বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি ঃ ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসদরের চৌরাস্তায়
মাঝকান্দি-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়ক সংলগ্ন বঙ্গবন্ধু স্মৃতিস্তম্ভে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল রাতের আঁধারে ইটপাটকেল ছুড়ে
নাশকতা করার ঘচনায় গত ৫ দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি কেউ। কেউ গ্রেপ্তার না
হওয়ায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে উপজেলা আ’লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীদের
মধ্যে। ঘটনার পর ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন উপজেলা আ’লীগ ও
অঙ্গসংগঠনের নেতারা।
জানা যায়, গত ১৯ নভেম্বর রাত সাড়ে ৮টায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাংচুরের খবর
এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা
তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল বের করে। ওই রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন
করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এম মোশাররফ হোসেন,
সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মীরদাহ পিকুল, পৌর মেয়র সেলিম রেজা লিপন মিয়া,
ইউএনও মোশারেফ হোসাইন, ওসি মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব প্রমুখ। এ ঘটনার পর
থেকেই বঙ্গবন্ধু স্মৃতিস্তম্ভ এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এরপর উপজেলা
আ.লীগের সভাপতি এম এম মোশাররফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মীরদাহ
পিকুলের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল শেষে পৌরবাজারের সোনালী ব্যাংকের মোড়ে এক
প্রতিবাদ সভা করে। প্রতিবাদ সভায় স্থানীয় প্রশাসনকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে
ঘটনাটির তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দাবি জানানো হয়।
না হলে দলীয়ভাবে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী জানায় নেতাকর্মীরা। এর একদিন পর
রবিবার বিকেলে ঘন্টাব্যাপী প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন করে উপজেলা
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মীরদাহ পিকুল
বলেন, এ ঘটনায় আমরা মামলা দিতে গিয়েছিলাম; পুলিশ মামলা না নিয়ে সাধারণ
ডায়েরী (জিডি) করতে বলেছিলেন। এ জন্য জিডি করেনি। থানায় মামলা না নেওয়া ও
নাশকতার ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় আওয়ামী লীগসহ অঙ্গসংগঠনের
নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রাসেল
রেজা বলেন, বঙ্গবন্ধু মুর্যালে নাশকতা সৃষ্টিকারীদের গ্রেপ্তার না হওয়ায়
খুব দু:খজনক। বুধবার (২৩ নভেম্বার) আইনশৃংখলা মিটিংয়ে দোষীদের
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়। দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের কথা
বলা হয়েছে।
বুধবার (২৩ নভেম্বার) বোয়ালমারী থানার ওসি মুহাম্মাদ আব্দুল ওহাব জানান,
পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে চেষ্টা করছে প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটনের। ওইদিন ঘটনাস্থল
থেকে কিছু ইটের টুকরাও জব্দ করা হয়েছিলো। দ্রুতই এ বিষয়ে দোষীদের আইনের
আওতায় আনা হবে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা চলছে।