1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
চাকরি না পেয়ে মনের কষ্টে সার্টিফিকেট পুড়িয়ে দিলো প্রতিবন্ধী যুবক আল ইমরান - dailynewsbangla
বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
দৌলতপুরে অপহরনের ৭দিন পর অটো চালকের লাশ উদ্ধার দৌলতপুরে বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিটের আগুনে গো-খামার ভস্মীভূত, ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি বগুড়ায় ৮টি ধারালো অস্ত্রসহ ২ জন গ্রেফতার  নওগাঁয় ফেন্সিডিল মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড  রাণীনগরে হিট স্ট্রোকে কৃষি শ্রমিকের মৃত্যু বোয়ালমারীতে দুই ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় মামলা আসামি গ্রেপ্তার মৃত্যু পথযাত্রী বাবাকে দেখতে চাওয়ায় পাষণ্ড স্বামীর হাতে লাশ হলো স্ত্রী!  জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে প্রতিযোগিতা মূলক অনুষ্ঠান মাতৃস্বাস্থ্য ভাউচার স্কীমের আওয়াতায় এক দিনের ওরিয়েন্টেশন  রাজশাহীতে বিদ্যুৎ কন্ট্রোলবক্সে আগুন ধরে বন্ধ হয়েছে আদালত কার্যক্রম

চাকরি না পেয়ে মনের কষ্টে সার্টিফিকেট পুড়িয়ে দিলো প্রতিবন্ধী যুবক আল ইমরান

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৩ জুন, ২০২৩
চাকরি না পেয়ে মনের কষ্টে সার্টিফিকেট পুড়িয়ে দিলো প্রতিবন্ধী যুবক আল ইমরান
মোহাম্মদ আককাস আলী : চাকরি না পেয়ে মনের কষ্টে নিজের সব একাডেমিক সার্টিফিকেট পুড়িয়ে দিলো প্রতিবন্ধী যুবক আল ইমরান হোসেন (২৬)। দীর্ঘ ৫ বছর চাকরির জন্য হন্য হয়ে ঘুরেও চাকরি না পেয়ে শেষে তার সার্টিফিকেট পুড়িয়ে দিলো। গত বৃহস্পতিবার (১ জুন) সার্টিফিকেট পোড়ানোর ছবি তার নিজের ফেইসবুক আইডিতে শেয়ার করে আল ইমরান।
সার্টিফিকেট পোড়ানো প্রতিবন্ধী যুবক আল- ইমরান হোসেন নওগাঁ সদর থানার দুবলহাটি ইউনিয়নের বনগাঁ গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
ক্যাপশনে তিনি লেখেন, “এই সার্টিফিকেট দিয়ে কি আমি পুজা করবো”। এরপর তিনি লেখেন, আমি আল- ইমরান হোসেন। গ্রাম বনগাঁ পোস্ট দুবলহাটি। থানা জেলা নওগাঁ। ২০১৭ সালে গ্রাজুয়েশন শেষ করে এমন কোনো অফিস নাই যেখানে চাকরির জন্য আবেদন করিনি। অধিকাংশ জায়গায় টিকলেও তাদের চা খাওয়ানোর টাকা আমার পরিবারের না থাকায় প্রতিবার রিজেক্ট করে বের করে দেওয়া হয়েছে। আমি গরীব ঘরের সন্তান, আমার মামা, খালু নাই এজন্য কোথাও চাকরি হয়নি। পরিবারে কর্মক্ষম কেউ নাই। আমি ও শারীরিক ভাবে প্রতিবন্ধী। তার পর ও বার বার বার ভাইভা পর্যন্ত টেকার পরও চাকরি দেওয়া হয়নি। ১৬ বছর শুধু মাত্র সার্টিফিকেট এর জন্য গাধার মতো পড়ে কি উপকার হলো আমার। ঘরে অসুস্থ মা আমি নিজেও অসুস্থ। যেই সার্টিফিকেট পেটের খাবারের জন্য একটা চাকরি দিতে পারে না সেই সার্টিফিকেট কোট ফাইলে রেখে কি আমি পূজা করবো নাকি। তাই আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিলাম।
আল ইমরান হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ২০১১ সালে এসএসসি, ২০১৩ সালে এইচএসসি ও ২০১৭ সালে স্নাতক পাস করি। দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর বিভিন্ন দপ্তরে চাকরির জন্য পরীক্ষা দিয়ে কোথাও কোথাও মেধা তালিকায় প্রথম হই। এরপরও আমার কোন চাকরি হয়নি। সেখানে ১৫ লক্ষ টাকার চা/বিরিয়ানি খেতে চায়। আমি একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী মানুষ (মেরুদন্ডের হাড় বাঁকা), বাবা একজন কাঠমিস্ত্রী। তিনি অনেক কষ্ট করে আমাকে লেখাপড়া করিয়েছেন এবং আমার ছোট ভাইকে লেখাপড়া করাচ্ছেন। এতো টাকা দেওয়ার মত সামর্থ্য আমার বাবার নেই তাই আমার চাকরি হয়নি। সে জন্য সার্টিফিকেট সেগুলো পুরিয়ে ফেলেছি।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ