ফরিদ আহমেদঃ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর চলতি মৌসুমে ভুট্টার আশানুরূপ উৎপাদন হয়েছে। লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে ও বেশি ভুট্টার আবাদ হয়েছে। কৃষকরা জানান, অনুকূল আবহাওয়া বীজ,সারসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণ সংগ্রহে কোন ও সমস্যা না থাকায় বামপার ফলন হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার ১৪ ইউনিয়নে গতবারের তুলনায় এবার অনেক বেশি জমিতে ভুট্টার চাষ করা হয়েছে। মৌসুমের শুরু থেকেই আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মাঠে মাঠে ভুট্টার গাছগুলো দৃশ্যমান হয়ে উঠেছিল। বৈরী কোন আবহাওয়া বা ঝড়বৃষ্টি আঘাত না হানায় এখন পর্যন্ত ভুট্টার কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। সেই সাথে বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকদের চোখে মুখে হাসির ছাপ ফুটে উঠেছে।
বোরো চাষের তুলনায় ভুট্টাচাষে খরচ কম অথচ লাভ বেশি। এ জন্য গতবারের তুলনায় এবারে অনেক বেশি জমিতে ভুট্টার চাষ করা হয়েছে।
দৌলতপুর উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, গত বছর এ উপজেলায় যে পরিমাণ জমিতে ভুট্টার চাষ করা হয়েছিল। এবার তার চেয়ে অনেক বেশি জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। তথ্যমতে এবারে উপজেলার ১৪ ইউনিয়নে ভুট্টার চাষ হয়েছে ৪ হাজার ৫২৫ হেক্টর জমিতে।
উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের কৃষক মো: আকুব্বর আলী বলেন, এবারে আমরা অনেক জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। এবারে ভুট্টার ফলন অনেক ভাল। বিঘা প্রতি প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ মণ ফলন হবে আশা করি। বাজারে দামও ভাল পেয়ে আমরা অনেক খুশি।
উপজেলার মানিক দিয়াড় এলাকার কৃষক মন্জুরুল ইসলাম জানান, এবারে ভুট্টার যে বাম্পার ফলন হয়েছে তাতে আমরা খুব খুশি। ন্যায্যমূল্য পেলেই আমাদের কষ্ট সার্থক হবে।
দৌলতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন , এবারে দৌলতপুরে ভুট্টা অনেক বেশি চাষ করা হয়েছে। মৌসুমের শুরু থেকে আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ভুট্টাচাষে কোন বিপর্যয় দেখা দেয়নি এখনও । এ ছাড়াও আমরা কৃষকদের উন্নত বীজ ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে সব সময়ই উদ্বুদ্ধ করে এসেছি।
আমাদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মৌসুমের শুরু থেকেই কৃষদের বিভিন্নমুখী পরামর্শ দিয়ে আসছেন। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী এসব প্রযুক্তি ব্যবহারে এবারে ভুট্টার বাম্পার ফলন হচ্ছে এবং রোগবালাই থেকে মুক্ত থেকেছে। আর এ ফলনে কৃষকরা যথেষ্ট উপকৃত হবে।