1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
খোলা আকাশের নিচে তিন ধরে বসবাস এক সংখ্যালঘু পরিবারের - dailynewsbangla
বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ০৯:৫০ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
মান্দায় ইউএনও শাহ আলম ইউক্যালিপটাসের চারা নিধন করলেন প্রেমের টানে মেয়ের নানার বাড়িতে ছেলের অনশন, বিয়েতে অনীহা ছেলের পরিবারের রূপগঞ্জের পূর্বাচলে জবাইকৃত ৫টি ঘোড়া উদ্ধার, একজন আটক বোয়ালমারীতে মাদক কারবারি আটক ভেড়ামারায় পদ্মা নদীর ভাঙ্গন পরিদর্শন করলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মান্দায় মাদ্রাসা ভবন নির্মাণের সামগ্রী নিয়ে উধাও শ্রমিকেরা ঘোড়াঘাটে কম্পিউটার ও নেটওয়ার্কিং বিষয়ক প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠিত অবশেষে আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে নওগাঁ পৌরসভার বেহাল রাস্তাগুলো  মৎস্যজীবীকে হত্যার ঘটনায় বোয়ালমারী থানায় হত্যা মামলা দায়ের ঘোড়াঘাটে দুর্ধর্ষ চুরি, নগদ টাকা স্বর্ণালংকার লুট থানায় অভিযোগ

খোলা আকাশের নিচে তিন ধরে বসবাস এক সংখ্যালঘু পরিবারের

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২০

রেজা মাহমুদ, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকা সত্তে¡ও সহকারি কমিশনারের (ভ‚মি) কর্তৃক বাড়িতে তালা দেয়ায় নীলফামারীর সৈয়দপুরে গত তিন দিন ধরে খোলা আকাশের নিচে বাস করছেন দরিদ্র এক সংখ্যালঘু পরিবার। পৌর ভ‚মি অফিসের উপ-সহকারী ভ‚মি কর্মকর্তা (তহশীলদার) আজিজুল ইসলামের যোগসাজসে ওই পরিবারকে ভিটে ছাড়ার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ অভিযোগ করেন শহরের নতুন বাবুপাড়ার বাসিন্দা শ্রী জহরলাল শীল। সংবাদ সম্মেলনে জহরলাল শীল বলেন, গত ১ নভেম্বর সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) রমিজ আলম খাস জমির অবৈধ দখলদার উল্লেখ করে আমার পরিবারকে ভিটেছাড়া করতে ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এর আগে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয় বিদ্যুৎ সংযোগও। এ অবস্থায় আমরা দিকহারা হয়ে পড়েছি। তিন পুরুষ ধরে নিঃস্কর প্রজা হিসাবে বংশ পরম্পরায় এ বাড়িতে বসবাস করে আসছি।

ওই জমির মালিক ছিলেন জমিদার পুরণচাদ নওহাটা ও জ্ঞানচাঁদ নওহাটা। খাজনা আদায়ের সুবিধার্থে ওই খতিয়ান ও দাগভুক্ত অবশিষ্ট ৪০ শতক জমিতে জমিদার কাচারি ঘর এবং কর্মচারিদের কাজের ফাঁকে বিশ্রাম নেয়ার ঘর নির্মাণ করেছিল। আমার দাদা নারায়ণ চন্দ্র শীল ক্ষৌরকার্য করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। সেই সুবাদে জমিদার ও তাদের কর্মচারীরা যখন খাজনা আদায়ের জন্য কাচারীতে আসতো, তখন তাদেরও ক্ষৌরকার্য সম্পাদন করতেন নারায়ণ চন্দ্র শীল।

কাজের বিনিময় স্বরুপ ওই জমিতে নারায়ণ চন্দ্রশীলকে বাড়ি তৈরী করে বসবাস করতে মৌখিকভাবে অনুমতি দেন জমিদার। কিন্তু খাস জমির কথা বলে সেখানে ভুমি অফিস নির্মান করা হবে বলে সেখান থেকে অন্যত্র চলে যেতে বলেন ওই তহশিলদার। এ ব্যাপারে আমি আদালতে একটি মামলা দায়ের করি যা বিচারাধীন। আদালতে যে রায় দেয়া হবে তা মাথা পেতে নেব। কিন্তু হঠাৎ করে ওই দিন কোন রকম আগাম নোটিশ ছাড়াই আমাদের বাড়ীতে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। তাই পরিবারের ৮ জন সদস্য নিয়ে খোলা আকাশের নিচে তিন ধরে বসবাস করে আসছি। এ ঘটনার সৃষ্ঠ বিচার ও বসতবাড়িতে বেঁচে থাকার অধিকার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি কামনা করা হয় ওই সংবাদ সম্মেলন থেকে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ