রাজশাহী ব্যুরো :রাজশাহীতে এক প্রভাবশালী বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন ওষুধ কোম্পানির কর্মকর্তা মোঃ রাকিব আল রেজা রিপন। মঙ্গলবার (২০ মে ২০২৫) বিকেল ৫টায় নগরীর মাস্টার সেফ রেস্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে রাকিব আল রেজা জানান, তার ছোট বোনকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন মোঃ রাজিব হোসেন নামের এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় তিনি ২০২১ সালের ৯ জানুয়ারি বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি মামলা (নং-২৮) দায়ের করেন, যা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন। মামলার পর থেকেই আসামিরা মামলা তুলে নিতে তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে।
রিপনের অভিযোগ, গত ১২ মে ২০২৫ দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে পূর্বপরিকল্পিতভাবে রাজিব হোসেন, তার বড় ভাই রাকিব, পিতা মোঃ শাহিনসহ আরও কয়েকজন মিলে নগরীর বর্ণালী সিনেমা হলের পূর্ব পাশে তার বাসার নিচে অবস্থিত ‘আলমারি মডার্ন ফার্নিচার’ দোকানে হামলা চালায়। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। হামলার সময় তারা বারবার বলছিল, “আজকেই ওকে শেষ করতে হবে, না হলে বিপদ বাড়বে।” এতে স্পষ্ট হয়, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাচেষ্টা।
এই হামলায় রাকিব আল রেজার শরীরে ৭০টিরও বেশি সেলাই দিতে হয়। তিনি গুরুতর আহত অবস্থায় দীর্ঘদিন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বর্তমানে বাসায় ফিরে এলেও তিনি ও তার পরিবার রয়েছেন চরম নিরাপত্তাহীনতায়।
সংবাদ সম্মেলনে রাকিব অভিযোগ করেন, মামলার প্রধান আসামি মোঃ রাজিব হোসেন বিএনপির রাজশাহী মহানগর ইউনিটের শাহ মখদুম থানা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি তার রাজনৈতিক পরিচয়কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। জামিনে থাকা অন্যান্য আসামিরাও এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং তার পরিবারকে গুলি করে হত্যার হুমকি দিচ্ছে।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে তিনটি দাবিও তুলে ধরেন:
১. মামলার প্রধান আসামি মোঃ রাজিব হোসেনকে দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে। ২. জামিনে থাকা অন্যান্য আসামিদের জামিন বাতিল করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। ৩. তার পরিবারের নিরাপত্তা রাষ্ট্রীয়ভাবে নিশ্চিত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে রাকিবের পিতা মোঃ গোলাম নবী, ছোট ভাই গোলাম নবীন রোকন এবং ছোট বোনের জামাতা হাবিবুর হোসেন টনি উপস্থিত ছিলেন। তারা সন্ত্রাসী রাজিব হোসেনকে গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা কামনা করেন।