রাসিকে থাকছে না জনপ্রতিনিধি, চাকরিচ্যুত হবেন অসংখ্য কর্মকর্তা-কর্মচারী

রাজশাহী ব্যুরো : রাজশাহী মহানগরীর নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সকল জনপ্রতিনিধিদের বাতিল করে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এতে রাসিকের প্রশাসক হিসেবে দ্বায়িত্ব গ্রহন করেছেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। বিষয়টি নিশ্চিত করে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে নগর ভবনের সিটি হলরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন করেছেন সদ্য দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ও রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) জনাব ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। এসময় তিনি সাংবাদিকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। এসময় তিনি সকলের উদ্দেশ্যে বলেন , সারাদেশের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর শহর রাজশাহী। এটি রাজশাহী বাসীর জন্য গৌরবের। আমি গতকাল (১৯ আগস্ট) রাসিকের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। আজ সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের সাথে সভা করেছি। জনগুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো/সেবাসমূহ দ্রুত সময়ের মধ্যে চালু করা হবে। ইতোমধ্যে অনেক নাগরিক সেবা চালু হয়েছে, যেগুলো বাকি রয়েছে, সেগুলোও আজকের মধ্যে চালু করা হবে। এছাড়া প্রকল্পের আওতাভুক্ত উন্নয়ন কাজসমূহ শুরু করা হবে। আয়ের খাতসমূহ দ্রুতই চালু করা হবে। সিটি কর্পোরেশনের কোন কাজে দুর্নীতি ও অনিয়মের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য, গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর প্রায় প্রতিটি দপ্তর জনবল শূন্য হয়েছে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। সেদিন সবচেয় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। সিটি কর্পোরেশন থেকে ৬০ টির বেশি কম্পিউটারসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র লুট হয়েছে। অনেক কাগজপত্র পুড়ে গেছে। তবে আমাদের সফট কপি সংরক্ষিত আছে। এগুলো ফিরিয়ে আনতে কম্পিউটার প্রয়োজন। লুট হওয়া কম্পিউারের মধ্যে প্রায় অর্ধেক ফেরত পাওয়া গেছে। আমরা বাঁকিগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করছি। আমরা নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে কিছু উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। আজ থেকে কোন জনপ্রতিনিধি থাকবে না। সকল নাগরিক সেবা আমরা দিব। রাসিকে স্থায়ী কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছে ৩৫৩ জন। আর অস্থায়ী রয়েছে ২৬৫৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ রয়েছে ১৯১১ জন। এগুলোর মধ্যে কারো বিষয়ে বিতর্ক থাকলে আমরা তাকে রাখবোনা। যারা সিটি কর্পোরেশনকে নষ্ট করেছে বা ভবিষ্যতে করতে পারে তাদেরকেও আমরা রাখবো না। তবে এদেরকে বাতিল করতে যে যে প্রক্রিয়া অনুসরন করা প্রয়োজন সেটি করা হবে বলে জানিয়েছিন প্রশাসক। এসময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন, সচিব মোঃ মোবারক হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আফরিন, বাজেট কাম হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম খান, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মোঃ মামুন ডলার, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মোঃ নূর-ঈ-সাঈদ, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগমসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।