাদের সাথে আমাদের কোন ফারাক রইলো না। আমরা তাদের মত মিথ্যা ও গায়েবি মামলা করবো না। মিলনের এমন অগ্নিধরা বক্তব্যে কর্মী মনে শক্তি করেছে। তার এমন বক্তব্যে কর্মীরা শ্লোগান দিতে শুরু করে। পরে সমাবেশ শেষে মাঠ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি উপজেলা সদরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন এবং বন্যার্তদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে কেক কাটা স্থগিত করে দলটির নেতাকর্মীরা। উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন মোহনপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপি’র সদস্য অধ্যাপক আব্দুস সামাদ, মোহনপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুব অর রসিদ, সদস্য সচিব বাচ্চু রহমান, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন বকুল, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজিম উদ্দিন, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মোজাম্মেল হক, সদস্য সচিব আব্দুল করিম মন্ডল, উপজেলা যুবদলের সভাপতি মির্জা শওকত, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক, কেশরহাট পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মশিয়ার রহমান, কেশরহাট পৌর শ্রমিক দলের সভাপতি দুলাল হোসেন মৌগাছি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুর-এ আলম সিদ্দিকী (মুকুল), সাধারণ সম্পাদক ইউনুস আলী, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য শাহিন আক্তার সামসুজ্জোহা, মিজানুর রহমান মিলনসহ অনেকে।