মোঃবেল্লাল হোসেন
দশমিনা ( পটুয়াখালী) প্রতিনিধি দশমিনার উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের পূর্ব আলীপুরা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার জরাজীর্ন ভবনে জীবনের ঝুকি নিয়ে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী পাঠদান করছেন। যে কোন সময় পাঠদানের ভবনটি ধ্বসে প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারনা করছেন শিক্ষক,শিক্ষার্থী সহ অবিভাবকগন। ভবন ধসের আতঙ্ক নিয়েই মাদ্রাসায় ক্লাস করছেন শিক্ষার্থীরা। ২০১৮ সালে ভবনটি পরিত্যাক্ত ঘোষনা করেন এলজিইডি।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, পূর্ব আলীপুরা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা ২০০১ সালে চার কক্ষ বিশিষ্ট এক তলা ভবন নির্মান করেন এলজিইডি। বর্তমানে মাদ্রাসার পাঠদানের ভবনের অবস্থা নড়বড়ে। প্রতিদিন ভবনের ছাদ ও দেয়ালের পলেস্তারা খসে পরে পুরনো মরিচা ধরা রড বের হয়ে গেছে। বিভিন্ন কক্ষের ভেতরের দেয়ালে ভয়াবহ ফাটল ধরেছে। বৃষ্টি হলে ছাদ চুইয়ে পানি পরার কারণে দেওয়ালগুলো শ্যাওলা ধরে স্যাঁতসেঁতে হয়ে গেছে। মাদ্রাসার পাশের সড়ক দিয়ে ভারি যানবাহন চলাচলের সময় ভবনটি কেপে ওঠে। এরকম অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে মাদ্রাসায় পাঠদান করছেন শিক্ষার্থীরা।
মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী নাইমা ইসলাম বলেন, সামনে আমাদের পরীক্ষা তাই মাদ্রাসা ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্তে¡ও আমরা জীবনের ঝুকি নিয়ে বাধ্য হয়ে ক্লাস করছি। সবসময় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ভবনটি ধসে পরার আতঙ্কে থাকি। তাই পাঠদানের সময় ক্লাসের পড়ায় ভালোভাবে মনোযোগী হতে পারি না।
নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মো: দাবিরুল হাসানের পিতা মোঃ আব্দুল মালেক হাওলাদার বলেন, ‘মাদ্রাসা ভবনের পলেস্তারা খুলে খুলে পড়ছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাই সন্তানকে মাদ্রসায় পাঠিয়ে সারাক্ষণ আতঙ্কের মধ্যে থাকি।
মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মাওলানা মোঃ আব্দুস ছালাম বলেন, মাদ্রাসার একটি টিনসেট ভবন গত ঘুর্নিঝড় আম্ফানে সম্পুর্ন বিধ্বস্থ হয়ে পড়ে গেছে। ওই চার কক্ষের পুরাতন ভবনটি ছাড়া আর কোন ভবন নেই আমাদের তাই বাধ্য হয়ে ঝুকিপূর্ন ভবনে ক্লাস নিতে হচ্ছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সেলিম মিয়া বলেন,বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্যকে অবহিত করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, উপজেলা সম্বন্নয় সভায় বিষয়টি তুলে ধরা হবে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য এস,এম শাহজাদা বলেন, ওই মাদ্রাসায় নতুন ভবন নির্মানের ব্যপারে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে চিঠি পাঠানো হবে।