সোহেল হোসেন লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি। লক্ষ্মীপুরে স্বামী খোকন আলী শেখকে তালাক দিয়ে দেবর ফকির শেখের সঙ্গে গৃহবধূ শহর ভানু (৪৫) পালিয়ে আসে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে খোঁজ নিয়ে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের জেলা স্টেডিয়াম এলাকায় ভাড়া বাসায় এসে ভানুকে জবাই করে হত্যা করে সাবেক স্বামী খোকন। রবিবার ১৭/০৪/২২ইং দুপুরে স্টেডিয়াম এলাকার সিরাজ মিয়ার বাসা থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা খোকনকে আটক করে পুলিশে সৌপর্দ করে। খবর পেয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। খোকন বগুড়া জেলার শারিয়াকান্দি উপজেলার চরজলিক গ্রামের মেহের আলীর ছেলে। নিহত শহর ভানুর বাড়ি পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ গ্রামের ফজর আলীর মেয়ে। খোকনের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, খোকন ঢাকার আব্দুল্লাহপুর এলাকায় সবজি ব্যবসায়ী। তিনি স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ওই এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। খোকন ও শহর ভানুর ৩০ বছরের সংসারে ৩তিন ছেলে রয়েছে। এর মধ্যে দুই ছেলে বিয়ে করেছে। খোকনের সৎভাই ফকির শেখ। সম্প্রতি খোকনকে তালাক দিয়ে ফকির শেখের হাত ধরে পালিয়ে আসে ভানু। কিন্তু কোথায় গেছে তা জানত না খোকন। বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে তারা লক্ষ্মীপুরে ভাড়া বাসায় থাকে। জেলা স্টেডিয়ামের পাশে ২১ দিন ধরে ফকির ও ভানু বসবাস করছে। রবিবার সকালে বাসায় এসে ক্ষিপ্ত হয়ে খোকন ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভানুকে জবাই করে হত্যা করে। এই দিকে ফকির ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী। খুব সকালেই ব্যবসার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। স্ত্রী হত্যার খবরও তিনি শোনেননি। দুপুর পর্যন্ত বাসায়ও আসেননি তিনি। পার্শ্ববর্তী ভাড়াটিয়া শিউলি আক্তার ও মিতু আক্তার জানায়, খোকন ও ভানুর ঝগড়া করছিল। হঠাৎ ভানু চিৎকার দিয়ে ওঠে। এগিয়ে গিয়ে তারা দেখে দরজা বন্ধ। একপর্যায়ে দরজা খুলে খোকন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আশপাশের লোকজন তাঁকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। মেঝেতে ভানু রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান বলেন, স্বামীকে তালাক দিয়ে ভানু দেবরকে বিয়ে করে। এতে ক্ষুদ্ধ হয়েই খোকন তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।