গবাদিপশুর কেনাবেচা জমে উঠেছে নওগাঁর হাটগুলোতে
মোহাম্মদ আককাস আলী :
ঈদ-উল আযহাকে কেন্দ্র করে নওগাঁর হাটগুলোতে কোরবানির গবাদিপশুর কেনাবেচা জমে উঠেছে।
হাটগুলোতে বড় গরুর তুলনায় ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি দেখা যাচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, ছোট-মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি। তবে বড় গরু আমদানির তুলনায় চাহিদা কম হওয়ায় প্রত্যাশার চেয়ে কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, হাটে যে পরিমাণ গরু আমদানি হয়েছে, সে তুলনায় ক্রেতা নেই। স্থানীয় লোকজন কোরবানি দেওয়ার জন্য গরু কিনলেও ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বড় বড় বাজারের ব্যাপারী ও গরু ব্যবসায়ীরা গরু কিনছেন না।
ফলে বেচাবিক্রি তুলনামূলক কম। নওগাঁতে সাধারণত কোরবানি ঈদের দুই-তিন সপ্তাহ আগে থেকেই গবাদিপশুর হাটগুলোতে বেচাবিক্রি জমে যায়। সে তুলনায় এবার ঈদের বাকি আর ৯-১০ দিন থাকায় এখনো পশুর হাটে কেনাবেচা জমেনি।
চৌবাড়িয়া পশুর হাটের ইজারাদারের প্রতিনিধি সাইদুল ইসলাম বলেন, গতবারের তুলনায় এবার হাটে গরুর আমদানি বেশি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, জেলায় ছোট-বড় ১০৪টি হাট রয়েছে। এর মধ্যে স্থায়ী গবাদিপশুর হাট রয়েছে ৩৮টি। মান্দার চৌবাড়িয়া ও সতিহাট, নিয়ামতপুরের ছাতড়া, মহাদেবপুরের মহাদেবপুর সদর ও মাতাজীহাট, নওগাঁ সদরের ত্রিমোহনী, বদলগাছীর কোলা, রানীনগরের আবাদপুকুর, আত্রাইয়ের আহসানগঞ্জ, পত্নীতলার মধইল, পোরশার মশিদপুর এবং সাপাহারের দীঘিরহাটে গবাদিপশু বেশি বিক্রি হয়।