ঢাকা ১১:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
নির্বাচন বানচালকারীদের দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে — অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম বরেন্দ্র অঞ্চলে অতিরিক্ত বৃষ্টিতে আমন ধানসহ শীতকালীন সব্জির ব্যাপক ক্ষতি  দৌলতপুরে সুদের টাকার বিরোধে শতাধিক মানুষ গ্রামছাড়া – পুলিশের পুনর্বাসন উদ্যোগ স্থানীয়দের বাধায় ব্যর্থ লক্ষ্মীপুরে আপন দাদা হাসানের ধর্ষণের শিকার নীলা আক্তার, আটক -১ ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না দিলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে : শরীফ উদ্দিন জুয়েল ঘোড়াঘাটে প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে সরকারি খাসজমি দখলের মহোৎসব নওগাঁয় ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত ভেড়ামারায় জাতীয় সমবায় দিবস পালিত ভেড়ামারায়  ট্রলির নিচে পড়ে যুবকের মৃত্যু রিফায়েতপুর যুব সংঘ ক্লাব পরিদর্শন করলেন শরীফ উদ্দিন জুয়েল 

দৌলতপুরে প্রসূতির মৃত্যু মামলায় ডাক্তার টি.এ.কামালীকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ

ডাক্তার টি.এ.কামালী

দৌলতপুর প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আল্লারদর্গা বাজারে বিশ্বাস ক্লিনিকে প্রসূতির মৃত্যু মামলায় ডাক্তার টি.এ.কামালীকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। জানাগেছে গত ৯ নভেম্বর রবিবার সকাল ৯ টার দিকে ক্লিনিক মালিকের অবহেলায় ও ডাক্তার টি.এ.কামাল এর ভুল চিকিৎসায় ও.টি.তেই রমনী খাতুন (১৮) নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়।

দৌলতপুর থানার ওসি তদন্ত শাহদৎ হোসেন জানান, উপজেলার আল্লারদর্গা বিশ্বাস ক্লিনিকে ওই প্রসূতির মর্মান্তিক মৃত্যু হলে, ঐ দিন তার ভাই হাসিবুল দৌলতপুর থানায় ৫ জন কে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করে, মামলা নং ১৭। এই মামলার প্রধান আসামী ডাক্তার টি.এ. কামাল কে দৌলতপুর পুলিশ গত বুধবার রাতে ভেড়ামারা থেকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। জানাগেছে তার বিরুদ্ধে রমনী খাতুন, আল্লারদর্গা হিন্দু পাড়ার রমা রায় সহ এক ডজন প্রসূতী মা ও নবজাত শিশুর ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর প্রমাণ রয়েছে।

ঘটনার সূত্র থেকে জানাগেছে রমনী খাতুন উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সাদীপুর গ্রামের মো. বাচ্চু আলীর স্ত্রী রমনী খাতুন প্রসব যন্ত্রনা নিয়ে শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আল্লারদর্গা বিশ্বাস ক্লিনিকে ভর্তি হ’ন। ক্লিনিক মালিক আব্দুল লতিফ সিজার অপারেশন করে সন্তান প্রসব করাবেন বলে ওই প্রসূতিকে ভর্তি করেন। রাত থেকে রবিববার সকাল পর্যন্ত প্রসূতি প্রসব যন্ত্রনায় কাতর ও ছটফট করলেও ক্লিনিক মালিক আব্দুল লতিফ ডাক্তার এনে অপারেশন করাতে ব্যর্থ হয়।

একপর্যায়ে সকাল ৯টার দিকে ক্লিনিক মালিক আব্দুল লতিফের স্ত্রী কথিত নার্স নার্গিস খাতুন ওই প্রসূতিতে ব্যাথা নাশক ইনজেকশন ও পরে টিএ কামাল এসে অপারেশনের জন্য একটি ইনজেকশন দিলে তৎক্ষনাত প্রসূতির মৃত্যু হয়। এদিকে ক্লিনিক মালিকের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে নিহতের আত্মীয় স্বজন ক্লিনিকে হামলা চালালে ক্লিনিক মালিক আব্দুল লতিফ ও তার স্ত্রী নার্গিস খাতুন এবং ডাক্তার পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে। একই সাথে দৌলতপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আজগর আলীর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত ওই ক্লিনিক সিল গালা করেছেন।

Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচন বানচালকারীদের দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে — অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম

দৌলতপুরে প্রসূতির মৃত্যু মামলায় ডাক্তার টি.এ.কামালীকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ

আপডেট টাইম : ০৭:০৮:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর ২০২০

দৌলতপুর প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আল্লারদর্গা বাজারে বিশ্বাস ক্লিনিকে প্রসূতির মৃত্যু মামলায় ডাক্তার টি.এ.কামালীকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। জানাগেছে গত ৯ নভেম্বর রবিবার সকাল ৯ টার দিকে ক্লিনিক মালিকের অবহেলায় ও ডাক্তার টি.এ.কামাল এর ভুল চিকিৎসায় ও.টি.তেই রমনী খাতুন (১৮) নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়।

দৌলতপুর থানার ওসি তদন্ত শাহদৎ হোসেন জানান, উপজেলার আল্লারদর্গা বিশ্বাস ক্লিনিকে ওই প্রসূতির মর্মান্তিক মৃত্যু হলে, ঐ দিন তার ভাই হাসিবুল দৌলতপুর থানায় ৫ জন কে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করে, মামলা নং ১৭। এই মামলার প্রধান আসামী ডাক্তার টি.এ. কামাল কে দৌলতপুর পুলিশ গত বুধবার রাতে ভেড়ামারা থেকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। জানাগেছে তার বিরুদ্ধে রমনী খাতুন, আল্লারদর্গা হিন্দু পাড়ার রমা রায় সহ এক ডজন প্রসূতী মা ও নবজাত শিশুর ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর প্রমাণ রয়েছে।

ঘটনার সূত্র থেকে জানাগেছে রমনী খাতুন উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সাদীপুর গ্রামের মো. বাচ্চু আলীর স্ত্রী রমনী খাতুন প্রসব যন্ত্রনা নিয়ে শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আল্লারদর্গা বিশ্বাস ক্লিনিকে ভর্তি হ’ন। ক্লিনিক মালিক আব্দুল লতিফ সিজার অপারেশন করে সন্তান প্রসব করাবেন বলে ওই প্রসূতিকে ভর্তি করেন। রাত থেকে রবিববার সকাল পর্যন্ত প্রসূতি প্রসব যন্ত্রনায় কাতর ও ছটফট করলেও ক্লিনিক মালিক আব্দুল লতিফ ডাক্তার এনে অপারেশন করাতে ব্যর্থ হয়।

একপর্যায়ে সকাল ৯টার দিকে ক্লিনিক মালিক আব্দুল লতিফের স্ত্রী কথিত নার্স নার্গিস খাতুন ওই প্রসূতিতে ব্যাথা নাশক ইনজেকশন ও পরে টিএ কামাল এসে অপারেশনের জন্য একটি ইনজেকশন দিলে তৎক্ষনাত প্রসূতির মৃত্যু হয়। এদিকে ক্লিনিক মালিকের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে নিহতের আত্মীয় স্বজন ক্লিনিকে হামলা চালালে ক্লিনিক মালিক আব্দুল লতিফ ও তার স্ত্রী নার্গিস খাতুন এবং ডাক্তার পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে। একই সাথে দৌলতপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আজগর আলীর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত ওই ক্লিনিক সিল গালা করেছেন।