হেলাল মজুমদার
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে কিছু নাম থাকে, যেগুলো সময়ের সীমানা পেরিয়ে মানুষের মনে স্থায়ীভাবে জায়গা করে নেয়। কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের মানুষের কাছে বীর মুক্তিযোদ্ধা, অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম ঠিক তেমনই একটি নাম।
তিনি শুধু একজন রাজনীতিবিদ নন—তিনি একাধারে মুক্তিযুদ্ধের সৈনিক, উন্নয়নের রূপকার, এবং মানুষের সুখ-দুঃখের এক নির্ভরযোগ্য সঙ্গী।
তিনবারের এমপি, তৃণমূলের নেতা
অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম তিনবার জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হিসেবেও ছিলেন সফল। তার নেতৃত্বে এ অঞ্চলে যে উন্নয়ন হয়েছে, তা আজও মানুষ মনে রেখেছে—গ্রামীণ রাস্তা, অবকাঠামো, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রসার—সবকিছুতেই ছিল তার দৃশ্যমান অবদান।
তিনি রাজনীতি করেছেন জনমানুষের পাশে থেকে, তাদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য। সে কারণেই তৃণমূলের মানুষের কাছে তিনি ছিলেন একজন রাজনৈতিক অভিভাবক।
আজকের প্রেক্ষাপটে আবারও প্রাসঙ্গিক
জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, কুষ্টিয়া-২ আসনে আবারও উচ্চারিত হচ্ছে অধ্যাপক শহিদুল ইসলামের নাম। দলের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ ভোটার—সবাই মনে করছেন, এই আসনে বিএনপির বিজয়ের জন্য শহিদুল ইসলামই সবচেয়ে যোগ্য ও নির্ভরযোগ্য প্রার্থী।
তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতে, যদি দল থেকে তাকে মনোনয়ন দেওয়া না হয়, তাহলে এই আসনটি হারানোর ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
জনপ্রিয়তার পেছনের কারণ
শহিদুল ইসলামের জনপ্রিয়তার পেছনে রয়েছে তার ব্যক্তিত্ব ও জীবনদর্শন। তিনি কখনো রাজনীতিকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করেননি। বরং রাজনীতিকে তিনি দেখেছেন জনগণের কল্যাণের হাতিয়ার হিসেবে।
তার জীবনযাপন ছিল সাধারণ, আচরণে আন্তরিকতা, সংগঠনে দক্ষতা এবং সর্বোপরি দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত নেতৃত্ব—এই গুণগুলোই তাকে আলাদা করেছে। সাধারণ মানুষ এখনও বলেন—
“শহিদুল স্যার শুধু এমপি ছিলেন না, তিনি ছিলেন আমাদের ভরসার জায়গা। বিপদে-আপদে তার কাছেই ছুটে যেতাম।”
আগামী নির্বাচনে সম্ভাবনার দিগন্ত
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কুষ্টিয়া-২ আসনটি বিএনপির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় একজন প্রবীণ, অভিজ্ঞ এবং আস্থাভাজন নেতার নেতৃত্বই তৃণমূলে উদ্দীপনা ফিরিয়ে আনতে পারে।
তাই নেতাকর্মীরা বিশ্বাস করেন—অধ্যাপক শহিদুল ইসলামকে যদি মনোনয়ন দেওয়া হয়, তাহলে তিনি কেবল বিজয় নিশ্চিত করতে পারবেন না, বরং তৃণমূলে নতুন করে দলকে সংগঠিত করতেও সক্ষম হবেন।
রাজনীতি ক্ষমতার খেলা নয়—এটি মানুষের বিশ্বাস অর্জনের লড়াই। অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম সেই লড়াইয়ে নিজেকে প্রমাণ করেছেন তৃণমূলের আস্থার বাতিঘর হিসেবে।
তার হাত ধরেই কুষ্টিয়া-২ একসময় উন্নয়নের পথে এগিয়ে গিয়েছিল। আজও মানুষ সেই দিনগুলোর কথা স্মরণ করে। তৃণমূলের সেই বিশ্বাস ও ভালোবাসা যদি বাস্তবে রূপ নেয়, তাহলে কুষ্টিয়া-২ আসনে বিএনপির বিজয় শুধু সম্ভবই নয়—নিশ্চিত বলেও মনে করছেন অনেকে।