1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
গত ১৯ বছর ধরে চলছে শিক্ষার্থীবিহীন মাদ্রাসা - dailynewsbangla
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
দৌলতপুরে এসএসসি ব্যাচ ১৯৮৬ এর প্রথম মিলন মেলা অনুষ্ঠিত নওগাঁয় শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু বোয়ালমারীতে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়ার আয়োজন ভেড়ামারায় ভুয়া ডাক্তার আটক, ভ্রাম্যমান আদালতে ৩ মাসের জেল অবসরজনিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত দৌলতপুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সাথে (ইউএনও)’র মত বিনিময় সভা ভেড়ামারায় পৌরসভা নগর উন্নয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ভেড়ামারায় আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত মহাদেবপুরে বিএনপি’র সৌহার্দ ও সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত বন্ধ হওয়া উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেন আবারও চালুর দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

গত ১৯ বছর ধরে চলছে শিক্ষার্থীবিহীন মাদ্রাসা

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৩ জুন, ২০২২
মাসুদ রানা বাউফলঃ  পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার সূর্যমনি ইউনিয়নের পূর্ব ইন্দ্রকূল ফিরোজা কামাল বালিকা দাখিল মাদ্রাসাটি ১৯ বছর পূর্বে এমপিওভুক্ত হলেও চলছে শিক্ষার্থীবিহীন। ২০০৪ সালে ওই প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত হয়। ওই প্রতিষ্ঠানটিতে ৯ জন শিক্ষক ও ৪ জন কর্মচারি থাকলেও সরেজমিনে একাধিকবার গিয়ে ১ জনও শিক্ষার্থী পাওয়া যায়নি। কোন শিক্ষার্থী না থাকলেও সরকারি নিয়মানুযায়ী গত ১৯ বছর যাবৎ বেতনভাতা উত্তোলন করলেও দেখার কেউ নেই।
গত বুধবার ২৫ মে সরেজমিনে গিয়ে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একজনও শিক্ষক, কর্মচারি ও শিক্ষথীকে পাওয়া যায়নি।
পরে খোঁজ নিয়ে প্রধান শিক্ষক মাহফুজা বেগম ও তার শ্বশুর প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে ওই মাদ্রাসার সভাপতি আবদুল মোতালেবকে মাদ্রাসা সংলগ্ন তাদের বাড়ীতে পাওয়া যায়।
প্রধান শিক্ষক (সুপার) মাহফুজা বেগম বলেন, ২০০ থেকে ২৫০ জন ছাত্রী তাদের প্রতিষ্ঠানে আছে। আজ একটু তারাতারি ছুটি দেয়া হয়েছে তাই কোন শিক্ষার্থী নেই।
বৃহস্পতিবার ২৬ মে সরেজমিনে গেলে বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষার্থীকেও পাওয়া যায়নি। পাঠদানের জন্য বিদ্যালয়ে চক, ডাস্টার, ব্লাকবোর্ড, ছাত্রী হাজিরা খাতাসহ কোন শিক্ষা উপকরণ দেখাতে পারেননি শিক্ষকরা।
প্রধান শিক্ষকের দেয়া তথ্যমতে, ১৯৯৪ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মোতালেব । তিনি ওই মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে অধ্যবধি পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটিতে কোন শিক্ষার্থী না থাকলেও ১৩ জন শিক্ষক ও কর্মচারী প্রতিমাসে ২ লাখ ৮ হাজার টাকা বেতন উত্তোলন করছেন।
প্রধান শিক্ষকের তথ্যমতে, খাতা কলমে ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ২৫০ জন। তার মধ্যে কাগজে কলমে প্রতিদিন উপস্থিতি গড়ে ২০ থেকে ৩০ জন থাকলেও উপস্থিতির সংখ্যা ১ জনও নেই।
বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক (সুপার) মাহফুজা বেগম বলেন, আগে অনেক ছাত্রী ছিল। ২০০৯ সালের পর শিক্ষকদের মাধ্যে ঝামেলা হওয়ায় কারণে প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন এলাকার শিক্ষার্থী একেবারে নেই। দূরের কিছু শিক্ষার্থী ভর্তি করে এখান থেকে দাখিল পরিক্ষায় অংশগ্রহন করিয়ে বিদ্যালয় টিকিয়ে রেখেছেন।
এ ব্যাপারে বাউফল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুসাইন বলেন, শিক্ষার্থী উপস্থিত না থাকলে কোন প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্ত থাকতে পারে না। আমরা তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবো।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ