এম এ ওয়াহিদ রুলু, কমলগঞ্জ থেকঃ গত ৫ জানুয়ারী ৫ম দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১ম দফা বিজয়ী ঘোষণার পর ভোট কেন্দ্রে অরাজকতা সৃষ্টি হলে জালিয়াতির মাধ্যমে প্রার্থী পক্ষের এজেন্টের স্বাক্ষর ব্যতিত অবৈধ ফলাফল জালিয়াতির মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে বিজয়ী ঘোষণার প্রতিবাদ ও ভোট পূণ:গণনার দাবিতে রিটার্নিং অফিসারের কাছে ৩ পরাজিত প্রার্থী লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
গতকাল শনিবার বিকাল ৫টায় একই দাবিতে কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সীবাজার ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পরাজিত তিন প্রার্থী ও সমর্থকরা স্হানীয় ঠাকুরবাজারে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেন। পরাজিত ৩ ইউপি সদস্যের লিখিত অভিযোগে জানা যায়, কমলগঞ্জের উপজেলার মুন্সীবাজার ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে বাসুদেবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গণনার পর তালা প্রতীকের দুলাল মিয়াকে ৮২ ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।
পরে ভোট কেন্দ্রে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে প্রিসাইডিং অফিসার যাবতীয় দলিল দস্তাবেজ গুছিয়ে নিয়োজিত প্রশাসনিক ব্যক্তিদেরকে নিয়ে কেন্দ্র ত্যাগ করে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে চলে যান। সেখানে প্রায় ২ ঘন্টা পর দুলাল মিয়াকে ৮২ ভোট কম দেখিয়ে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী রাইনুল ইসলাম এর টিউবওয়েল প্রতীককে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত বলিয়া ফল ঘোষণা করা হয়।
এতে কোন প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষের এজেন্টদের স্বাক্ষর ছাড়াই অবৈধ ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে বলে তারা দাবি করেন। প্রতিবাদী ইউপি সদস্য দুলাল মিয়া, নওরোজ মিয়া ও আব্দুল মজিদ বলেন, গত ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনের ৮নং ওয়ার্ডের বাসুদেবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসার প্রথম দফা তালা প্রতীককে বিজয়ী ঘোষণার পর দ্বিতীয় দফায় জালিয়াতির মাধ্যমে উপজেলায় গিয়ে টিউবওয়েল প্রতীককে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
এর প্রতিবাদে সাধারণ সদস্যদের ব্যালট পুণ:গণনা করার জন্য জেলা প্রশাসক ও রিটানির্ং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এবিষয়ে বাসুদেবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসার উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আশুতোষ দাশ এর মোবাইল ফোনে কয়েক দফা কল করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।