মাজহারুল ইসলাম চপল, ব্যুরোচীফঃ পথে পথে বাধাকে উপেক্ষা করে জনসমুদ্রে পরিনত হয়েছে বিএনপির রাজশাহীর গণসমাবেশ। স্থানীয় নেতাদের বক্তব্যের পর কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তব্য ফুটে উঠে সরকার পতনের হুংকার। পরে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি দুপুর দেড়টায় মঞ্চে উঠলে সাধারণ জনগণ উচ্ছোসিত হন।
ভোর ৬টা থেকে গণসমাবেশের জন্য রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠের উদ্দেশ্য খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন দলটির নেতাকর্মীরা। বিএনপি কর্মীরা জানান, গণসমাবেশস্থলের অগ্রভাগে বসার জন্য তারা আগেভাগেই মাদ্রাসা মাঠে চলে এসেছেন। আর বিএনপির নেতারা বলছেন, দুপুর ২টা থেকে গণসমাবেশ শুরু কথা থাকলেও নেতাকর্মীরা চলে আসায় তারা দুপুর ১২টা থেকেই মূল সমাবেশ শুরু করেছেন। মঞ্চে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান’কে সম্মান জানিয়ে দু’টি চেয়ার ফাঁকা রাখা হয়েছে। রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট বীর মুক্তিযোদ্ধা এরশাদ আলী ঈসা’র সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আলহাজ্ব মামুনুর রশীদের পরিচালনায় এ গণসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় তিনি বর্তমান সরকার প্রধানকে ভোট চোরের আখ্যা দিয়ে অগ্নিতুল্য দ্রব্যমুল্যের উর্ধগতি কথা জনগণের সামনে তুলে ধরেন। তিনি তার বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারেক রহমানের নিঃশর্ত মুক্তির দাবী জানান। সারাদেশের সকল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার করে নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে আগামী নির্বাচন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি আরও বলেন, আওয়ামীলীগ আমাদের উসকাচ্ছে। তারা আগের ন্যায় আবারও বিশৃংখলা সৃষ্টি করে বিএনপির উপর দায় চাপানোর পায়তারা করছেন। সরকার বিএনপিকে ভয় পায়। তারা বিএনপির যেকোন প্রোগ্রাম হলেই তাদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়। পরে আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকার মহাসমাবেশে যোগদানের আহ্বান জানান জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।
এছাড়াও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম ও সেলিনা রহমান, সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, রাজশাহী -১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার আমিনুল হকের ভাই ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক জেনারেল শরিফ আহমেদ, সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সাবেক এমপি এডভোকেট নাদিম মোস্তফা, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দীন, বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য জি এম সিরাজ, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।