জিল্লুর রহমান: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চর অঞ্চলের চিলমারী রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নে প্রথম পর্যায়ে ৭টি গ্রামের ২২১টি সংযোগের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগের যাত্রা শুরু হয়েছে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের উদ্বোধন। রোববার বেলা ১১ টার সময় উপজেলার ভাগজোত মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজ মন্ডলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন-স্থানীয় সাংসদ এ্যাড. আঃ কাঃ মঃ সরওয়ার জাহান বাদশাহ্।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন -কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী সোহরাব আলী বিশ্বাস, নির্বাহী প্রকৌশলী মহিউদ্দিন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড.এজাজ আহমেদ মামুন, কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বোর্ড এর সভাপতি রেজওয়ান আলী খান, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সদস্য নাসির উদ্দিন মাষ্টার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সরদার তৌহিদুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম শেলী দেওয়ান, সাবেক তথ্যবিষয়ক সম্পাদক টিপু নেওয়াজ, সাবেক শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক সাদিকুজ্জামান খান প্রমুখ সহ অন্যান্যরা।
এলাকার ঠুটারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আজাহার মন্ডল জানান, চরে বিদ্যুতের আলো আসবে তা কখনও চিন্তাও করেননি তারা। রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজ মন্ডল বলেন, চরের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন আজ বাস্তবে রুপ নিতে চলেছে। বিদ্যুত সংযোগ পাওয়ায় চরের মানুষের জীবনযাত্রায় আমুল পরিবর্তন আসবে। বিদ্যুত সংযোগসহ চরাঞ্চলে উন্নয়নের কাজ তদারকি করছেন সাংসদের ছেলে শাইখ আল জাহান শুভ্র। তিনি জানান, দৌলতপুরের সামগ্রিক উন্নয়নের সাথে সাথে চরাঞ্চলের মানুষের বিদ্যুত, রাস্তাঘাট, চিকিৎসাসহ তাদের জীবন মানের উন্নয়নে বর্তমান সাংসদ কাজ করে যাচ্ছে। এ জন্য বিশেষ পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
দৌলতপুর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) কে এম তুহিন মির্জা জানান, দুর্গম চর হওয়ায় সেখানে বিদ্যুতের লাইন স্থাপন ও মামলামাল পরিবহন খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল। পদ্মা নদীর মাঝ দিয়ে সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে লাইন নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর দুই ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে ৮ হাজার পরিবার বিদ্যুতের আওতায় আসবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি সরওয়ার জাহান বাদশাহ্ বলেন- নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী চরবাসীর মাত্র দুই বছরের মাথায় ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেওয়ার অঙ্গীকার ছিল আমার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী সে অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে পেরেছি। চরাঞ্চলের মানুষের যাতাযাতের জন্য রাস্তা নির্মাণ ও পদ্মা নদীর ভাগজোত পয়েন্টে একটি ব্রিজ নির্মাণের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। এগুলো বাস্তবায়ন হলে চরাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রায় ব্যাপক পরিবর্তন আসবে।