দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: সাপে কামড়ালেই আতঙ্ক নয়, দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণেই বাঁচবে জীবন—এমন বার্তা দিচ্ছে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
এখানকার জরুরি বিভাগে বর্তমানে পর্যাপ্ত পরিমাণে সাপের বিষের প্রতিষেধক (Anti-venom) মজুদ রয়েছে।
জানা গেছে, বর্তমানে ৭০ ভায়াল এন্টি ভেনম সংরক্ষিত রয়েছে, যা তাৎক্ষণিক প্রয়োজনে রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, অনেকেই এখনো ওঝা, ঝাড়ফুঁক কিংবা নানা কুসংস্কারের কারণে মূল্যবান সময় নষ্ট করেন, যা প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। তাই সাপে কামড়ালে দেরি না করে সরাসরি নিকটস্থ হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল হাসান তুহিন বলেন, “সাপে কাটা রোগীদের জন্য আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। সময়মতো চিকিৎসা শুরু হলে অধিকাংশ রোগীই সুস্থ হয়ে ওঠেন।”
এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সামসুল আরেফিন সুলভ বলেন, “সাপের কামড়ে কালবিলম্ব না করে সরাসরি হাসপাতালে চিকিৎসা নেবার জন্য জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো জরুরি। সচেতনতা বাড়ানো গেলে মৃত্যুহার অনেক কমানো সম্ভব।”
প্রায় ৮ লক্ষ মানুষের বসবাস এই দৌলতপুর উপজেলায়। অথচ এখানকার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাত্র ৫০টি শয্যা রয়েছে। চাহিদার তুলনায় অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা থাকলেও জরুরি সেবা দিতে স্বাস্থ্যকর্মীরা নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের ফোন নম্বর: ০১৭৩০-৩২৪৬০৩
সতর্কতা এবং সময়মতো চিকিৎসাই সাপের কামড় থেকে জীবন বাঁচানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায়—এ বিষয়ে এলাকাবাসীকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।