বগুড়া মো: আলী হাসপাতাল প্রস্তুত করা হচ্ছেএমপক্স আক্রান্তদের চিকিৎসায়
(বগুড়া) প্রতিনিধি : এমপক্স সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ এবং আক্রান্তদের চিকিৎসায় বগুড়ায় সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে পৃথক আইসোলেশন ইউনিট চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার ওয়েবিনারে (ভার্চুয়ালি সভা) ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত ওই ওয়েবিনারে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ জুলফিককার আলম, বগুড়ার সিভিল সার্জন ডা. শফিউল আজম, বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মিজানুর রহমান এবং জেলার উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোর প্রধানগণ অংশ নেন। ওই ওয়েবিনারে জানানো হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এমপক্স সংক্রমণকে বিশেষ জরুরী জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে ঘোষণা করেছে। এরই মধ্যে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ১৪ হাজার রোগী সনাক্ত হয়েছে এবং ৫২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এমনকি বাংলাদেশের পাশর্^বর্তী দেশগুলোতে এমপক্স সংক্রমণ সনাক্ত হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশেও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) এমপক্স সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণকল্পে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিকল্পনা করেছে।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ জানান রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট (আইইডিসিআর) থেকে গত ১৮ আগস্ট পাঠানো চিঠিতে জানানো হয়েছে যে, এমপক্স রোগী সনাক্ত হলে তাকে নিকটস্থ সংক্রামক ব্যধি হাসপাতালে পাঠাতে হবে। এছাড়া ওই রোগীর তথ্যও আইইডিসিআরকে জানাতে বলা হয়েছে। একই দিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা থেকে সকল হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট বিভাগের অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারি অধ্যাপক ও কনসালটেন্টদের নিয়ে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় এমপক্স ইনফেকশন ম্যানেজমেন্ট এবং ওভারভিউ শীর্ষক ওয়েবিনার আয়োজন করতে বলা হয়। এ বিষয়ে ডা. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন ওই ওয়েবিনারে এমপক্স রোগী সনাক্ত হলে তাদের চিকিৎসার জন্য আপাতত ২৫০ শয্যার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে একটি আইসোলেশন ইউনিট খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া এ বিষয়ে সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিংয়ের জন্য একজন চিকিৎসককে ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হবে। যদি রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায় তাহলে শজিমেক হাসপাতালে করোনা ইউনিটকে ব্যবহার করা হবে। যোগাযোগ করা হলে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মিজানুর রহমান জানান, তার হাসপাতালের নিচতলার একটি অংশকে আইসোলেশন ইউনিট হিসেবে নির্ধারণ করে সেখানে এমপক্স আক্রান্তদের চিকিৎসা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং বিশেষজ্ঞগণের নির্দেশনা মেনে চলা হবে।