ঢাকা ১১:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
২০ বছর পর রায়: খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের দুইজনকে হত্যায় ৪ জনের যাবজ্জীবন পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত  প্রশিক্ষণ কোর্স এর উদ্বোধন করলেন এসপি সাফিউল সারোয়ার দিনাজপুরের কৃতি সন্তান রোকমুনুর জামান রনি আবারও বেসিস সহায়ক কমিটিতে নির্বাচিত পদ্মার চরে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৩, গুলিবিদ্ধ ২ যাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে তার পক্ষে কাজ করতে হবে, তারেক রহমান আবারো ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ পুরস্কারে ভূষিত হলেন ওসি শাহিন রেজা  মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে সামাজিক আন্দোলনের বিকল্প নেই–ইউএনও আরিফুজ্জামান  ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ফেস্টিভ্যালে ইংরেজি বিতর্কে চ্যাম্পিয়ন সরকারি বালিকা বিদ্যালয় লালপুরে নারীর জাগরণ মঞ্চ করলেন- পুতুল নারীর অগ্রযাত্রায় জিয়া পরিবার ভূমিকা রেখেছে ঐতিহাসিকভাবে—অধ্যাপক শহীদুল

কুষ্টিয়ায় অন্ধ প্রতিবন্ধি অঞ্জনা পরিবারের পাশে ও মুখে হাসি ফোটাতে চান

বিশেষ প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া: যার চোখের আলো নেই তার কাছে পৃথিবীটা
কেবল একদলা নিকষ কালো আঁধার। সেই আঁধারের মাঝে যেন এক চিলতে আলো কুষ্টিয়ার মেয়ে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী অঞ্জনা রানী হালদার। অন্ধত্বকে জয় করে তিনি অর্জন করেছেন স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। সঙ্গীত সাধনাতেও পিছিয়ে নেই প্রতিবন্ধী।

অভাবের সংসারে জন্ম নেয়া এই অঞ্জনা আজ সকলের অনুপ্রেরণা।
টিউশনি করে সংসারের হালধরা অঞ্জনার স্বপ্ন ভালো একটা চাকরির।
কুষ্টিয়া শহরের আমলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা মান্দারী হালদারের চার সন্তানের মধ্যে সবার ছোট অঞ্জনা হালদার।

কিন্তু দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম নেয়ায় রোজিনার বাবা-মায়ের যেন আপসোসের সীমা ছিল না। তবুও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এই সন্তানকে অতি আদরে বড় করে তোলেন তারা। বয়স বাড়ার সাথে সাথে পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ বেড়ে যাওয়ায় অঞ্জনাকে ভর্তি করা হয় স্কুলে। প্রতিবেশি কিংবা সহপাঠিদের অসহযোগিতা আর তুচ্ছতাচ্ছিল্যতার মধ্যেও শেষ পর্যন্ত স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেছেন তিনি।

অঞ্জনা রানী হালদার, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বলেন অঞ্জনার প্রত্যাশা যোগ্যতানুযায়ী
একটি সরকারী চাকরির। চাকরি পেলে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর পাশাপাশি
পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে চান তিনি। পড়ালেখায় কৃতিত্বের
পাশাপাশি সঙ্গীত সাধনাতেও পিছিয়ে নেই অঞ্জনা। এ জন্য তার প্রাপ্তিও কম নয়, পেয়েছেন স্বীকৃতিও। তার এই চলার পথে বাবা-মা সব সময় সারথির মত সাথ দিয়েছেন।

মা বাবা বলেন অঞ্জনা যাতে একটি ভালো চাকরী পেয়ে সংসারে স্বচ্ছলতা
আনতে পারে সে জন্য সরকারের সুদৃষ্টি চেয়েছেন তার প্রতিবেশিরা।
প্রতিবেশিরা বলেন তবে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী অঞ্জনা স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে
কর্মসংস্থানের সুযোগ না পেলেও স্থানীয়দের কাছে অনুপ্রেরণা।

Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

২০ বছর পর রায়: খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের দুইজনকে হত্যায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়ায় অন্ধ প্রতিবন্ধি অঞ্জনা পরিবারের পাশে ও মুখে হাসি ফোটাতে চান

আপডেট টাইম : ০৮:৫২:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুন ২০২১

বিশেষ প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া: যার চোখের আলো নেই তার কাছে পৃথিবীটা
কেবল একদলা নিকষ কালো আঁধার। সেই আঁধারের মাঝে যেন এক চিলতে আলো কুষ্টিয়ার মেয়ে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী অঞ্জনা রানী হালদার। অন্ধত্বকে জয় করে তিনি অর্জন করেছেন স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। সঙ্গীত সাধনাতেও পিছিয়ে নেই প্রতিবন্ধী।

অভাবের সংসারে জন্ম নেয়া এই অঞ্জনা আজ সকলের অনুপ্রেরণা।
টিউশনি করে সংসারের হালধরা অঞ্জনার স্বপ্ন ভালো একটা চাকরির।
কুষ্টিয়া শহরের আমলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা মান্দারী হালদারের চার সন্তানের মধ্যে সবার ছোট অঞ্জনা হালদার।

কিন্তু দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম নেয়ায় রোজিনার বাবা-মায়ের যেন আপসোসের সীমা ছিল না। তবুও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এই সন্তানকে অতি আদরে বড় করে তোলেন তারা। বয়স বাড়ার সাথে সাথে পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ বেড়ে যাওয়ায় অঞ্জনাকে ভর্তি করা হয় স্কুলে। প্রতিবেশি কিংবা সহপাঠিদের অসহযোগিতা আর তুচ্ছতাচ্ছিল্যতার মধ্যেও শেষ পর্যন্ত স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেছেন তিনি।

অঞ্জনা রানী হালদার, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বলেন অঞ্জনার প্রত্যাশা যোগ্যতানুযায়ী
একটি সরকারী চাকরির। চাকরি পেলে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর পাশাপাশি
পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে চান তিনি। পড়ালেখায় কৃতিত্বের
পাশাপাশি সঙ্গীত সাধনাতেও পিছিয়ে নেই অঞ্জনা। এ জন্য তার প্রাপ্তিও কম নয়, পেয়েছেন স্বীকৃতিও। তার এই চলার পথে বাবা-মা সব সময় সারথির মত সাথ দিয়েছেন।

মা বাবা বলেন অঞ্জনা যাতে একটি ভালো চাকরী পেয়ে সংসারে স্বচ্ছলতা
আনতে পারে সে জন্য সরকারের সুদৃষ্টি চেয়েছেন তার প্রতিবেশিরা।
প্রতিবেশিরা বলেন তবে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী অঞ্জনা স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে
কর্মসংস্থানের সুযোগ না পেলেও স্থানীয়দের কাছে অনুপ্রেরণা।