নাগরপুর প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুরের গয়হাটায় ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে সুজন হোসেন ওরফে স্বপন মাদক সেবনে বাধা দেয়ায় মার্ডার হয়েছে।
গতকাল ২৯ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যায় গয়হাটার ঘুনি সিংজোরা বাজারে চা এর দোকানে সুজন চা খাওয়ার সময় ১০-১২ জনের একদল মাদক সেবী অতর্কিতে হামলা করে লাঠিসোঁটা দিয়ে পিটিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় আঘাত করে তাকে হত্যা করে।
নিহতের ছেলের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঘুনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মাদক সেবনে ব্যস্ত ৪ যুবক রানা, সোলাইমান, আলী, সাজ্জাদ মাদকসেবন করছিল। এভাবে বিদ্যালয় মাঠে মাদকসেবনে নিষেধ করে পলাশ।
মাদক (গাঁজা) সেবনে বাধা দেয়ায় মাদকসেবিরা চড়াও হয়ে সঙ্গবদ্ধ হয়ে ঘুনী বাজারে গিয়ে সুজনের দুই ছেলে শিমুল ও পলাশকে মারপিটের উদ্দেশ্য ধাওয়া দেয়। ধাওয়া খেয়ে ওরা শহীদ তিতুমীর বাজারের পাসুর চা এর দোকানে আশ্রয় নেয়। ঐ দোকানেই চা খাচ্ছিলেন তাদের বাবা সুজন। বাবাকে সামনে পেয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে সুজনের উপর হামলা চালয় মাদকসেবিরা। চাচাতো ভাই আজমিরি এগিয়ে এলে তাকেও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে এবং ঘটনা স্থলেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে সুজনে হত্যা করে।
নিহত সুজন অগ্নিবীণা আইডিয়াল কলেজের দপ্তরি হিসেবে চাকুরি করতেন।
এশার আযানের আগে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ও শোকের ছায়া নেমে আসে।
এ বিষয়ে নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, এ ঘটনায় নাগরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার সাথে সম্পৃক্তদের কাউকে এখনো গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি তবে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে। এছাড়াও মরদেহ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রাপ্তি সাপেক্ষে ঘটনার জটলা খুলতে সহায়ক ক্লু পাওয়া সম্ভব হতে পারে।