বিধান মন্ডল (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) এর আওতায় ফরিদপুরের সালথা উপজেলার পিজি সদস্যদের মাঝে “পারিবারিক পুষ্টি এবং অভিযোগ নিষ্পত্তি বিষয়ক” (এক দিনের) প্রশিক্ষণের সমাপ্তি হয়েছে। উক্ত প্রকল্পের অর্থায়নে এবং উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল সালথা এর বাস্তবায়নে এই প্রশিক্ষণ সমাপ্তি হয়। গত সোমবার ১০ই এপ্রিল থেকে রবিবার ১৬ই এপ্রিল পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ৭টি গ্রুপের মোট ২৫০জন সদস্যদেরকে নিয়ে এই প্রশিক্ষণ সমাপ্তি হয়। অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফরিদপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ এ কে এম আসজাদ, জেলা ভেটেরিনারি অফিসার ডাঃ মনমথ কুমার সাহা, মনিটরিং অফিসার মোঃ রাসেল মিয়া, প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নাহিদুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়াও উপজেলা প্রাণিসম্পদ মাঠ সহকারী এবং এলএসপিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নাহিদুল ইসলাম বলেন, অপুষ্টি বাংলাদেশের উন্নয়নের পথে একটি বড় বাধা। এদেশের সাধারণ মানুষের খাদ্য তালিকায় ভাত, শাকসবজি, ডাল এবং সল্পপরিমাণ মাছ বা মাংস পাওয়া যায়। খাদ্যে সল্প পরিমান প্রাণিজ আমিষের উপস্থিতি নারী ও শিশুর অপুষ্টির অন্যতম কারণ। খর্বাকৃতির দেহ, মাংস পেশির ক্ষয়, জন্মের সময় কম ওজন, রক্ত শূন্যতা, অতিরিক্ত ওজন ইত্যাদি সাধারণত বাংলাদেশের মানুষের অপুষ্টি জনিত সমস্যা। খাদ্যের গুনগত মান এবং পরিমান উভয়ই অপুষ্টি জনিত সমস্যার কারণ। এই অপুষ্টি জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য উচ্চ মানের ভিটামিন, মিনারেল, খনিজ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি। দুধ, ডিম, মাংসে খাদ্যের ছয়টি উপাদান বৃদ্ধমান থাকে তাই একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের দৈনিক ৩০০ মিলি দুধ, ৫০-৬০ গ্রাম মাংস খাওয়া দরকার। তিনি আরও বলেন, খামারিদের বিভিন্ন অভিযোগ যেমন, দল গঠন সংক্রান্ত, ম্যাচিং গ্রান্ট সংক্রান্ত, প্রকল্পের আওতায় নির্মান কাজ সংক্রান্ত, ক্ষমতার অপব্যবহার ও যৌন হয়রানি সংক্রান্ত অভিযোগ এর বিষয়ে আলোচনা করাসহ এসব অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমও খামারিদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে।