দৌলতপুরে টোকেন চৌধুরীর উদ্যোগে শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী পালিত
নিজস্ব প্রিতিনিধিঃ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি বুলবুল আহমেদ টোকেন চৌধুরীর নেতৃত্বে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শহীদ শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
শনিবার (৫ আগস্ট) এ উপলক্ষ্যে উপজেলার আল্লার দরগায় অবস্থিত যুবলীগ অফিসে বাদ মাগরিব উপজেলা যুবলীগের আয়োজনে কামালের স্মৃতিচারণ করে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান লস্কর, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জাহিরুল ইসলাম, হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজদার হোসেন মেম্বার, বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা ওরশ কবিরাজ, জেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মামুন কবিরাজ, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার রহমান, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা সালাউদ্দিন খান শাহিন, প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল্লাহেল মাসুদ সুইট প্রমুখ।
আলোচনা পর্বে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি বুলবুল আহমেদ টোকেন চৌধুরী তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় সন্তান ও জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শহিদ ক্যাপ্টেন কামাল সম্বন্ধে স্মৃতিচারণ করে টোকেন চৌধুরী বলেন, তিনি বঙ্গবন্ধুর মতই ছিলেন বাঙ্গালীর অধিকার আদায়ে সোচ্চার আর নির্ভীক। তিনি ৬ দফা ও ১১ দফা আন্দোলন এবং ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন আর ছাত্রসমাজকে সংগঠিত ক’রে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। স্বাধীন বাংলাদেশের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে শেখ কামালের অবদান চিরস্মরণীয়।
টোকেন চৌধুরী আরো বলেন, মাত্র ২৬ বছরের সংক্ষিপ্ত জীবন ছিল তাঁর অসামান্য অর্জনে সমৃদ্ধ। বহুগুনের অধিকারী শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জীবন ও আদর্শ সবসময় আমাদের কাছে, বিশেষকরে যুব সমাজের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
আলোচনা সভাশেষে , বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালসহ জাতির পিতা, তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্য ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।