নিউজ ডেস্কঃ  সম্প্রতি রিয়েল ক্যাপিটা গ্রুপ সাউথ এশিয়ান পার্টনারশিপ সামিট এন্ড বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড কর্তৃক প্রদত্ত সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস-২০২১ এর রিয়েল এষ্টেট ক্যাটাগরিতে এমারজিং ডেভেলপার অফ দ্যা ইয়ার পদকপ্রাপ্ত হয়েছে।

সোনারগাঁও হোটেল, গত ২২ সেপ্টেম্বর রোজ বৃহস্পতিবার  রিয়েল ক্যাপিটা গ্রুপের পক্ষে অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন সম্মানিত চেয়ারম্যান মাঞ্জুর আহম্মাদ সোহান ।

রিয়েল এষ্টেট খাতে দীর্ঘদিনের পথ পরিক্রমায় এই প্রাপ্তি গ্রুপের পূর্বের কার্যক্রমের স্বীকৃতি ও ভবিষ্যতের অনুপ্রেরণা। বাংলাদেশে রিয়েল এস্টেট সেক্টরে রিয়েল ক্যাপিটা গ্রুপ একটি বিশ্বস্ত, নির্ভরযোগ্য ও সুপরিচিত নাম। দীর্ঘদিনের প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ধারাবাহিকতায় ২০১৭ ইং সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। নিরাপদ আবাসনের জন্য ইতিমধ্যে নির্ভরশীল হয়ে ওঠা এই প্রতিষ্ঠান গ্রাহককে সঠিক সময়ে নির্দিষ্ট আবাসন হস্তান্তর করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে।

অনেক গ্রাহক আর্থিক দিক বিবেচনা করে ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে অগ্রসর হতে পারেন না। তাঁদের জন্য রিয়েল ক্যাপিটা গ্রুপের রয়েছে স্বল্পমূল্যের ফ্ল্যাট। এছাড়াও বেশি বাজেটে কিনতে চাচ্ছেন তাঁদের জন্যও ব্যবস্থা আছে মনোরম পরিবেশে সুন্দর আধুনিক ফ্ল্যাটের। নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত, উচ্চমধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্তসহ সব শ্রেণির মানুষের আর্থিক সংগতি অনুযায়ী আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন কল্পে কাজ করে চলছে রিয়েল ক্যাপিটা গ্রুপ। ধারাবাহিকভাবে শেয়ার মালিকানার মাধ্যমে স্বল্প খরচে আবাসন সমস্যা সমাধানে প্রতিষ্ঠানটির “আরসি প্রিয়জন গৃহায়ন প্রকল্প” ও “আরসি বন্ধুজন আবাসন” প্রকল্পদ্বয় চলমান র‍য়েছে।

প্রতিষ্ঠানটি বিল্ডিং অ্যাপার্টমেন্ট নিয়ে ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী, সাভার ও মানিকগঞ্জে ইতিমধ্যে ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বর্তমানে রিয়েল ক্যাপিটা গ্রুপের সাতটি অংগপ্রতিষ্ঠান বিদ্যমান। এর মাঝে আরসি প্রোপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড এর অধীনে নির্মিত হচ্ছে আরসি মায়া কানন (কেরানীগঞ্জ, ঢাকা) এবং আরসি রিভারি ভিলেজ (রাজউক পূর্বাচল সংলগ্ন) নামক দুটি পরিকল্পিত নগরী। এর পাশাপাশি আরসি হোল্ডিং লিমিটেডের অধীনে রয়েছে আরসি দায়রা নুর (আজিমপুর, ঢাকা), আরসি ডালিম টাওয়ার (খুলনা) এবং আরসি শান্তি কুটির (খুলনা) অ্যাপার্টমেন্ট প্রজেক্ট হিসেবে চলমান। আবাসন সমস্যা নিরসনের পাশাপাশি রিয়েল ক্যাপিটা গ্রুপ কাজ করে যাচ্ছে বেকারত্ব সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে। যেহেতু আবাসন প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত থাকে অনেক ধরনের পণ্য এবং খাত, তাই এখানে প্রয়োজন হয় যোগ্য এবং দক্ষ কর্মীর।

আবাসন সমস্যার সমাধানের সঙ্গে সঙ্গে কর্মীবান্ধব কর্মক্ষেত্র গড়ে তুলছে এই গ্রুপ। সার্বক্ষণিক প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে কর্মীরা নিজেদের গড়ে তুলছেন দক্ষরূপে। এখানকার কর্মীদের জন্য রয়েছে উচ্চ মাসিক বেতনব্যবস্থা, প্রণোদনা, প্রভিডেন্ড ফান্ড, চিকিৎসা ভাতা, বৈবাহিক ভাতা, গ্র্যাচুইটি, ব্যক্তিগত গাড়ি ঋণ, ব্যক্তিগত ফ্ল্যাটের ব্যবস্থাপনা এবং ব্যবসায়িক লভ্যাংশ শেয়ারিংসহ মৃত্যু ভাতাজনিত পেনশন স্কিমের মতো আন্তর্জাতিক শ্রমের নীতির সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা। কর্মীরা এসব সুযোগ–সুবিধা এবং প্রতিষ্ঠানের অনুকূল পরিবেশের জন্য কাজ করে যান আন্তরিকভাবে, যা একটি প্রতিষ্ঠানের সফলভাবে এগিয়ে চলার জন্য ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে।